আলবার্ট আইনস্টাইনঃ আলবার্ট আইনস্টাইন একজন জার্মান পদার্থবিদ, আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (Theory of Relativity) উদ্ভাবনের জন্য বিখ্যাত। তার বিখ্যাত সমীকরণ E=mc2 ভর ও শক্তির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।তার কাজ আধুনিক পদার্থবিদ্যার ভিত মজবুত করার পাশাপাশি কোয়ান্টাম মেকানিক্স ও বিশ্বের গঠন চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ১৯২১ সালে তিনি ফটোইলেকট্রিক প্রভাব ব্যাখ্যা করার জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
নিকোলা টেসলাঃ নিকোলা টেসলা ছিলেন সার্বিয়ান-মার্কিন উদ্ভাবক যিনি বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ও তড়িৎচৌম্বকত্বের ক্ষেত্রে দূরদর্শী ছিলেন। তিনি সর্বাধিক পরিচিত বিকল্প প্রবাহ (AC) বিদ্যুতের জন্য, যা বিশ্বব্যাপী বিদ্যুতের ব্যবহারের প্রসার ঘটায়। টেসলার উদ্ভাবন, যেমন টেসলা কয়েল এবং তারবিহীন যোগাযোগে তাঁর অবদান, আধুনিক প্রযুক্তিতে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।
আইজ্যাক নিউটনঃ আইজ্যাক নিউটন ছিলেন ইংরেজ গণিতবিদ, পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি গতিসূত্র ও সর্বজনীন মহাকর্ষ তত্ত্ব উদ্ভাবন করেছিলেন। তার কাজ, Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica (১৬৮৭), ধ্রুপদী পদার্থবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন করে। নিউটন অপটিক্স ও ক্যালকুলাসেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, যা বিজ্ঞান ও গণিতকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
লিওনার্দো দা ভিঞ্চিঃ লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ছিলেন একজন আদর্শ রেনেসাঁ মানুষ, যিনি শিল্প, উদ্ভাবন ও বিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলেন।মোনা লিসা এবং দ্য লাস্ট সাপার এর মতো আইকনিক শিল্পকর্মের জন্য বিখ্যাত তিনি।পাশাপাশি লিওনার্দো দা ভিঞ্চি উড়োজাহাজ, শারীরবিদ্যা চর্চা এবং যান্ত্রিক উদ্ভাবনের জন্যও পরিচিত।তাঁর বহুমুখী প্রতিভা আজও প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
গ্যালিলিও গ্যালিলেইঃ গ্যালিলিও গ্যালিলেই ছিলেন একজন ইতালিয়ান জ্যোতির্বিদ, পদার্থবিদ ও ইঞ্জিনিয়ার।তাঁর পর্যবেক্ষণ ও আবিষ্কারগুলি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। তিনি সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্বের সমর্থন করে বলেন পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে। টেলিস্কোপের অগ্রণী ব্যবহার করেই তিনি বৃহস্পতির উপগ্রহ এবং শুক্রগ্রহের পর্যায়গুলো আবিষ্কার করেন।
স্টিফেন হকিংঃ স্টিফেন হকিং ছিলেন একজন ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিদ, মহাবিশ্ব গবেষক এবং লেখক। তিনি কৃষ্ণগহ্বর (black holes) সম্পর্কে কাজের জন্য বিখ্যাত, বিশেষ করে হকিং বিকিরণ (Hawking radiation) তত্ত্বের জন্য।এলএস রোগের সঙ্গে লাগাতার লড়াইয়ের মধ্যেই হকিং মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে গভীরভাবে সমৃদ্ধ করেছেন।তাঁর বই A Brief History of Time বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনঃ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ছিলেন একজন আমেরিকান।বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ফ্রাঙ্কলিন ছিলেন বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, কূটনীতিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। তার বিখ্যাত ঘুড়ির পরীক্ষাসহ বিদ্যুৎ নিয়ে পরীক্ষা বজ্রনিরোধক আবিষ্কারে সাহায্য করে। ফ্রাঙ্কলিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান রচনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং আমেরিকান এনলাইটেনমেন্টের একজন প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
চার্লস ডারউইনঃ চার্লস ডারউইন ছিলেন একজন ইংরেজ প্রকৃতিবিদ যিনি প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন তত্ত্ব প্রণয়ন করেছিলেন। তার কাজ On the Origin of Species (১৮৫৯), জীববিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটায়।তাঁর তত্ত্ব জীবের বৈচিত্র্যের একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়। ডারউইনের তত্ত্ব আধুনিক বিবর্তনীয় গবেষণার ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং পৃথিবীতে জীবনের প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের উপলব্ধিকে অন্যভাবে ভাবিয়েছে।
থমাস এডিসনঃ থমাস এডিসন ছিলেন একজন আমেরিকান উদ্ভাবক ও ব্যবসায়ী, যার উদ্ভাবনগুলি আধুনিক বিশ্বকে পাল্টে করেছে।ব্যবহারিক বৈদ্যুতিক বাল্ব, ফোনোগ্রাফ এবং মুভি ক্যামেরা আবিষ্কারের কৃতিত্ব তাঁর। ১,০০০ টিরও বেশি পেটেন্টের মালিক, এডিসনের বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপাদন ও যোগাযোগে অবদান আধুনিক প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করেছে।
অ্যারিস্টটলঃ অ্যারিস্টটল ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক এবং প্লেটোর ছাত্র, যাঁর কাজ পশ্চিমী দর্শন, বিজ্ঞান ও নীতিশাস্ত্রে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তত্ত্ববিদ্যা, যুক্তি, জীববিজ্ঞান, রাজনীতি সহ বহুমুখী বিষয়ের উপর তাঁর জ্ঞান ছিল অসীম।প্রাকৃতিক জগতের অধ্যয়ন এবং অভিজ্ঞতামূলক পর্যবেক্ষণের উপর জোর দিয়ে বিজ্ঞান পদ্ধতির বিকাশে ব্যাপক সহায়তা করেছেন অ্যারিস্টটল।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ