খোশখবর ডেস্কঃ পৃথিবী তার কক্ষতলের সঙ্গে সর্বদা ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকা অবস্থায় সূর্যকে দিন রাত ঘুরে চলেছে।এর ফলে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ একবার সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে আবার একবার পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে। আর এই জন্যেই পৃথিবীর দুই গোলার্ধে দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে।
২৩ সেপ্টেম্বরের পর থেকে দক্ষিণ গোলার্ধ ক্রমাগত সূর্যের কাছে আসতে থাকে এবং উত্তর গোলার্ধ আরও দূরে সরে যেতে থাকে।এই সময় উত্তর গোলার্ধে ( আমরা যে দিকে থাকি) দিন ক্রমশ ছোট ও রাত বড় হতে থাকে।পাশাপাশি দক্ষিণ গোলার্ধে ক্রমশ দিন বড়ো এবং রাত ছোটো হতে থাকে।
হিসেব মত ২২ ডিসেম্বর তারিখে সূর্য মকরক্রান্তিরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং এর ফলে ওই দিন দক্ষিণ গোলার্ধে সব থেকে বড়ো দিন ও ছোটো রাত হয়। ঠিক তার উল্টোটা হয় উত্তর গোলার্ধে ( অর্থাৎ ভারত যেখানে অবস্থিত)- অর্থাৎ দিন ছোটো এবং রাত বড়ো হয়।অথচ মজা হল এর ঠিক দিন দুই পরেই ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে ‘বড়দিন’ পালিত হয়।অর্থাৎ ধর্মীয়ভাবে ‘বড়দিন’ হলেও দিন আসলে ছোট।
আরও পড়ুনঃ
কাজেই জ্যোতির্বিজ্ঞানের নিয়মে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি উত্তর গোলার্ধ থেকে সূর্য দূরে থাকে,তাই এই সময়টা সূর্যের আলো কম পড়ায় দিন ছোট হয়।সেই হিসেবে ২০২৪ সালে উত্তর গোলার্ধে ২১ ডিসেম্বর সবচেয়ে ছোট দিন ও বড় রাত।অথচ এর ৩ দিন পরেই ধর্মীয়ভাবে ‘বড়দিন’ হলেও তা আসলে ছোট।
ছবিঃ উইকিপিডিয়া/উইকিমিডিয়া
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ