খোশখবর ডেস্কঃ দেখতে দেখতে প্রায় ১ বছর পার। ২০২৩ সালের ২৩ অগষ্ট সঠিক সময়ে নিরাপদে চাঁদের দক্ষিণমেরুতে ল্যান্ডার বিক্রমকে অবতরণ করিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিল ইসরো।
এবার নজরকাড়া কৃতিত্বের জন্যই পুরস্কার পাচ্ছে ভারতের ‘চন্দ্রযান-৩’ মিশন। সাফল্যকে সম্মান জানিয়ে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ফেডারেশন ইসরোকে দিচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড স্পেস অ্যাওয়ার্ড’।
ভারতই বিশ্বের প্রথম দেশ যাদের তৈরি মহাকাশযান চাঁদের দক্ষিণমেরুতে পা রাখল।তবে চাঁদে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করানো দেশের তালিকায় আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পরেই চতুর্থ দেশ হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছে ভারত। তবে সাফল্যের এই পথ মোটেই সহজ ছিল না।অতন্ত্য কম বাজেটে তীক্ষ্ণ ও দূরদর্শী প্রযুক্তিগত জ্ঞানের পরিচয় দিয়ে ‘চন্দ্রযান-৩’-এর সাফল্য এনে দিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
শুধু লিঙ্ক লাইনে ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg |
২০২৩-এর ১৪ জুলাই LVM3 M4 সফলভাবে কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩কে উৎক্ষেপণ করে। বাজেট কম থাকার জন্য জ্বালানি খরচ বাঁচাতে একটু সময় নিয়েই ধাপে ধাপে তার লক্ষ্যে পাঠানো হয় ‘চন্দ্রযান-৩’কে। ৫ অগস্ট, ২০২৩ চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশ করানো হয়।অবশেষে ২৩ অগস্ট কাঙ্ক্ষিত সাফল্য মেলে।ইউটিউবে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ লাইভ সাক্ষী থাকে এই ঘটনার।এই সাফল্যকে সম্মান জানিয়ে ২৩ অগস্ট দিনটিকে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়।
এবার বছর ঘোরার প্রায় মুহূর্তেই এল ‘ওয়ার্ল্ড স্পেস অ্যাওয়ার্ড’। আগামী ১৪ অক্টোবর ইতালির মিলানে আয়োজিত হতে চলেছে ৭৫তম আন্তর্জাতিক মহাকাশ যাত্রী সম্মেলন। সেই সম্মেলনেই ইসরোর হাতে এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মান তুলে দেবে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ফেডারেশন।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ