খোশখবর ডেস্কঃ অলিম্পিক্স হল গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ।চার বছর অন্তর গোটা পৃথিবী তাকিয়ে থেকে নজরকাড়া এই ইভেন্টের দিকে।পৃথিবীর বুকে এমন আর কোনও ইভেন্ট নেই যাতে এমন হাজার হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয়। তাই এমন বড় মঞ্চে একটি পদক পেয়ে নিজের নাম উজ্জ্বল করে রাখার স্বপ্ন দেখেন সমস্ত ক্রীড়াবিদই। গোটা দেশ মাথায় করে রাখে তাকে।কিন্তু এত লড়াইয়ের পর যে পদক বা মেডেল মেলে তা কী রকম? কতটাই বা ভারী হয় সেসব সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জের পদক? কী বিশেষত্ব এবারের ২০২৪ –এর প্যারিস অলিম্পিক্সের ? সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক সেকথাই।
Rubik’s Cube World Record মাত্র সোয়া তিন সেকেন্ড, রুবিক কিউব সমাধান করে বিশ্বরেকর্ড অটিজম আক্রান্ত ম্যাক্স পার্কের
আসলে প্রতিটি অলিম্পিক্স আসরে পদকের ওজন ভিন্ন হয়ে থাকে।যেমন রিও অলিম্পিক্সের চেয়ে টোকিও অলিম্পিকের পদক কিছুটা ভারী ছিল।টোকিও অলিম্পিক্সের পদকের ডিজাইন করেন জাপানি ডিজাইনার জুনিচি কাওয়ানিশি।প্রতিটি স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ পদকের ব্যাস ছিল ৮৫ মিলিমিটার এবং ব্যাপ্তি ছিল ৭.৭ মিলিমিটার থেকে ১২.১ মিলিমিটার পর্যন্ত।
আসলে প্রতিটি অলিম্পিক্স আসরে পদকের ওজন ভিন্ন হয়ে থাকে।যেমন রিও অলিম্পিক্সের চেয়ে টোকিও অলিম্পিকের পদক কিছুটা ভারী ছিল।টোকিও অলিম্পিক্সের পদকের ডিজাইন করেন জাপানি ডিজাইনার জুনিচি কাওয়ানিশি।প্রতিটি স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ পদকের ব্যাস ছিল ৮৫ মিলিমিটার এবং ব্যাপ্তি ছিল ৭.৭ মিলিমিটার থেকে ১২.১ মিলিমিটার পর্যন্ত।
হিসেব বলছে অলিম্পিক্সের সোনার পদকে সোনা থাকে মাত্র ১.৩৪ শতাংশ। খাঁটি রূপোর উপর গোল্ড-প্লেটের তৈরি প্রতিটি স্বর্ণ পদকের ওজন ৫৫৬ গ্রাম। ৫৫৬ গ্রাম ওজনের পদকে সোনা থাকে ৬ গ্রাম।এর আগে ২০১৬-র রিও অলিম্পিক্সেও সোনার পরিমাণ ছিল ৬ গ্রাম।তবে পদকের মোট ওজন কিছুটা কম ছিল (৪৯৪ গ্রাম)। রুপোর পদকের ওজন হয় ৫৫০ গ্রাম। আর তাতে পুরোটাই রুপো থাকে।ব্রোঞ্জ পদকের ওজন হয় ৪৫০ গ্রাম।তাতে ৯৫ শতাংশ ব্রোঞ্জ থাকে, ৫ শতাংশ থাকে জিঙ্ক।টোকিও অলিম্পিক্সে এটাই ছিল বিভিন্ন পদকের ওজন।
শুধু লিঙ্ক লাইনে ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg |
এক সময় শুধু সোনা দিয়েই হত পদক
তবে অলিম্পিক্সে এক সময় পুরো সোনা দিয়েই তৈরি হত পদক। ১৯১২ সালের স্টকহোম অলিম্পিক্স পর্যন্ত পুরো সোনা দিয়ে তৈরি মেডেল পেয়েছিলেন বিজয়ীরা। ১৯০৪ সালের সেন্ট লুইস অলিম্পিক্সে মেডেলের জায়গায় দেওয়া হয়েছিল সোনার ট্রফি।এরপর বিশ্বব্যাপী সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার ছোঁয়ায়, নামমাত্র সোনায় পদক তৈরি শুরু করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটি।
টোকিও অলিম্পিক্সে প্রথমবার পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পুরোনো ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য দিয়ে পদক তৈরি করা হয়।যে ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য দিয়ে অলিম্পিক্স পদক বানানো হয়,তা ডোনেট করেছিল জাপানবাসী।জানা যায় পদক তৈরির জন্য ৬২ লক্ষ পুরোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়।
পদকে আইফেল টাওয়ার?
হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন।২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সের মেডেলে ঢুকে পড়েছে আইফেল টাওয়ারের লোহা। আসলে প্যারিস মানেই আইফেল টাওয়ার,তাই এবার অলিম্পিক্সের সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জ তিনটি পদকেই থাকছে টাওয়ারের এক টুকরো লোহা।প্রতি পদকে সেই লোহার পরিমান হল ১৮ গ্রাম।আসলে টাওয়ারের রক্ষণাবেক্ষণের সময় আলাদা করে রাখা লোহার টুকরোই ব্যবহার করা হয়েছে এই মেডেলে।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ