একনজরে

10/recent/ticker-posts

The ocean clean up সাগর বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ ‘দ্য ওশান ক্লিন আপ’, অদম্য বয়ান স্ল্যাট।


খোশখবর ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই রাজত্ব বেড়ে চলেছে প্লাসটিকের।আমরা যারা ভূমিভাগে থাকি তারা হয়ত সেভাবে সমুদ্রের খবর রাখি না।অথচ অনেক ক্ষেত্রেই পৃথিবীর কোনও স্থানে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক, পলিথিনের ব্যবহার্য জিনিসপত্রের ঠিকানা হচ্ছে সমুদ্র।বিভিন্ন নদীপথে সেইসব প্লাস্টিক মেশে বিশাল সমুদ্রে।আর পৃথিবীর প্রায় ৭১%ই হল সামুদ্রিক জলভাগ যা বিভিন্ন প্রাণীর বসবাসের একমাত্র ঠিকানা।এর ফলে শুধু ভুমিভাগে নয় সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যও এখন চরম হুমকির মুখে।


BeatPlasticPollution প্লাস্টিক না রুখলে বিপদ অনিবার্য, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বার্তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের

তথ্য বলছে বর্তমানে ফিবছর সমুদ্রেই ফেলা হচ্ছে প্রায় ৩৩ বিলিয়ন প্লাস্টিক বর্জ্য। আর প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে বছরে মারা যাচ্ছে ১০ কোটির বেশি সামুদ্রিক প্রাণী। ২০২৩ সালে পাওয়া তথ্য অনুসারে প্রায় ১৭১ ট্রিলিয়ন টুকরো টুকরো প্লাস্টিক বর্জ্য ভেসে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন সমুদ্রের জলে।


প্রকৃতির বুকে দূষণের পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে এমনটা বারবার প্রচার করেও সেভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না প্লাসটিকের ব্যবহার। বিজ্ঞানীদের অনুমান ২০৬০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে প্লাস্টিকের উৎপাদন বাড়বে তিনগুণ।অর্থাৎ আরও বেশি করে সমুদ্রে মিশবে প্লাস্টিক – যা নষ্ট করে দিতে পারে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রটাই।



আর এমন বিপদের সময়েই ধরিত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন একদল মানুষ। সমুদ্রের বুকে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করতে জলে নেমেছে ‘দ্য ওশান ক্লিন আপ’ সংস্থা।এই অলাভজনক পরিবেশ সংস্থার মূল উদ্যোক্তা মাত্র ২৯ বছর বয়সী পরিবেশ প্রেমী বয়ান স্ল্যাট।গত দশ বছর ধরে সমুদ্র থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য তুলে ফেলার কাজ করে চলেছেন তিনি ও তাঁর দলবল।


কীভাবে কাজ করছে ‘দ্য ওশান ক্লিন আপ’ সংস্থা? তাদের দাবি সমুদ্রে প্লাস্টিক ফেলা বন্ধ করলেই হবে না,সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি আটকাতে জমে থাকা বর্জ্য তুলেও ফেলতে হবে।এজন্য ওপর থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত ক্যামেরা দিয়ে সমুদ্রের কোথায় কোথায় প্লাস্টিক বর্জ্য জমে আছে তা খুঁজে বের করা হয়।

শুধু লিঙ্ক লাইনে ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন  www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg

দেখা গেছে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্রের বিশাল এলাকা জুড়ে প্লাস্টিক দূষণ ঘটেছে।একে ‘দ্য গ্রেট প্যাসিফিক গার্বেজ প্যাচ’ বলে বর্ণনা করা হয়। এই জায়গাটিকে দূষণ-মুক্ত করার অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘দ্য ওশান ক্লিন আপ’ টিম।


কীভাবে প্লাস্টিক মুক্ত করা হয় এলাকা? ‘দ্য ওশান ক্লিন আপ’ টিম দুদিকে দুটো স্পিডবোর্ড চালিয়ে প্রায় ইউ আকৃতিতে ৮০০ মিটার দৈর্ঘের বিস্তৃত জাল টানে।যাতে সামুদ্রিক প্রাণী এবং জীব-বৈচিত্র্যের কোন ক্ষতি না হয় সে জন্য খুব ধীরে টানা হয় এই জাল। আর এভাবেই সাগর থেকে বিপুল প্লাস্টিক তুলে তা সাইক্লিং করতে পাঠানো হয়।


বিবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় ‘দ্য ওশান ক্লিন আপ’ সংস্থার বয়ান স্ল্যাট জানিয়েছেন যে গত ১০ বছরে এভাবেই তাঁরা দুই লক্ষ কেজি বা ২০০টনের বেশি প্লাস্টিক সমুদ্র থেকে তুলে ফেলেছেন। তবে প্রথমে কাজটা যতটা সহজ ভাবা এত বড় পৃথিবীর বুকে তা যথেষ্ট কঠিন।প্রথমে ব্যাপারটা বুঝতেই কয়েক বছর সময় চলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন বয়ান স্ল্যাট। তবে থামতে নারাজ তাঁরা।এখন তারা তিনটে সিস্টেম ব্যবহার করছেন। তৈরি করেছেন প্রায় আড়াই কিলোমিটারের জাল।২০৪০ সালের মধ্যে সমুদ্রে ভেসে থাকা প্লাস্টিক দূষণ ৯০ শতাংশ কমিয়ে ফেলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে ‘দ্য ওশান ক্লিন আপ’।

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code