একনজরে

10/recent/ticker-posts

Euclid Telescope and Dark Matter ডার্ক ইউনিভার্স রহস্যের খোঁজে ইউক্লিড টেলিস্কোপ! তথ্য পেয়ে আশ্চর্য বিজ্ঞানীরা।


খোশখবর ডেস্কঃ মহাবিশ্বের সম্পূর্ণ গঠন রহস্যের খোঁজ এখনও পায় নি মানুষ।ঠিক কীভাবে এই ইউনিভার্সের সৃষ্টি, আকারে তা কত বড় তার কোনও তলই খুঁজে পাননি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

Saturn’s rings disappear হারিয়ে যাবে শনির বলয়,রহস্যটা কী? কী ব্যখ্যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের?

প্রথমে ভাবা হত সৌরজগতের বাইরেই বুঝি বিশ্বের শেষ।তারপর জানা গেল গ্যালাক্সিদের কথা। কোটি কোটি কোটি তারা নিয়ে তৈরি গ্যালাক্সি। এরপর সামনে এল বিশ্ব সংসারে গ্যালাক্সির সংখ্যারও কোনও শেষ নেই। মহাবিশ্ব ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিগ ব্যং থিওরির কথা মানলে আজ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩৭৫ কোটি বছর আগে এক মহাবিস্ফোরণে ইউনিভার্সের সৃষ্টি হয়েছিল।সৃষ্টি হয়েছিল নক্ষত্রপুঞ্জ,গ্যালাক্সি, তারা ও অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর। মানুষ যত উন্নত হয়েছে, বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে ততই চেষ্টা করেছে মহাবিশ্বের রহস্যের জট খোলার। 


এই বিশ্বে আর কোথাও কী মানুষের মত উন্নত প্রাণী নেই? – চেষ্টা চলেছে তার উত্তর খোঁজারও। মহাবিশ্বের রহস্য জানতে পৃথিবীর বুকে বসানো হয়েছে বিশাল বিশাল অপটিক্যাল ও রেডিও টেলিস্কোপ। মহাকাশে পাঠানো হয়েছে হাবলস স্পেস টেলিস্কোপ থেকে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। সত্যি বলতে কী ইউনিভার্সের বিশালতা সম্পর্কে যত জেনেছে ততই অবাক,বিষ্মিত হয়েছে মানুষ।জানা যাচ্ছে এই বিশাল, বিপুল মহাবিশ্বের যা আমরা দেখতে পাই তা প্রায় কিছুই নয়। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন মহাবিশ্বের বিপুল ভর ও শক্তির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী যা তা হল ডার্ক ম্যাটার (Dark matter) ও ডার্ক এনার্জি (Dark Energy)।


জ্যোর্তিবিজ্ঞানের গবেষকেরা মনে করেন ইউনিভার্সের প্রায় ৯৫ ভাগই তৈরি হয়েছে ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জির সাহায্য। কিন্তু এদের দেখা না গেলেও মহাবিশ্বে এর অস্তিত্ব খুঁজে পেতে কাজে নামানো হয়েছে ইউক্লিড স্পেস টেলিস্কোপকে। ২০২৩ সালে ফ্লোরিডার (Florida) কেপ ক্যানাভারাল থেকে স্পেস এক্স ফ্যালকন ৯ (SpaceX falcon 9) রকেটে চাপিয়ে এই স্পেস টেলিস্কোপকে মহাকাশে পাঠায় ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। তা রয়েছে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৬ লক্ষ কিলোমিটার দূরে ল্যাগারাঞ্জ ২ পয়েন্টে ।

শুধু লিঙ্ক লাইনে ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন  www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg  


ঠিক হয় প্রায় ২ টন ওজনের ইউক্লিড ১০০০ কোটি আলোকবর্ষ পর্যন্ত বিস্তৃত কোটি কোটি নক্ষত্রপুঞ্জের দিকে নজর রাখবে। স্পেস-টাইম জুড়ে মহাশূন্যের এক বিশাল ম্যাপ তৈরি করবে সে।

সেই ইউক্লিড স্পেস টেলিস্কোপ ইতিমধ্যেই তুলে ফেলেছে মহাকাশের লক্ষ লক্ষ ছবি। ইউক্লিডের তোলা কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি । এর মধ্যে আছে বিশাল গ্যালাক্সি ক্লাস্টার অ্যাবেল ২৩৯০ - এর একটি ছবি যা আছে ২.৭ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে, যেখানে ৫০,০০০টিরও বেশি ছায়াপথ রয়েছে। নাসার দেওয়া তথ্য অনুসারে অ্যাবেল ২৩৯০ প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন সূর্যের ভরের সমান।


মেসিয়ার ৭৮-এ উঠে এসেছে ১৩০০ আলোকবর্ষ দূরে অরিয়ন নক্ষত্রমণ্ডলে তারাদের জন্ম নেওয়ার অভূতপূর্ব ছবি। গ্যাস ও ধূলিকণার মধ্যে তৈরি হচ্ছে নক্ষত্র। প্রকাশ করা হয়েছে পৃথিবী থেকে প্রায় ১০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের গ্যালাক্সি ক্লাস্টার অ্যাবেল ২৭৬৪-এর একটি ছবি। ধরা পড়েছে গ্যালাক্সি গুলোর একে অপরের চারপাশে ঘোরার ছবি।


এই সব গ্যালাক্সি ক্লাস্টার, গ্যাসের রঙিন মেঘ ও বৃহত্তম সর্পিলাকার গ্যালাক্সির ছবি পরীক্ষা করেই অজানা তথ্যের হদিস পাবেন বিজ্ঞানীরা।খুলে যাবে ডার্ক ইউনিভার্সের গঠন ও বিশ্ব বিবর্তনের নতুন দিগন্ত।যা দেবে ব্রহ্মাণ্ডের বহু বিস্ময়ের হদিশ।

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code