খোশখবর ডেস্কঃ এই পৃথিবীর বুকে নিজের প্রয়োজনে নিজের মত করে সবকিছু তৈরি করে নিয়েছে মানুষ। তা সে পাতালে প্রবেশ করা রেলপথই হোক বা নদী-জঙ্গলের বুক চিরে সেতু। তবে এ সব বানিয়েই ক্ষান্ত হয় নি সে, দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এক একটি নির্মাণের স্থাপত্যে।খোশখবরের সাইটে জেনে নিন পৃথিবীর দীর্ঘতম সেতুর কথা যার নানা তথ্য জানলে আপনাদের অবাক হতে হবে।
world's largest sphere অদ্ভুত গোলক,বিশ্বে সর্ববৃহৎ,লাস ভেগাসের ‘দি স্ফিয়ার’
চিনকে অনায়াসে বলা যেতে পারে দীর্ঘতম সেতুর দেশ।পৃথিবীর ১০টা সবচেয়ে বড় সেতুর তালিকায় সপ্তম এবং নবম দীর্ঘতম-র অবস্থান চিনেই।পাশাপাশি তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম দীর্ঘতম সেতুর ঠিকানাও হল পৃথিবীর এই দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশটি। বেইজিং এবং সাংহাইকে সংযুক্তকরা উচ্চ-গতির রেললাইন পাতা ১১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাংডে গ্র্যান্ড ব্রিজ হল বিশ্বের ৩য় দীর্ঘতম সেতু। চতুর্থ স্থানে আছে ১১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ তিয়ানজিন গ্র্যান্ড ব্রিজ।পঞ্চম স্থানে রয়েছে ওয়েনান ওয়েইহে গ্র্যান্ড ব্রিজ যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৯ কিলোমিটার।
চিনকে অনায়াসে বলা যেতে পারে দীর্ঘতম সেতুর দেশ।পৃথিবীর ১০টা সবচেয়ে বড় সেতুর তালিকায় সপ্তম এবং নবম দীর্ঘতম-র অবস্থান চিনেই।পাশাপাশি তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম দীর্ঘতম সেতুর ঠিকানাও হল পৃথিবীর এই দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশটি। বেইজিং এবং সাংহাইকে সংযুক্তকরা উচ্চ-গতির রেললাইন পাতা ১১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাংডে গ্র্যান্ড ব্রিজ হল বিশ্বের ৩য় দীর্ঘতম সেতু। চতুর্থ স্থানে আছে ১১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ তিয়ানজিন গ্র্যান্ড ব্রিজ।পঞ্চম স্থানে রয়েছে ওয়েনান ওয়েইহে গ্র্যান্ড ব্রিজ যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৯ কিলোমিটার।
তবে পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতুর ঠিকানা কিন্তু তাইওয়ান। ১৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর নাম চাংহুয়া কাওশিউং সেতু। আর আমাদের আলোচিত পৃথিবীর দীর্ঘতম দানিয়াং কুনশান গ্র্যান্ড সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬০.৪ কিলোমিটার বা ১০২.৪ মাইল। এটি চিনের রাজধানী বেইজিং থেকে সাংহাইয়ে হাইস্পিড রেলওয়ের একটি অংশ হিসেবে কাজ করে যা গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
দানিয়াং কুনশান গ্র্যান্ড ব্রিজটির নির্মাণকাজ ২০০৬ সালে শুরু হয় এবং ২০১১ সালে গিয়ে শেষ হয়।কাজ করে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক। সেই বছরেরই ২০ জুন হয়ে যায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও। এটির তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছিল প্রায় ৪৫০,০০০ টন ইস্পাত।বানাতে সব মিলিয়ে খরচ হয় ৮.৫ বিলিয়ন ডলার। যার অর্থ সেতুটির প্রতি কিলোমিটারে খরচ দাঁড়ায় ৫১ মিলিয়ন ডলার।
শুধু লিঙ্ক লাইনে ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg |
দানিয়াং কুনশান সেতুর যাত্রাপথও বেশ আশ্চর্যের।গড়ে ৩০ মিটার উচ্চতার এই ব্রিজে ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীরা প্রাকৃতির সত্যিকারের দর্শনীয় দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। ইয়াংচেন হ্রদ ছাড়াও, বেশ কয়েকটি নদী,খাল, জলাভূমি, ধান-ক্ষেত,জঙ্গল অঞ্চল পেরিয়ে গেছে এই সেতু। এরই প্রায় আশপাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইয়াংজি নদী। যাত্রা পথে বিভিন্ন সেতু এসে জুড়ে যাওয়ার ফলে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার দূরত্বের বেইজিং এবং সাংহাইয়ের মধ্যে শর্টকাট পথে যাওয়া যায় মাত্র ৪ ঘন্টা এবং ৪৮ মিনিটে।
এমনভাবে তৈরি অতি শক্তিশালী ভূমিকম্পও কিছু করতে পারবে না এই ব্রিজের। ভূমিকম্প-প্রতিরোধী হওয়া ছাড়াও, এর নীচে দিয়ে যাওয়া প্রায় ৩ লক্ষ টন ওজনের জাহাজের সংঘর্ষও সামলে নিতে পারে এই সেতু।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ