খোশখবর ডেস্কঃ কারগিল যুদ্ধের রজতজয়ন্তী মহোৎসবে লাদাখের সেই যুদ্ধক্ষেত্রে হ্যাম রেডিও অপারেট করে নজর কাড়ল হুগলির উত্তরপাড়ার ‘ইন্ডিয়ান ওয়েভ অফ অ্যামেচার রেডিও’র দুই সদস্য। শুধু তাই নয় ভারত সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়্যারলেস প্ল্যানিং অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন উইং- এর ব্যবস্থাপনায় এই কর্মকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্বাঞ্চলের একমাত্র এবং ভারতের তৃতীয় অংশগ্রহণকারী ক্লাব হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা।
প্রতি বছর ভারত সরকার ২৬শে জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপন করে।এ বছর, যোগাযোগ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ভারতীয় সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেয় যে দেশের বিভিন্ন HAM ক্লাবকে সেনাদের প্রতি অভিবাদন প্রকাশের জন্য ১৩,০০০ ফুটের উপরে একটি সীমাবদ্ধ সামরিক অঞ্চল থেকে স্টেশন পরিচালনা করার অনুমতি দেবে।
ভারত সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের টেলিযোগাযোগ বিভাগ ওয়্যারলেস প্ল্যানিং অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন উইং–এর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে কারগিল জেলায় অ্যামেচার রেডিও ক্লাবগুলিকে একটি উপযুক্ত জায়গায় এক সপ্তাহের জন্য ফিল্ড স্টেশন স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে। এই সময়কালে রেডিও স্টেশনগুলি কারগিলে বিশ্বব্যাপী অন্যান্য অপেশাদার রেডিও স্টেশনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং কার্গিল বিজয় দিবসের থিম অনুসারে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে।
খোশখবরের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হ্যাম ক্লাব সেক্রেটারি তনুময় চক্রবর্তী জানান যে কারগিলের ওই নির্জন উচ্চতায় সেনাবাহিনীর কর্মক্ষেত্রে এমন কাজের অভিজ্ঞতা অনন্য - যা সারা জীবনে ভোলার নয়। তিনি জানান যে এই পর্যায়ে দুটি রেডিও অপারেটরের দল হিসেবে কাজ করেছেন তাঁরা যা ছিল ভারত জুড়ে এই ইভেন্টে অন্যান্য সমস্ত অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলির মধ্যে সবচেয়ে ছোট। ব্রিগেডিয়ার জয়দীপ চন্দের কাছ থেকে বিশেষ সম্মান প্রাপ্তিও ভোলার নয়।
আসলে ‘ইন্ডিয়ান ওয়েভ অফ অ্যামেচার রেডিও’র কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপনের মত এমন মর্যাদাপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে দিয়েছে নানা পূর্ব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা। ১৯৯৫ সালে পথ চলা শুরু করা এই অ্যামেচার রেডিও ক্লাব এই ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম সংগঠনগুলির মধ্যে একটি। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হ্যাম’ রেডিও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই ক্লাব।
Click here: https://whoquoteswhat.com |
৩রা মে থেকে ২৬ জুলাই, ১৯৯৯ - কারগিলের ১৩,০০০ ফুট উপরে পাকিস্তানের সঙ্গে হাড় হিম করা যুদ্ধে বিজয় পতাকা উড়িয়েছিল ভারতীয় সেনা।দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে ২৫টি বছর।তবুও পাক সেনাকে মুখের মত জবাব দেওয়া ভারতীয় জওয়ানদের সেদিনের বীরত্বের কথা আজও ভোলে নি দেশের মানুষ।২০২৪ হল সেই যুদ্ধেরই রজতজয়ন্তী বর্ষ।এই উপলক্ষ্যেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বছরভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।তারই একটা অংশ ছিল কারগিলের বুকে অ্যামেচার রেডিও ক্লাবগুলোর স্টেশন পরিচালনা করার বিশেষ সুযোগ।
কারগিল, এখান থেকে কিছু দূরেই পাকিস্তান |
প্রতি বছর ভারত সরকার ২৬শে জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপন করে।এ বছর, যোগাযোগ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ভারতীয় সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেয় যে দেশের বিভিন্ন HAM ক্লাবকে সেনাদের প্রতি অভিবাদন প্রকাশের জন্য ১৩,০০০ ফুটের উপরে একটি সীমাবদ্ধ সামরিক অঞ্চল থেকে স্টেশন পরিচালনা করার অনুমতি দেবে।
হরকা বাহাদুর মেমোরিয়াল,কারগিল |
ভারত সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের টেলিযোগাযোগ বিভাগ ওয়্যারলেস প্ল্যানিং অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন উইং–এর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে কারগিল জেলায় অ্যামেচার রেডিও ক্লাবগুলিকে একটি উপযুক্ত জায়গায় এক সপ্তাহের জন্য ফিল্ড স্টেশন স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে। এই সময়কালে রেডিও স্টেশনগুলি কারগিলে বিশ্বব্যাপী অন্যান্য অপেশাদার রেডিও স্টেশনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং কার্গিল বিজয় দিবসের থিম অনুসারে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রক এবং সেনাবাহিনীর নানা নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় মান পূরণ করে করে এই রাজ্য থেকে এই প্রোগ্রামে যোগদানের সুযোগ পায় হুগলির উত্তরপাড়ার ‘ইন্ডিয়ান ওয়েভ অফ অ্যামেচার রেডিও’।গত ৩০ মে থেকে ২রা জুন,২০২৪ স্মরণীয় এই মিশনে অংশ নেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তাপস চক্রবর্তী এবং সেক্রেটারি তনুময় চক্রবর্তী ওরফে জর্জ।তাদের স্পেশাল কলসাইন AU25KVD দেওয়া হয়।
শুধু লিঙ্ক লাইনে ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg |
খোশখবরের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হ্যাম ক্লাব সেক্রেটারি তনুময় চক্রবর্তী জানান যে কারগিলের ওই নির্জন উচ্চতায় সেনাবাহিনীর কর্মক্ষেত্রে এমন কাজের অভিজ্ঞতা অনন্য - যা সারা জীবনে ভোলার নয়। তিনি জানান যে এই পর্যায়ে দুটি রেডিও অপারেটরের দল হিসেবে কাজ করেছেন তাঁরা যা ছিল ভারত জুড়ে এই ইভেন্টে অন্যান্য সমস্ত অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলির মধ্যে সবচেয়ে ছোট। ব্রিগেডিয়ার জয়দীপ চন্দের কাছ থেকে বিশেষ সম্মান প্রাপ্তিও ভোলার নয়।
ব্রিগেডিয়ার জয়দীপ চন্দের সঙ্গে তনুময় চক্রবর্তী |
আসলে ‘ইন্ডিয়ান ওয়েভ অফ অ্যামেচার রেডিও’র কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপনের মত এমন মর্যাদাপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে দিয়েছে নানা পূর্ব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা। ১৯৯৫ সালে পথ চলা শুরু করা এই অ্যামেচার রেডিও ক্লাব এই ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম সংগঠনগুলির মধ্যে একটি। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হ্যাম’ রেডিও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই ক্লাব।
এছাড়াও ফি বছর রেডিও কমিউনিকেশন টিমের অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনে এই সংস্থা স্বেচ্ছায় অংশ নেয়। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় 'আইলা'র পাশাপাশি ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডে ‘হরপা বান’-এর সময় এনআইএআর, হায়দ্রাবাদের নেতৃত্বে রেডিও যোগাযোগে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে ‘ইন্ডিয়ান ওয়েভ অফ অ্যামেচার রেডিও’।এবার ঐতিহাসিক কারগিল যুদ্ধের প্রান্তরে বসে রেডিও যোগাযোগের এমন কাজ তাদের মুকুটে আলাদা পালক যোগ করল বৈকি।
তথ্য ও ছবিঃ ‘ইন্ডিয়ান ওয়েভ অফ অ্যামেচার রেডিও’র সৌজন্যে প্রাপ্ত[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ