খোশখবর ডেস্কঃ কৃত্রিম উপগ্রহ তো অনেক শুনেছেন এবার মহাকাশে ‘কৃত্রিম তারা’ পাঠানোর বন্দোবস্ত করছে নাসা। তারা ব্যাপারটা শুনেই হয়ত ঘাবড়ে যাচ্ছেন।ভাবছেন সূর্যের ভেতর না হলেও একটা ছোটখাট তারার পেটের ভেতরেই যেখানে লক্ষ লক্ষ পৃথিবী ঢুকে যেতে পারে সেখানে তারা বানানো সম্ভব কী ভাবে? আসলে শুনতে তারা হলেও ‘কৃত্রিম তারা’ আসলে একটু অন্য জিনিষ। নকল স্টারকে মহাকাশে পাঠিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটাতে চলেছে নাসা।খোশখবরের এই ভিডিওতে ব্যাপারটা একটু খুলেই বলা যাক।
UFO and alien ইউফো, এলিয়েন সত্যি নাকি ধাপ্পা? অজানা উড়ন্ত বস্তুর রহস্যটা কী?
আসলে রাতের আকাশে নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা পরিমাপ করতেই এই ‘কৃত্রিম তারা’ তৈরি করছে নাসা।এই নতুন মিশনের নামকরণ করা হয়েছে প্রয়াত আরলো ল্যান্ডল্টের নামে, যিনি বিভিন্ন নাক্ষত্রীয় উজ্জ্বলতা ক্যাটালগিং করতে সাহায্য করেছিলেন।আসলে তারাদের উজ্জ্বলতা পরিমাপ করে অনেক্কিছু জানতে পারেন বিজ্ঞানীরা।পৃথিবীর উপকুলে যত বালি আছে এই মহাবিশ্বে তার চেয়ে বেশি তারা আছে বলে মানেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।বিজ্ঞানীরা আশা করছেন মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় সৃষ্টি রহস্যের বিস্তৃত পরিসরের সমাধান করতে সাহায্য করবে এই মিশন।
আসলে রাতের আকাশে নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা পরিমাপ করতেই এই ‘কৃত্রিম তারা’ তৈরি করছে নাসা।এই নতুন মিশনের নামকরণ করা হয়েছে প্রয়াত আরলো ল্যান্ডল্টের নামে, যিনি বিভিন্ন নাক্ষত্রীয় উজ্জ্বলতা ক্যাটালগিং করতে সাহায্য করেছিলেন।আসলে তারাদের উজ্জ্বলতা পরিমাপ করে অনেক্কিছু জানতে পারেন বিজ্ঞানীরা।পৃথিবীর উপকুলে যত বালি আছে এই মহাবিশ্বে তার চেয়ে বেশি তারা আছে বলে মানেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।বিজ্ঞানীরা আশা করছেন মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় সৃষ্টি রহস্যের বিস্তৃত পরিসরের সমাধান করতে সাহায্য করবে এই মিশন।
কবে এবং কীভাবে কাজ শুরু করবে এই মিশন? ভার্জিনিয়ার জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং ল্যান্ডল্ট মিশনের প্রধান পিটার প্লাভচান, লাইভ সায়েন্সকে একটি ইমেলে জানিয়েছেন যে ২০২৯ সালের প্রথম দিকে পৃথিবীর কক্ষপথে একটি কৃত্রিম নক্ষত্র পাঠানো হবে – যা আসলে একটি উপগ্রহ। বাক্সের আকারের এই স্যাটেলাইটে থাকবে আটটি লেজার লাইট।প্রায় তারা বা সুপারনোভার মত ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আকাশে থাকা এই নক্ষত্রকে খালি চোখে না হলেও পৃথিবীতে বসানো টেলিস্কোপের সাহায্যে দেখা যাবে।
এই কৃত্রিম আলো দেখেই বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করবেন, বায়ুমণ্ডল ভেদ করে নক্ষত্রের আলো কতটা পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে। অর্থাৎ একটি নক্ষত্র থেকে আলো পৃথিবীতে আসার সময় বায়ুমণ্ডল কোনো আলো শুষে নেয় কি না বা নিলে কতটা শুষে নেয় সে পরীক্ষাও সঠিকভাবে এর সাহায্যে করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
এই কৃত্রিম নক্ষত্রের ওপর একযোগে নজর রাখবে চারটে বিখ্যাত টেলিস্কোপ। সেগুলি হল হাওয়াইয়ের মাওনা কিয়া অবজারভেটরির ইউএইচ ৮৮ টেলিস্কোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২.৬ ফুটের টেলিস্কোপ, ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার অবজারভেটরির হেল টেলিস্কোপ ও ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরি।
Babasaheb Ambedkar Quotes আম্বেদকরের কিছু উক্তি যা আমাদের প্রতিদিনের পথ চলতে শেখায়
প্রশ্ন হল কোথায় থাকবে এই নকল তারা? নাসার তথ্য অনুযায়ী একে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ঠিক ২২,২৩৬ মাইল বা ৩৫,৭৮৫কিলোমিটার উপরে স্থাপন করা হবে। এটি পৃথিবীর চারপাশে জিওসিঙ্ক্রোনাস কক্ষপথে থাকবে।যার অর্থ এর গতি পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি সমান হওয়ায় একে রাতের আকাশে জায়গায় স্থির বলেই মনে হবে। ১৯.৫ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পে কাজ করবে মোট ৩০ জনের একটি দল।
গবেষকদের বিশ্বাস এই প্রকল্পের সাহায্যে তারার উজ্জ্বলতা এবং দূরত্ব আরও সঠিকভাবে পরিমাপ করতে সক্ষম হবেন তাঁরা।এই মিশন এলিয়েন নক্ষত্রের চারপাশে আরও এক্সোপ্ল্যানেট সনাক্ত করতে সাহায্য করবে।পাশাপাশি একটি তারার বয়স কত এবং সময়ের সঙ্গে তা কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে তা নির্ধারণ করতে পারবে এই ল্যান্ডল্ট মিশন। ল্যান্ডোল্ট মিশনের আরেকটি প্রধান লক্ষ্য হল গবেষকদের মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে সাহায্য করা, যা বর্তমানে সৃষ্টিতত্ত্বের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলির মধ্যে একটি।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ