খোশখবর ডেস্কঃ ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ কথাটা শুনলেই যেন মাথায় আসে কোনও এক শুক্রবার ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর কোনও ঘটনার ব্যাপার।আসলে মোটেই তা নয়। ব্ল্যাক ফ্রাইডে আসলে হল 'থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’র পরের দিনে অনুষ্ঠিত একটি বড় আকারের কেনাকাটার উৎসব।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বছরের অন্যতম ব্যস্ততম কেনাকাটার দিন হলো ব্ল্যাক ফ্রাইডে।প্রতি নভেম্বর মাসের শেষ শুক্রবার ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ হিসেবে পরিচিত।সেই হিসেবে ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর হল বিখ্যাত সেই দিন।
আরও পড়ুনঃ
Banana artwork sold একটি কলা বিক্রি হল ৫২ কোটিতে!
‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ মানেই দেদার কেনাকাটি?
এই দিনে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য নানারকম মূল্যছাড় দেয় দোকান থেকে শপিং মল।অনলাইন শপিংয়েও থাকে দেদার ছাড়।‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’তে কেনাকাটি করবে বলে অপেক্ষা করে থাকেন অনেক মানুষ।এই দিনে কেনাকাটায় থাকে বড় ডিসকাউন্ট, নানারকম অফার।আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বছরের অন্যতম ব্যস্ততম কেনাকাটার দিন হল ব্ল্যাক ফ্রাইডে।
‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ মানেই দেদার কেনাকাটি?
এই দিনে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য নানারকম মূল্যছাড় দেয় দোকান থেকে শপিং মল।অনলাইন শপিংয়েও থাকে দেদার ছাড়।‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’তে কেনাকাটি করবে বলে অপেক্ষা করে থাকেন অনেক মানুষ।এই দিনে কেনাকাটায় থাকে বড় ডিসকাউন্ট, নানারকম অফার।আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বছরের অন্যতম ব্যস্ততম কেনাকাটার দিন হল ব্ল্যাক ফ্রাইডে।
‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ নাম হল কেমন করে?
জানা যায় যে ১৮৬৯ সাল নাগাদ ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল আমেরিকায়।সেই সময় মন্দা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে বিক্রিবাটার একটি বিশেষ দিনের কথা ভেবেছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেজন্যে সে বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তারা পণ্যে বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেন দেন। কিন্তু তাতে নাকি বিপুল লোকসান হয় তাদের।সেটাই ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
আরও পড়ুনঃ
‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’র আর একটি গল্প হল ওয়াল স্ট্রিট ফিনান্সার জে গোল্ড এবং জিম ফিস্ক ১৮৬৯ সালে নিউইয়র্ক গোল্ড এক্সচেঞ্জে দেশের সোনার বাজারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করতে যতটা সম্ভব এই ধাতু কিনে নিয়েছিলেন।শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, রাষ্ট্রপতি ইউলিসিস এস. গ্রান্টের হস্তক্ষেপে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।স্টক মার্কেট অবিলম্বে পতন ঘটে, হাজার হাজার আমেরিকানকে দেউলিয়া হয়ে যায়।
তবে এখানেই শেষ নয়। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ নামের পিছনে আরও একটা ইতিহাস রয়েছে।আসলে এই দিনে কেনাকাটার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় ফুটবল খেলাও।সব মিলিয়ে ট্রাফিক সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।অনেককেই না খেয়ে পথে দাড়িয়ে থাকতে হয় সারাদিন।সেই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশরা দিনটির নাম দেয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে।জানা যায় ১৯৬০-র দশকে ফিলাডেলফিয়ার পুলিশ প্রথম ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ শব্দটি ব্যবহার করে।
ছবি সৌজন্যঃ পিক্সাবে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ