খোশখবর ডেস্কঃ প্রোবা-৩ মিশন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অভিনব মহাকাশ মিশন যা সৌর গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি মূলত সূর্যের বাইরের স্তর, অর্থাৎ করোনা, নিয়ে গভীর গবেষণা চালানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত। এই মিশনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সৌর ঝড়, সৌর বায়ু এবং সৌর তাপমাত্রা সম্পর্কে আরও সুনির্দিষ্ট এবং নতুন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
প্রোবা-৩ মিশনের বৈশিষ্ট্যঃ
ইন-অরবিট ডেমোনস্ট্রেশন মিশন (IOD) -
প্রোবা-৩ মিশনের লক্ষ্য 'ফর্মেশন ফ্লাইং' প্রযুক্তি পরীক্ষা করা।
এর মাধ্যমে প্রথমবার মহাকাশে দুইটি স্যাটেলাইট একসাথে নির্ভুলভাবে কাজ করবে।
ডুয়াল স্যাটেলাইট সিস্টেমঃ
প্রোবা-৩ দুটি উপগ্রহের সমন্বয়ে তৈরি -
অকাল্টার (Occulter): সূর্যের আলো ব্লক করবে।
করোনাগ্রাফ (Coronagraph): সূর্যের করোনা পর্যবেক্ষণ করবে।
এই স্যাটেলাইটগুলো একে অপরের থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে থেকে কাজ করবে।
প্রোবা-৩ মিশনের বৈশিষ্ট্যঃ
ইন-অরবিট ডেমোনস্ট্রেশন মিশন (IOD) -
প্রোবা-৩ মিশনের লক্ষ্য 'ফর্মেশন ফ্লাইং' প্রযুক্তি পরীক্ষা করা।
এর মাধ্যমে প্রথমবার মহাকাশে দুইটি স্যাটেলাইট একসাথে নির্ভুলভাবে কাজ করবে।
ডুয়াল স্যাটেলাইট সিস্টেমঃ
প্রোবা-৩ দুটি উপগ্রহের সমন্বয়ে তৈরি -
অকাল্টার (Occulter): সূর্যের আলো ব্লক করবে।
করোনাগ্রাফ (Coronagraph): সূর্যের করোনা পর্যবেক্ষণ করবে।
এই স্যাটেলাইটগুলো একে অপরের থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে থেকে কাজ করবে।
সৌর গ্রহণের সময় সূর্যের আলো ব্লক করে শুধু করোনার ছবি তুলতে সাহায্য করবে।
সূর্যের চারপাশে থাকা কক্ষপথে তারা নিজেদের অবস্থান সমন্বয় করে রাখবে।
প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণঃ
এই মিশনে স্পেন, বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, ইতালি এবং সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা কাজ করেছেন।
এটি ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এবং ভারতের ইসরোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার ফল।
আয়ুষ্কাল ও খরচঃ
মিশনের আয়ুষ্কাল প্রায় ২ বছর।
প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় ১৭৮০ কোটি টাকা।
কেন প্রোবা-৩ মিশন গুরুত্বপূর্ণ ঃ
সূর্যের করোনা হল সৌর বায়ুমণ্ডলের বাইরের স্তর, যা অত্যন্ত গরম (প্রায় ২ মিলিয়ন ডিগ্রি ফারেনহাইট) এবং এখনও রহস্যময়।
সৌর ঝড় ও সৌর বায়ু মহাকাশ আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
প্রোবা-৩ সূর্যের আলোকপ্রবাহের তীব্রতা এবং এর প্রভাবের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করবে।
এটি সৌর গতিবিদ্যা বোঝার নতুন পথ খুলে দেবে এবং মহাকাশে মানুষের দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের পরিকল্পনায় সাহায্য করবে।
ভারতের ভূমিকাঃ
ইসরোর পিএসএলভি রকেটের মাধ্যমে এই মিশনটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটি ভারতের মহাকাশ গবেষণার সাফল্যে আরও একটি পালক যোগ করেছে। ভারতের নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (NSIL) এই মিশনের উৎক্ষেপণ পরিচালনা করেছে, যা আন্তর্জাতিক মহাকাশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
ছবি সৌজন্যঃ এক্স ও পিক্সাবে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ