একনজরে

10/recent/ticker-posts

Name of cyclones ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কে করে? কারা দিল ‘ডানা’র নাম?

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কে করে? কারা দিল ‘ডানা’র নাম?

খোশখবর ডেস্কঃ হিসেব মত ২০০৪ সালের আগে সাইক্লোন বা ঘুর্ণিঝড়গুলোর কোনও নামকরণ ছিল না। তখন ঝড়গুলোকে বিভিন্ন নম্বর দিয়ে সনাক্ত করা হত। কিন্তু এত সংখ্যার হিসেব রাখা নিয়ে জটিলতার কারনেই ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। এর আগে এই নামকরণের ব্যবস্থা চালু ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলে। পৃথিবীর যে কোনও মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাইক্লোনের নামকরণ করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ছ’টি আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র এবং পাঁচটি ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সতর্কতা কেন্দ্র।

আরও পড়ুন 

কী ভাবে দেওয়া হয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম?

বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর, ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে যেসব সাইক্লোন দেখা দেয়, সেগুলির নামকরণ তালিকা তৈরি করে আইএমডি ও দিল্লির রিজিওনাল স্পেশালাইজড মেটিওরোজিক্যাল সেন্টার বা আরএসএমসি। ২০০৪-এর সেপ্টেম্বরে ভারতসহ ৮টি দেশ নামকরণের প্যানেলে যুক্ত হয়।প্রথমে এই নামকরণের তালিকায় ছিল ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, এবং থাইল্যান্ড। পরে ২০১৮ সালে এই তালিকায় ঢোকে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেনের নাম। 

আরও পড়ুন

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য প্রতি দেশ মোট ১৩টি করে নাম দেয়।দেশগুলির তালিকা অনুযায়ী, তাদের দেওয়া একটি করে নাম পরপর আসে।এই তালিকার প্রথমেই আছে বাংলাদেশ।শেষে আছে ইয়েমেন।প্রতিটি দেশ তাদের নামের তালিকা পাঠানোর পর তা চূড়ান্ত করে প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস। চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর তা প্রকাশ করে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর বা আইএমডি। এবারের ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ নামটি দিয়েছে কাতার।‘ডানা’ পরবর্তী ১৪৮টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে রাখা আছে।এর পর যে ঘূর্ণিঝড় আসবে তার নাম হবে ‘ফেনজাল’।এই নাম দিয়েছে সৌদি আরব।


অর্থাৎ ইচ্ছে হলেই কোনও ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনকে ইচ্ছামতো নামে ডাকা যায় না। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই নামকরণ করতে হয়।ভারতের দেওয়া সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ের নামগুলি হল গতি, তেজ, মুরাসু, আগ, ব্যোম, ঝড়, প্রবাহ, নীর, প্রভঞ্জন, ঘূর্ণি, অম্বুদ, জলধি, এবং বেগ।


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code