Red planet mars ২৮ নভেম্বর কেন ‘রেড প্ল্যানেট ডে’? লাল গ্রহে এত আগ্রহ কেন মানুষের?

খোশখবর ডেস্কঃ লাল গ্রহে বুঝি ভিন গ্রহের জীব বা উন্নত প্রাণীরা থাকে,এক সময় এমনটাই ভাবত পৃথিবীর মানুষ। তবে নানা গবেষণা,নানা মহাকাশ অভিযান জানিয়ে দিয়েছে সেখানে ভিন গ্রহের জীব থাকার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তবুও সূর্য থেকে চতুর্থ দূরবর্তী এই গ্রহ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।এই গ্রহ ৬৮৭ দিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে।হিসেব মত পৃথিবীর তুলনায় মঙ্গলের দিন সামান্য দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা, ৩৯ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড।এই মঙ্গলকেই দ্বিতীয় পৃথিবী করার কথা ভাবছে আজকের মানুষ।সেখানে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন স্পেসএক্স-এর মালিক ইলন মাস্ক।

আরও পড়ুনঃ

প্রখ্যাত মানুষ,বিখ্যাত উক্তি/পড়ুন WHO QUOTES WHAT

বাংলায় পড়ুন বিখ্যাতদের বাণী/ ঢুকে পড়ুন ‘উক্তি খাতা’য়

মঙ্গল কেন ‘লাল গ্রহ’?
আকাশে মঙ্গল গ্রহকে লাল দেখায় বলেই এই গ্রহের নাম হয়েছে লাল গ্রহ। রংটা অবশ্য ঠিক লাল নয়, অনেকটা তা যেন লালের সঙ্গে কমলা মেশানো।বাংলাসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় এই গ্রহকে ‘মঙ্গল’ নামে ডাকা হলেও ইংরেজিতে মার্স (Mars) নামটি এসেছে রোমান যুদ্ধদেবতা মার্সের নামানুসারে।এর কারণ হিসেবে ধরা হয় মঙ্গলের লাল রং - যা রক্তকে ইঙ্গিত করে।এমন রঙের জন্যই প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা যুদ্ধের দেবতার সঙ্গে মিলিয়ে গ্রহটির নাম রেখেছিল ‘মার্স’।

আরও পড়ুনঃ

উদ্ভাবনী শক্তি, সর্বকালের সেরা ১০ ব্যক্তি

মহাবিশ্বে সবচেয়ে ঝলমলে বস্তুর খোঁজ

মঙ্গল গ্রহের রং লাল কেন?
মঙ্গল গ্রহ লাল হওয়ার কারণ এই গ্রহের পৃষ্ঠতলে ফেরিক অক্সাইডের আধিক্য।মঙ্গলে প্রচুর আয়রন অক্সাইড যৌগের জন্যই একে রক্ত এবং মরচে পড়ার মত লাল দেখায়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলের কেন্দ্রেও লোহা আছে, গ্রহটির পৃষ্ঠেও লোহার একটি আস্তরণ তৈরি হয়েছে। জানা গেছে গ্রহটির বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর মতো অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ নয়।এর বেশিরভাগ উপাদান কার্বন ডাই-অক্সাইড ও সূক্ষ্ম ধূলিকণা।এই ধূলিকণার কারণে আকাশ লালচে রং ধারণ করে।

২৮ নভেম্বর কেন ‘লাল গ্রহ দিবস’?
মার্স বা মঙ্গলের প্রতি মানুষের কৌতূহলের জেরে হয়েছে নানা অভিযান।মঙ্গল গ্রহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ অভিযানের দিনকে স্মরণ করেই ২৮ নভেম্বর লাল গ্রহ দিবস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।১৯৬৪ সালের এই দিনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে জানতে স্পেস প্রোব মেরিনার ফোরকে মহাকাশে পাঠানো হয়। ১৯৬৫ সালের জুলাই মাসে তা পৃথিবীতে লাল গ্রহের ছবি পাঠায়।তারপর থেকে গ্রহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য মঙ্গল গ্রহে বেশ কয়েকটি অনুসন্ধানী মিশন পাঠানো হলেও সেই ২৮ নভেম্বরকেই ‘লাল গ্রহ’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

ছবি সৌজন্যঃ পিক্সাবে 

পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ফেসবুকে ‘খোশখবর’।ফলো করুন।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

টুইটারে ‘খোশখবর’-এর আপডেট পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে 

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]