খোশখবর ডেস্কঃ ইচ্ছে থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে মানুষ।যেমন আজ আমরা আপনাদের শোনাবো এক কনকনে শীতে এক প্রায় অন্ধকার গ্রামে সূর্যের আলো নিয়ে আসার ঘটনা।এজন্য আমাদের যেতে হবে ইতালি ও সুইজারল্যান্ডের সীমান্তর একটি উপত্যকায় অবস্থিত একটা ছোট্ট গ্রাম ভিগানেল্লাই।সেখানেই এক আশ্চর্য উপায়ে সূর্যের আলো এনে অসাধ্য সাধন করে ফেলেছে সেখানকার মানুষ।
Crooked House in Poland পোল্যান্ডের আঁকাবাঁকা আশ্চর্য বাড়ি, অবাক বিশ্ব!
প্রকৃতি বিরূপ থাকলেও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে খরা থেকে রক্ষা পেতে খাল কাটা থেকে শুরু করে অশান্ত নদী, প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে থামাতে ম্যানগ্রোভের দেওয়াল তুলেছে মানুষ।প্রকৃতির বুকেই কখনও নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে আবার কখনও তাকে বুকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ের খবর পেয়েছি আমরা।আজকের এক প্রায় অন্ধকার গ্রামে সূর্যের আলো নিয়ে আসার ঘটনাটা অনেকের মধ্যে অন্যরকম। ।
ইতালির ছোট্ট গ্রাম ভিগানেল্লার এক অদ্ভুত সমস্যা। পাহাড়ে ঘেরা এই এলাকা প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন মাস ডুবে থাকে প্রায় অন্ধকারে। একটুও সূর্যের সান্নিধ্য না পাওয়ায় স্যাঁতসেঁতে ঠান্ডায় জীবনটাই হয়ে ওঠে ফ্যাকাসে।রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশের খোঁজে অনেকেই এখান থেকে অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেন একসময়।
ব্যাপারটা গভীরভাবে ভাবায় এলাকার তৎকালীন মেয়র ফ্রাঙ্কো মিদালিকে।কী ভাবে সূর্যের আলো না পাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যায় তার উপায় খুঁজতে থাকেন তিনি।ভাইস নিউজ এর তথ্য উল্লেখ করে এনডিটিভির রিপোর্ট জানাচ্ছে একটি বিশাল আয়নার সাহায্যে সূর্যালোক প্রতিফলিত করে আলো আনার ব্যবস্থা করে ফেলেন তিনি।
মেয়রের এই আশ্চর্য ভাবনাকে সফল করতে এগিয়ে আসেন স্থপতি গিয়াকোমো বনজানি এবং ইঞ্জিনিয়ার জিয়ান্নি ফেরারি।২০০৬ সালে বানানো হয় আট মিটার চওড়া, পাঁচ মিটার লম্বা এক বিশাল আয়না। বার্ষিক ৮৩ দিনের অন্ধকার মোকাবিলা করার জন্য গড়ে তোলা হয় এই আয়না সিস্টেম।
৪০ বর্গমিটারের আয়নার ওজন দাঁড়ায় ১.১ টন – তা সূর্যের আলোর দিকে মুখ করে যা বসিয়ে দেওয়া হয় একটি পাহাড়ের কোলে। আয়নার মূল ফোকাস করা থাকে গ্রামের সকলের আরাধনার জায়গা গির্জার উপর।
অনেকেই বলেন নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।শীতকালে সূর্যের কথা ভুলতে বসা ভিগানেল্লায় সত্যি সূর্য না এলেও তার প্রতিফলিত হওয়া আলো তো এল।এতেই খুশি ইতালির এই ক্ষুদে গ্রামের মানুষ।তবে এই গুণপণার সবটা এখনও বলা হয় নি।সূর্যের পথ ট্র্যাক করার জন্য এর পেটের ভেতরে থাকা কম্পিউটারে পোগ্রাম সেট করা হয়েছে।এতে এই আয়না দিনে ছয় ঘন্টা সূর্যালোক প্রতিফলিত করে। বলাই বাহুল্য যে আয়নাটি শুধুমাত্র শীতকালে ব্যবহার করা হয়।আর বাকি সময়? বছরের বাকি সময় তা পাহাড়ের কোলেই ঢেকে রাখা হয়।
তবে শুধু ইতালিই নয় এরকম ধরণের আয়না বসানো হয়েছে নরওয়ের শহর রজুকানেও। ভিগানেলার সাফল্যের গল্পে অনুপ্রাণিত হয়েই ২০১৩ সালে দক্ষিণ-মধ্য নরওয়ের একটি উপত্যকায় বসানো হয় বড় বড় তিনটে আয়না – যা আলোর হাসি ফুটিয়েছে এই ছোট্ট শহরের বাসিন্দাদের মুখেও।
প্রকৃতি বিরূপ থাকলেও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে খরা থেকে রক্ষা পেতে খাল কাটা থেকে শুরু করে অশান্ত নদী, প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে থামাতে ম্যানগ্রোভের দেওয়াল তুলেছে মানুষ।প্রকৃতির বুকেই কখনও নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে আবার কখনও তাকে বুকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ের খবর পেয়েছি আমরা।আজকের এক প্রায় অন্ধকার গ্রামে সূর্যের আলো নিয়ে আসার ঘটনাটা অনেকের মধ্যে অন্যরকম। ।
ইতালির ছোট্ট গ্রাম ভিগানেল্লার এক অদ্ভুত সমস্যা। পাহাড়ে ঘেরা এই এলাকা প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন মাস ডুবে থাকে প্রায় অন্ধকারে। একটুও সূর্যের সান্নিধ্য না পাওয়ায় স্যাঁতসেঁতে ঠান্ডায় জীবনটাই হয়ে ওঠে ফ্যাকাসে।রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশের খোঁজে অনেকেই এখান থেকে অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেন একসময়।
ব্যাপারটা গভীরভাবে ভাবায় এলাকার তৎকালীন মেয়র ফ্রাঙ্কো মিদালিকে।কী ভাবে সূর্যের আলো না পাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যায় তার উপায় খুঁজতে থাকেন তিনি।ভাইস নিউজ এর তথ্য উল্লেখ করে এনডিটিভির রিপোর্ট জানাচ্ছে একটি বিশাল আয়নার সাহায্যে সূর্যালোক প্রতিফলিত করে আলো আনার ব্যবস্থা করে ফেলেন তিনি।
শুধু লিঙ্ক লাইনে ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg |
মেয়রের এই আশ্চর্য ভাবনাকে সফল করতে এগিয়ে আসেন স্থপতি গিয়াকোমো বনজানি এবং ইঞ্জিনিয়ার জিয়ান্নি ফেরারি।২০০৬ সালে বানানো হয় আট মিটার চওড়া, পাঁচ মিটার লম্বা এক বিশাল আয়না। বার্ষিক ৮৩ দিনের অন্ধকার মোকাবিলা করার জন্য গড়ে তোলা হয় এই আয়না সিস্টেম।
৪০ বর্গমিটারের আয়নার ওজন দাঁড়ায় ১.১ টন – তা সূর্যের আলোর দিকে মুখ করে যা বসিয়ে দেওয়া হয় একটি পাহাড়ের কোলে। আয়নার মূল ফোকাস করা থাকে গ্রামের সকলের আরাধনার জায়গা গির্জার উপর।
অনেকেই বলেন নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।শীতকালে সূর্যের কথা ভুলতে বসা ভিগানেল্লায় সত্যি সূর্য না এলেও তার প্রতিফলিত হওয়া আলো তো এল।এতেই খুশি ইতালির এই ক্ষুদে গ্রামের মানুষ।তবে এই গুণপণার সবটা এখনও বলা হয় নি।সূর্যের পথ ট্র্যাক করার জন্য এর পেটের ভেতরে থাকা কম্পিউটারে পোগ্রাম সেট করা হয়েছে।এতে এই আয়না দিনে ছয় ঘন্টা সূর্যালোক প্রতিফলিত করে। বলাই বাহুল্য যে আয়নাটি শুধুমাত্র শীতকালে ব্যবহার করা হয়।আর বাকি সময়? বছরের বাকি সময় তা পাহাড়ের কোলেই ঢেকে রাখা হয়।
তবে শুধু ইতালিই নয় এরকম ধরণের আয়না বসানো হয়েছে নরওয়ের শহর রজুকানেও। ভিগানেলার সাফল্যের গল্পে অনুপ্রাণিত হয়েই ২০১৩ সালে দক্ষিণ-মধ্য নরওয়ের একটি উপত্যকায় বসানো হয় বড় বড় তিনটে আয়না – যা আলোর হাসি ফুটিয়েছে এই ছোট্ট শহরের বাসিন্দাদের মুখেও।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ