গত বুধবার ২৬ জুন রিসারস পি ১ নামে রাশিয়ার একটি অকেজো স্যাটেলাইট হঠাৎই ভেঙে গিয়ে ১০০র বেশি টুকরো হয়ে যায়। এই তথ্য দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অদূরেই এমন স্যাটেলাইট ভেঙে পড়ার ঘটনা রীতিমত প্রশ্ন তুলে দিয়েছে মহাকাশের নিরাপত্তা নিয়েই।
অবশ্যই পড়ুনঃ পিরামিড রহস্যের কিনারা? কী সূত্র ধরালেন গবেষকেরা?
পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণের জন্য ২০১৩ সালে এই স্যাটেলাইটটি মহাকাশের কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল। ২০২২ সালেই একে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অকেজো হলেও অন্যান্য বহু মহাকাশে বর্জ্যের মত সেটি ওই অবস্থাতেই পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এদিন এটি প্রচণ্ড তাপমাত্রায় টুকরো টুকরো হয়ে যায়। কিন্তু কেন এমনভাবে ভেঙে পড়ল রুশ স্যাটেলাইট? বিজ্ঞানীদের অনুমান, বাতিল স্যাটেলাইটের ভেতরে কোনও সমস্যার জন্যেই সেটি মহাকাশে এভাবে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়ে থাকতে পারে।
পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণের জন্য ২০১৩ সালে এই স্যাটেলাইটটি মহাকাশের কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল। ২০২২ সালেই একে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অকেজো হলেও অন্যান্য বহু মহাকাশে বর্জ্যের মত সেটি ওই অবস্থাতেই পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এদিন এটি প্রচণ্ড তাপমাত্রায় টুকরো টুকরো হয়ে যায়। কিন্তু কেন এমনভাবে ভেঙে পড়ল রুশ স্যাটেলাইট? বিজ্ঞানীদের অনুমান, বাতিল স্যাটেলাইটের ভেতরে কোনও সমস্যার জন্যেই সেটি মহাকাশে এভাবে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়ে থাকতে পারে।
শুধু ক্লিক করুন এই লিঙ্কে |
রাশিয়ার মালিকানাধীন কৃত্রিম উপগ্রহের এভাবে ভেঙে পড়ায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীদের জরুরি ভিত্তিতে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নতুন করে বিপদে পড়েন মহাকাশে গিয়ে সময়ে ফিরতে না পারা মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর।এভাবে পৃথিবী থেকেই পাঠানো অকেজো হয়ে যাওয়া স্যাটেলাইট, মহাকাশ মিশনের ভাঙা অংশ আবর্জনা হিসেবে বিপদ বাড়াচ্ছে।যে কোনও মুহূর্তে নতুন উপগ্রহের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে সেগুলোর।স্বাভাবিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে এসব।
গ্রহাণুর বিপদ, খোশখবরে দেখুন এই ভিডিওটি
২০২২ সালের একটা হিসেব বলছে মহাশূন্যে শুধু মানুষের পাঠানো বস্তুখণ্ডের সংখ্যাই প্রায় ১৭ কোটি।লো আর্থ অরবিটে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রায় ছয় হাজার টন নানা আকারের বস্তুখণ্ড।নাসা সেই ১৯৭৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অরবিটাল ডেব্রিস প্রোগ্রাম হাতে নিলেও কাজের কাজ কিছু হয় নি।তার কারণ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক কোনো আইন নেই।
পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
মহাকাশের জঞ্জাল থেকে সক্রিয় স্যাটেলাইটগুলিকে রক্ষা করতে নেটওয়ার্ক ফর স্পেস অবজেক্ট ট্র্যাকিং অ্যান্ড অ্যানালিসিস বা 'নেত্র' প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইসরো।মহাকাশেই যাতে ভস্মীভূত হয়ে যায় এজন্য কাঠের স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে জাপান।পৃথিবীর মাথার উপর ‘স্পেস জাঙ্ক’ নিয়ে এখনই সদর্থক কিছু না ভাবলে ভবিষ্যতে বড় বিপদ অনিবার্য বলে মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ