একনজরে

10/recent/ticker-posts

milky way galaxy এই মহাবিশ্বে আমরা কোথায় থাকি? ঠিকানা মিল্কিওয়ে ব্যাপারটা কি?


খোশখবর ডেস্কঃ মহাবিশ্বের ব্যাপারস্যাপারই আলাদা।এর বিশালতার কোনও আন্দাজ করাই মুশকিল। আমাদের পৃথিবীই তো কত বড়। এই ধরিত্রীর বনাঞ্চল, পাহাড়, সমুদ্র এক জীবনে পেরোতে পারে না মানুষ। আর্থ নামক আমাদের এই গ্রহের বাস সৌরজগতে। কল্পনাতেও যদি কোনও দিন মহাবিশ্বের কোনও এক প্রান্তে আমাদের সঙ্গে বহির্জগতের বুদ্ধিমান প্রাণীদের দেখা হয়ে যায় তাহলে আমাদের ঠিকানায় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কথা। কারণ আমাদের চোখে বিশাল হলেও বিশ্বজগতের কোলে নেহাতই একটা সাদামাটা তারা সূর্যের বাড়ি এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতেই।


Spending time mobile-laptop মোবাইল-ল্যাপটপে বেশি সময় কাটাচ্ছেন? – জেনে নিন পাঁচটি সাবধানবাণী

এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি নিয়েই কৌতূহলের শেষ নেই বিজ্ঞানী মহলে। এর পেটের ভেতরে আছে সূর্যের চেয়ে ছোট বা বড় কোটি কোটি কোটি তারা। আমরা রাতের আকাশে দুধের সরের মতো যে হালকা সাদা আলোর রেখা দেখতে পাই সেটাই হল মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি। অসংখ্য নক্ষত্রের সমাবেশেই তৈরি হয় এই আলোক রেখা। সেই ১৬১০ সালে নিজের টেলিস্কোপের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করে গ্যালিলিওই প্রথম বলেছিলেন যে এই আলোর রাস্তা আসলে বহু নক্ষত্রের সমাবেশ।

মিল্কিওয়ে নাম এল কীভাবে?

জানা যায় রোমানদের ভায়া লেকটা বা রোড অফ মিল্ক থেকেই মিল্কিওয়ে নামটা এসেছে। আবার প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এই আলোর রেখাকে নদীর ধারার মতো মনে হওয়ায় তার নাম আকাশগঙ্গা।


মিল্কিওয়ে ও আমাদের বিশ্ব

১৯২০ র দশকের শুরু পর্যন্ত, বেশিরভাগ জ্যোতির্বিজ্ঞানীই মনে করতেন যে মিল্কিওয়েই নিজেই বিশ্ব বা ইউনিভার্স। তাতেই রয়েছে সমস্ত তারা। কিন্তু এডউইন হাবল তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান যে মিল্কিওয়ে আসলে এই মহাবিশ্বে বহু বহু ছায়াপথের মধ্যে একটি মাত্র।

ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন ‘খোশখবর’ ইউটিউব চ্যানেলে 


মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি দেখতে কেমন? কী আছে কেন্দ্রে?

আকাশগঙ্গা হল একটি সর্পিলাকার ছায়াপথ, এর কেন্দ্রে একটি স্ফীত অংশ দেখা যায়। এই গ্যালাক্সির রয়েছে ৪টি প্রধান বাঁকানো বা স্পাইরাল বাহু। এই স্পাইরাল বাহুই একটি গ্যালাক্সির নতুন নক্ষত্র উৎপাদনের প্রধান জায়গা। এর কেন্দ্রে একটি রয়েছে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল Sagittarius A। আমাদের সৌরজগৎ এবং মিল্কিওয়ের মধ্যে থাকা অন্যান্য সমস্ত পদার্থ এই সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের চারপাশে ঘুরে চলেছে।এর ভর আমাদের সূর্যের প্রায় চার মিলিয়ন গুণ।

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি কত বড়?

বিজ্ঞানীদের হিসেব অনুযায়ী মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি প্রায় ১ লক্ষ আলোকবর্ষ ব্যাসের এলাক জুড়ে অবস্থিত। আর এর পেটের ভেতর আছে প্রায় ৪০০ বিলিয়ন বা ৪০ হাজার কোটি তারা। তবে শুধু তারা নয়, সৌর জগতের মতই মিল্কিওয়েতে কোটি কোটি তারার গ্রহের পরিবার রয়েছে।আর এথেকেই আমাদের এই বিশাল মিল্কিওয়েতেই সৌরজগতের বাইরেও প্রাণ থাকার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

শুধু লিঙ্ক লাইনে ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন  www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg  


 তবে যে কথা হচ্ছিল - এই গ্যালাক্সি কত বড়? আপনি যদি আলোর গতিতে চলে এমন কোনও মহাকাশ যানে চেপে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে যাত্রা শুরু করেন তাহলে প্রান্তে পৌঁছোতে লাগবে এক লক্ষ বছর।তবে মহাবিশ্বের কোলে এ এমন কিছুই বড় ব্যাপার নয়।আমাদের প্রতিবেশী গ্যালাক্সি, অ্যান্ড্রোমিডার অবস্থান প্রায় ২ লক্ষ ২০,০০০ আলোকবর্ষ এলাকা জুড়ে।

Lambridis’s Unexpected Creation অসাধারণ, ভাঙাচোরা ফেলে দেওয়া জিনিস থেকেই শিল্প সৃষ্টি করেন কস্টাস লামব্রিডিস।

আমরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কোথায় আছি?

আমাদের গ্রহ যেমন সূর্যের চারপাশে ঘোরে, তেমনই আমাদের সৌরজগৎও মিল্কিওয়ের কেন্দ্রকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করে। আর আমাদের সূর্য এর কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৬০০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। আর আমাদের যেমন ১ বছর তেমন গোটা সৌরজগৎ -এর এই গ্যালাকটিক কেন্দ্রের চারপাশে একবার ঘুরতে প্রায় ২৩০ মিলিয়ন বছর সময় লাগে।


বিশ্ব রহস্যের খোঁজ

গ্যালাক্সি হচ্ছে এমন এক বৃহৎ সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা যা তারা, তারাদের মধ্যবর্তী গ্যাস ও ধূলিকণা, পদার্থের চতুর্থ অবস্থা প্লাজমা এবং প্রচুর অদৃশ্য অজানা বস্তু ডার্ক ম্যাটার দিয়ে তৈরি। নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, আমরা মিল্কিওয়ের বুকে যা কিছু দেখতে পাই তা গ্যালাক্সির ভরের প্রায় ৫ শতাংশ। তাহলে বাকিটা? এখনও অজানা।তাই তো রহস্য উন্মোচন করতে অঙ্ক কষার অন্ত নেই বিজ্ঞানীদের। ব্ল্যাক ম্যাটার রহস্যের খোঁজে কাজ শুরু করেছে ইউক্লিড টেলিস্কোপ।আসলে আমাদের কাছে বিশাল মনে হলেও মহাবিশ্বের বুকে এক একটা গ্যালাক্সি সে অর্থে খুবই ছোট ব্যাপার। মিল্কিওয়ের রহস্য উন্মোচনই পথ দেখাবে বিশাল বিপুল অকল্পনীয় মহাবিশ্ব রহস্যের সন্ধানে।

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code