খোশখবর ডেস্কঃ মহাকাশে গিয়ে আটকে পড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর।কবে তাঁরা পৃথিবীতে ফিরবেন সে নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনও জানানো সম্ভব হয় নি।আমাদের দেশের বুকে বা পৃথিবীর কোনও প্রান্তে আটকে থাকার সমস্যা নয়।মহাকাশ হল এমন জায়গা যেখানে চাইলেই চলে যাওয়া বা ফেরার উপায় নেই। ফলে কতটা বিপজ্জনক হতে চলেছে এখনই সুনীতা উইলিয়ামসদের ফিরতে না পারাটা?
Space Telescope সৃষ্টি রহস্যের খোঁজ, জেমস ওয়েবের পর মহাকাশে আরও আধুনিক টেলিস্কোপ পাঠাবে নাসা।
গত ৫ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে পাড়ি দেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর।যদিও এর আগে দু'বার যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই অভিযান। অবশেষে সিএসটি-২০০ বোয়িং স্টারলাইনার স্পেস ক্যাপসুলে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেন সুনীতা উইলিয়ামসরা। তবে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হলেও বিপদের কথা জানা যায়। সিএনএন জানায় যে থ্রাস্টার সমস্যা সহ ‘স্টারলাইনার’ রকেটে হিলিয়াম গ্যাস লিক হওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে।
গত ৫ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে পাড়ি দেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর।যদিও এর আগে দু'বার যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই অভিযান। অবশেষে সিএসটি-২০০ বোয়িং স্টারলাইনার স্পেস ক্যাপসুলে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেন সুনীতা উইলিয়ামসরা। তবে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হলেও বিপদের কথা জানা যায়। সিএনএন জানায় যে থ্রাস্টার সমস্যা সহ ‘স্টারলাইনার’ রকেটে হিলিয়াম গ্যাস লিক হওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে।
শুধু ক্লিক করুন এই লিঙ্কে |
মহাকাশযানের নীচে একটি নলাকার সংযুক্তি যা ফ্লাইটের সময় শক্তি সরবরাহ করে, তাও সমস্যার মুখোমুখি হয়। এর পরেই সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন ওঠে নাসা ও বোয়িং উভয়ের কাছেই হিলিয়াম লিকের বিষয়টি নজরে থাকলেও সুনীতাদের যাত্রায় সবুজ সংকেত দেওয়া হল কী করে?
যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পরার পর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে সুনীতাদের ফেরার পথ মসৃণ হবে না। ৮ দিনের মিশনে মহাকাশে গিয়ে গবেষণার কাজ সেরে ১৩ জুন ফেরার কথা থাকলেও পরে সেই তারিখ পিছিয়ে হয় ২৬ জুন। বার বার বাতিল করা হয়েছে পৃথিবীর উদ্দেশে তাদের রওনা হওয়ার দিন।এখন জানা যাচ্ছে সুনীতা উইলিয়ামদের মহাকাশে কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে।
নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ বলেছেন যে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা স্টারলাইনারের মিশনের সময়কাল ৪৫ দিন থেকে ৯০ দিন বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। স্টিচ আরও জানিয়েছেন যে "আমরা পৃথিবীতে ফেরার জন্য তাড়াহুড়ো করছি না।"
Yuri’s Night & Gagarin মহাকাশে প্রথম মানুষ গ্যাগারিন,গিয়েছিলেন ১২ এপ্রিল,কাকে বলে ‘ইউরির রাত্রি’
কেন বিপদে পড়া সত্ত্বেও সুনীতা উইলিয়ামদের পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না নাসা? কারণ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সুনীতারা ছাড়া বর্তমানে আরও পাঁচজন মহাকাশচারী আছেন। অন্য মহাকাশ যাত্রীদের সঙ্গে নিরাপদেই রয়েছেন তাঁরা। রয়েছে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা। মাস দেড়েক সেখানে তাঁরা অন্য গবেষণার কাজে চালিয়ে যেতে পারবেন।
কেন বিপদে পড়া সত্ত্বেও সুনীতা উইলিয়ামদের পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না নাসা? কারণ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সুনীতারা ছাড়া বর্তমানে আরও পাঁচজন মহাকাশচারী আছেন। অন্য মহাকাশ যাত্রীদের সঙ্গে নিরাপদেই রয়েছেন তাঁরা। রয়েছে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা। মাস দেড়েক সেখানে তাঁরা অন্য গবেষণার কাজে চালিয়ে যেতে পারবেন।
তবে মহাকাশে অপেক্ষা করতে এই নভোচারীদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ, দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের দুইজনেরই। সেখানে হয়তো এই দেড় মাস তাঁরা কোনো গবেষণা কাজে যুক্ত হবেন। এর মধ্যে দিনক্ষণ না দেওয়া হলেও তাদের ফেরানোর কোনও বিকল্প ব্যবস্থা করে ফেলবে নাসা। কাজেই যতটা বিপদ বলে ভাবা হচ্ছে ততটা বিপদে নেই সুনীতা উইলিয়ামসরা।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ