খোশখবর ডেস্কঃ ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলসের আগুন চিন্তায় ফেলেছে গোটা বিশ্বকে।একই সঙ্গে দাবানলের কবলে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া স্টেটও। দাবানলের আগুনে গত দশকে আমরা বিশ্বব্যাপী কয়েক মিলিয়ন হেক্টরেরও বেশি বনভূমি হারিয়ে ফেলেছি।তথ্য বলছে এই সময়কালের মধ্যে ২০২৩ ছিল দাবানলের সবচেয়ে ভয়াবহ বছর।এই বছর ১১.৯ মিলিয়ন হেক্টর (ওই বছর যত বৃক্ষরোপণ হয়েছে তার ৪২%) দাবানলের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে।
ক্রমেই বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলেছে দাবানলের ঘটনা।কী কারণে দাবানলের ঘটনা ঘটে, এবং সেগুলি প্রতিরোধে আমরা কী পদক্ষেপ নিতে পারি তা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ান ট্রি প্ল্যান্টেড তাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরেছে দাবানল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৭ তথ্য,যা আপনাকে ভাবাবে।
১. মানুষের কারনেই দাবানল
ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৫% দাবানলই তৈরি হয় মানুষের কারণে।
২. বজ্রপাত থেকে দাবানল
পৃথিবীতে মানুষ না থাকলেও দাবানল হত। সেক্ষেত্রে মানুষের পর শুকনো বনে দাবানল সৃষ্টির সবচেয়ে বড় কারণটাই হল বজ্রপাতের ফলে লাগে যাওয়া আগুন।
৩. প্রতি বছর দাবানল কত ক্ষতি করে?
দাবানল ফি বছর লক্ষ লক্ষ একর বনাঞ্চল পুড়িয়ে দেয়। গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের মতে, গত দশকে দাবানলে আমরা বিশ্বজুড়ে ১৩৮ মিলিয়ন হেক্টরেরও বেশি
বনভূমি হারিয়ে ফেলেছি।
আরও পড়ুনঃ
৪. বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার কীভাবে
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরে, সময়মত বনাঞ্চলকে ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও তা আগুনের তীব্রতা এবং স্থানীয় জলবায়ুর উপর নির্ভর করে।পোড়া বনাঞ্চল স্বভাবিক হতে কয়েক বছর থেকে এক দশক সময় লাগতে পারে।বনাঞ্চলের রূপান্তরও ঘটে যেতে পারে।
৫. প্রতিরোধ করার উপায়?
দাবানল ঠেকাতে নির্দিস্ট কৌশল এবং উদ্যোগ নেওয়া দরকার।বনাঞ্চলে আগুন জ্বালাতে গেলে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
৬. জলবায়ু পরিবর্তনের কী প্রভাব?
জলবায়ু পরিবর্তন ক্রমেই বড় দাবানলের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চরম আবহাওয়ার পরিবেশগত পরিস্থিতি যেমন খরা, উষ্ণ তাপমাত্রা দাবানলের প্রভাবকে তীব্র করে তোলে। শুষ্ক ও উষ্ণ পরিবেশ তৈরি করে এবং জ্বালানিতে পরিনত হয়।
৭. বন্যপ্রাণীর উপর প্রভাব
দাবানলের ভয়াবহ প্রভাব পড়ে বন এবং তৃণভূমির প্রাণী এবং উদ্ভিদের উপর। দাবানলের ফলে ব্যাপকভাবে বনভূমি হ্রাস পায়,বন্যপ্রাণীর বাসস্থানের ব্যাপক ক্ষতি হয়,যার ফলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়।বিভিন্ন প্রজাতি বিপন্ন হয়ে পড়ে।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ