খোশখবর ডেস্কঃ স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ও তাঁর শিক্ষাগুলো আমাদের জীবনে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে। তিনি শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে গোটা দেশজুড়ে।তাঁর জন্মদিবসকে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
রবিবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এক বিরাট বর্নাঢ্য র্যালির আয়োজন করেছিল ব্যারাকপুরের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন।একই সঙ্গে শুরু হয়েছে মিশনের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান।১২ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন হবে।
আরও পড়ুনঃ
রবিবার জানুয়ারির ঠান্ডা মাখা সকালে প্রথম র্যালিটি বের হয় মিশনের মূল ক্যাম্পাস ৭ নম্বর রিভার সাইড রোড থেকে।স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের ইউনিফর্মের বদলে এদিন পরেছিল গেরুয়া পোশাক।মাথায় ছিল পাগড়ি।যেন প্রত্যেকেই এক একজন ছোট্ট বিবেকানন্দ।
আরও পড়ুনঃ
৭ নম্বর রিভার সাইড রোড থেকে বের হওয়া রালিতে ছিল মিশন স্কুল, সারদা কন্যা, নিবেদিতা বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা।তাদের গোটা পথ গাইড করে নিয়ে চলার গুরু দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন শিক্ষক – শিক্ষিকা থেকে মিশনের অন্যান্য সেবকেরা।
কী বললেন নিবেদিতা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা
বিশাল র্যালির পুরোভাগে ছিল নানা সুদৃশ্য ট্যাবলো।বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীর এই অনন্য পদযাত্রা র্যালি ঘিরে ছিল এদিন ছিল অন্য উন্মাদনা।ব্যারাকপুর সেনাছাউনি এলাকার গাছ-গাছালি ঢাকা পথ ধরে বিশাল র্যালি সোজা চলে যায় চিড়িয়া মোড়।সেখান থেকে ফের ফিরে এসে নিজের নিজের বিদ্যালয়ে শেষ হয় এই র্যালি।বিশাল পথ হাঁটা হলেও শিক্ষার্থীরা ছিল অক্লান্ত।স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে এমন আয়োজনে সামিল হতে পেরে খুব খুশি তারাও।
কী বলল শিক্ষার্থীরা
বিবেকানন্দের চিন্তা-ভাবনা ও বাণীগুলো মানুষকে নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন হতে এবং জীবনের উচ্চতর লক্ষ্য অর্জনে পথ প্রদর্শন করে।তাঁর দিকনির্দেশনা ও চিন্তাধারা বিশেষত যুবসমাজকে আত্মবিশ্বাসী, কর্মক্ষম ও উদ্যমী হতে সাহায্য করে।
রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের এই ‘সবাই আজ বিবেকানন্দ’ ভাবনার র্যালি যখন ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট সহ অন্য পথ পরিক্রম করছে তখন যেন রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা মানুষজনের মধ্যেও সঞ্চারিত হচ্ছে বিবেক চেতনা।
স্বামী বিবেকানন্দের দেওয়া শিক্ষা আজও আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন উদ্যম এনে দেয়।এদিনের এই বিশেষ দিনে তাঁকে এমন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ নিজের ভিতর থেকে শিক্ষালাভ ও জাগ্রত হওয়ার বার্তাই দিল সবাইকে।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ