খোশখবর ডেস্কঃ নষ্ট হয়ে গেলেও বাড়িতে ফেলে রাখা ইলেকট্রনিক ইকুইপমেন্ট/গ্যাজেট থেকে ভয়ঙ্কর হারে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে – এমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।অথচ কিছুই ফেলতে পারি না আমরা।পুরোনো রেডিও,টিভি থেকে অকেজো হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন বা কমপিউটার – সবই প্রায় মায়া মাখা অবস্থায় বা ডাই হয়ে পড়ে থাকে ঘর বাড়ির আনাচে কানাচে।এসব ফেলে দেওয়া বা অকাজের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে থাকে পারদ, সিসা, দস্তা, আর্সেনিক, নাইট্রাস, অক্সাইডসহ বিভিন্ন ধাতব ও রাসায়নিক ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান।এই সব উপাদান নানাভাবে পরিবেশের সঙ্গে মিশে গিয়ে বাড়াচ্ছে বিপদ।
আরও পড়ুনঃ
রাষ্ট্রসঙ্ঘের হিসেব বলছে ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী জনপ্রতি গড়ে ই-বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে ৮ কেজি করে।যার অর্থ দাঁড়ায় এক বছরের মধ্যে ৬১.৩ মিলিয়ন টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য যা চীনের প্রাচীরের ওজনের চেয়েও বেশি।এই বিপদ থেকে মানুষকে সচেতন করতে ১০১৮ সালে প্রথম ই-ওয়েস্ট ডে চালু করে ওয়েস্ট ফ্রম ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইকুইপমেন্ট (WEEE) ফোরাম।
আন্তর্জাতিক ই-বর্জ্য দিবস হল WEEE ফোরাম এবং এর সদস্যদের একটি বার্ষিক সচেতনতা কর্মসূচি।এর লক্ষ্যই হল ইলেকট্রনিক বর্জ্যের ক্রমবর্ধমান সমস্যা তুলে ধরা এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রচার করা।সেই ভাবনা থেকেই ফি বছর ১৪ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল ই-ওয়েস্ট ডে পালন করা হয়।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ