আরও পড়ুনঃ
সবচেয়ে বেশি আকাশছোঁয়া বাড়ির শহর কোনটা?
ড. ভি কুরিয়েনের জীবনের দীর্ঘ কাজের উদ্দেশ্যকে এক কথায় সংক্ষেপে বলা যেতে পারে 'ক্ষমতায়ন' - যা আসলে হল ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং ভূমিহীন শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন। সবুজ বিপ্লবে ব্যাপক সাফল্যের পরেই ‘অপারেশন ফ্লাড’ (Operation Flood) প্রকল্প গ্রহণ করে ভারত সরকার৷ তাঁর হাত ধরেই স্বাধীন ভারতে সরকারের ‘অপারেশন ফ্লাড’-এর মাধ্যমে দুগ্ধশিল্প বৃহত্তম স্ব-নির্ভরশীল শিল্প ও গ্রামীণ আয়ের উৎস হয়ে ওঠে৷
ড. ভি কুরিয়েনের জীবনের দীর্ঘ কাজের উদ্দেশ্যকে এক কথায় সংক্ষেপে বলা যেতে পারে 'ক্ষমতায়ন' - যা আসলে হল ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং ভূমিহীন শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন। সবুজ বিপ্লবে ব্যাপক সাফল্যের পরেই ‘অপারেশন ফ্লাড’ (Operation Flood) প্রকল্প গ্রহণ করে ভারত সরকার৷ তাঁর হাত ধরেই স্বাধীন ভারতে সরকারের ‘অপারেশন ফ্লাড’-এর মাধ্যমে দুগ্ধশিল্প বৃহত্তম স্ব-নির্ভরশীল শিল্প ও গ্রামীণ আয়ের উৎস হয়ে ওঠে৷
তাঁর এই দুগ্ধ বিপ্লব প্রকৃতপক্ষে, আমুল-মডেল যা আনন্দ-প্যাটার্ন নামেও পরিচিত।আর এই মডেলকে দেশ ব্যাপি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ সেই সময় বিদেশি সংস্থাগুলির একচেটিয়া বাজার দখলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ভার্গিস কুরিয়েন ৷ মূলত দুধ এবং তার থেকে তৈরি আনুসাঙ্গিক খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন বাড়ানো মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘অপারেশন ফ্লাড’ এর৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের দুধ উৎপাদনে সেরা অঞ্চলগুলোকে ভারতের মেট্রো সিটি দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা এবং চেন্নাইয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়৷ যার পরেই প্রথম,দ্বিতীয়,তৃতীয় পর্যায়ে ভারতের বিভিন্ন গ্রামে একাধিক গরুর খামার তৈরি হতে শুরু করে৷
আরও পড়ুনঃ
১৯৭০ থেকে ১৯৮০ ছিল ‘অপারেশন ফ্লাডে’র প্রথম পর্যায়৷ ইটিভি ভারতের তথ্য বলছে ১৯৮১-১৯৮৫ এই দ্বিতীয় পর্যায়ে ভারতের প্রায় ৪০ হাজারের বেশি গ্রামে দুগ্ধ সমবায় সংস্থা তৈরি করা হয়৷ যেখানে ৪২.৫ লক্ষ দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থাকে যুক্ত করা হয়েছিল৷ এই পর্যায়ে দুধ উৎপাদন করে, এমন ১ কোটি গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে ৪৮৫ কোটি টাকা বণ্টন করে কেন্দ্র৷ ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৬ এর তৃতীয় পর্যায়ে ৭৩ হাজারের বেশি দুগ্ধ সমবায় সংস্থা গড়ে ওঠে৷ এটাই ছিল ভারতের ‘শ্বেত বিপ্লব’।আর এই বিপ্লবের বা গোটা কর্মকাণ্ডের পুরোধা ডক্টর কুরিয়েনের বক্তব্য ছিল তিনি দুধের ব্যবসা করেননি।দুধ ছিল একমাত্র 'মাধ্যম' যা তিনি কৃষকদের ক্ষমতায়ন করতে ব্যবহার করেছিলেন।
ভারতের এই শ্বেত বিপ্লবের স্থপতি ডক্টর ভার্গিস কুরিয়েনের জন্মদিন ২৬শে নভেম্বর।তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করেই এই দিন পালিত হয় ‘জাতীয় দুধ দিবস’ হিসেবে।এই দিনটা আমাদের মানবশরীরে পুষ্টিতে দুধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়।উপরন্তু, জাতীয় দুগ্ধ দিবসের লক্ষ্য দুধ এবং এর পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে দুগ্ধ শিল্পকে শক্তিশালী করা।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ