একনজরে

10/recent/ticker-posts

Earth Mini Moon মহাকাশে বিরল ঘটনা,পৃথিবীর নতুন চাঁদ, আকাশে মিনি মুন!


খোশখবর ডেস্কঃ এক চাঁদের পৃথিবীতে এবার হাজির হচ্ছে আর এক চাঁদ।যাকে অনেকেই মিনি-মুন নামে ডাকতে শুরু করে দিয়েছেন।বিজ্ঞানের পত্রপত্রিকা তো বটেই খবরের কাগজেও লেখা হচ্ছে এই ছোট্ট চাঁদের কথা।কিন্তু আসলে ব্যাপারটা কী? জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি একটি বিরল ঘটনা।পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টানে বন্দী হয়ে তাকে চাঁদের মত পাক খেতে চলেছে একটি ছোট্ট গ্রহাণু।মাত্র ২ মাসের জন্য সে পৃথিবীকে পাক খেয়ে ফের মহাকাশে ফিরে যাবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন



আইএফএল সায়েন্স ডট কম তাদের রিপোর্টে জানাচ্ছে যে প্রায় ১০ মিটার বা ৩৩ফুট ব্যাসের এই ২০২৪পিটি৫ নামের গ্রহাণুর খোঁজ মিলেছে গত ৭ অগস্ট।মাদ্রিদের কমপ্লুটেন্স ইউনিভার্সিটির দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী, কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস এবং রাউল দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস এই গ্রহাণুর কক্ষপথ কী হতে পারে তার একটা হিসেব কষেছেন।তাঁদের হিসেব অনুযায়ী সেটি ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকবে।
আরও পড়ুন



এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে জানাচ্ছে যে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির রিসার্চ নোটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে ২০২৪পিটি৫ নামক বিশাল এই পাথরখন্ড সম্পূর্ণ কক্ষপথ ঘুরতে করতে সক্ষম হবে না।এটি পৃথিবীর মহাকর্ষীয় টান থেকে দূরে সরে যাওয়ার আগে একটি ঘোড়ার নালের লুপ সৃষ্টি করবে।



তবে পৃথিবীর আকর্ষণের টানে কোনও গ্রহাণুর কক্ষপথে ঢুকে পড়াটা নতুন নয়।এর আগে ১৯৮১ সাল ও ২০২২ সালেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। কিছুদিন থাকার পর মহাকর্ষ টান কাটিয়ে বেরিয়েও গিয়েছে গ্রহাণুগুলি। 

তবে চাঁদমামার নতুন সঙ্গী হিসেবে তুলনা করা হলেও এই গ্রহাণুকে খালি চোখে দেখা যাবে না মোটেই।আকার এতই ছোট যে একে দেখতে লাগবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপ।শখের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাতো বটেই মিনি মুন পৃথিবীর কক্ষপথে আসলে গ্রহানুর চরিত্র সহ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব সমন্ধে আরও নতুন কিছু তথ্য পেতে কোমর কষে নামছেন বিজ্ঞানীরা।


 
তথ্যঃ আইএফএল সায়েন্স ডট কম ও এনডিটিভি
ছবিঃ এক্স 



[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code