রাতের আকশে বিরলতম মহাজাগতিক বিস্ফোরণ, দেখার সুযোগ জীবনে একবারই! তৈরি থাকুন।
খোশখবর ডেস্কঃ সবকিছুরই একটা শুরু থাকে। আবার শেষও থাকে। এই মহাবিশ্বেরও আছে।কিন্তু ঠিক কীভাবে সে রহস্য এখনও ভেদ করতে পারে নি এই গ্রহের সবচেয়ে বুদ্ধিমান বলে পরিচিত মানুষ।সবচেয়ে বড় কথা এর বিশালতা। মানুষ কল্পনা করতে ভালবাসে। সে তার বাস্তবের তুলনায় অনেক বড় কিছু কল্পনা করে।কিন্তু এই মহাবিশ্ব এত বিশাল,অতিকায় যে কল্পনাও থমকে যায়।ধরা যাক একটা পিঁপড়েকে যদি আমরা একটা ফুটবল মাঠে ছেড়ে দিই তাহলে তার পক্ষে গোটা মাঠ সম্পর্কে ধারণা করাটা কঠিন হবে।এই পিপড়েকে যদি একটা বড় শহরে বা মহকুমা অঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া যায় তাহলে তার যে অবস্থা হবে মানুষের মহাবিশ্ব ভাবনা তার চেয়েও কঠিন।অতি আধুনিক রেডিও টেলিস্কোপ, স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও এই ইউনিভার্সের শেষ পাঁচিলটা কোথায় তা অতি কল্পনাতেও বুঝে উঠতে পারে নি মানুষ।কত কত বিলিয়ন গ্যালাক্সি যে রয়েছে মহাবিশ্বের পেটের ভেতর তার অঙ্ক কষাই মুশকিল।
শুধু লিঙ্ক লাইনে ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg |
সবকিছুরই একটা শুরু থাকে। আবার শেষও থাকে।এই মহাবিশ্বেরও আছে।কীভাবে এই বিশ্ব-ব্রম্ভান্ডের সৃষ্টি তা নিয়েও মত পার্থক্য রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।তবে সবচেয়ে আলোচিত ও গৃহীত যে ব্যাখ্যাটি পাওয়া যায় তা হল বিগ-ব্যাং তত্ত্ব।এই তত্ত্বে বলা হয় মহাবিশ্বে এক জায়গায় ঘন হয়ে আসা একটা অংশে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ বা বিগ ব্যাং-এর ফলে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছিল। সে আজ থেকে প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগের কথা।বিস্ফোরণের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সৃষ্টি হয় বিশ্ব তৈরির নানা ধরণের প্রাথমিক কণা। মহাবিস্ফোরণের ১৫ কোটি মিলিয়ন বছর পর তৈরি হয় প্রথম নক্ষত্র। অন্যান্য গ্যালাক্সির পাশাপাশি তৈরি হয় আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথ। ধারণা করা হয়, আকাশগঙ্গা তৈরি হয়েছে প্রায় ৬.৫ থেকে ১০.১ বিলিয়ন বছর আগে। আর আজ থেকে মাত্র ৪৫০ কোটি বছর আগে আমাদের সূর্যের জন্ম । আর আমাদের পৃথিবীর বয়সও সূর্যের কাছাকাছি।
টি করোনা বোরিয়ালিস নক্ষত্রমণ্ডলে, বাইনারি স্টার সিস্টেমে এই বিস্ময়কর ঘটনা ঘটবে। সাদা বামন নক্ষত্র তার সঙ্গী লাল দানব নক্ষত্র থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস টানতে থাকে।যখন একটি লাল দৈত্য থেকে পর্যাপ্ত হাইড্রোজেন একটি সাদা বামনের পৃষ্ঠে জমা হয়, তখন তা বিশাল থার্মোনিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ ঘটায়।এই বিস্ফোরণ মূলত হাইড্রোজেন বোমার মতো কাজ করে। যাকে বলে নোভা।
যখন এই ঘটনা ঘটবে তখন প্রায় এক সপ্তাহের মতো আকাশে জ্বলজ্বল করবে এই নোভা। কোনও টেলিস্কোপ বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ছাড়াই খালি চোখে দেখা যাবে একে। ৮০ বছরে একবার প্রায় হাজার খানেক বছর ধরে ঘটে চলেছে এমন বিস্ফোরণ।
নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিসার্চ সায়েন্টিস্ট রেবেকা হউনসেল জানিয়েছেন এমন ঘটনার সাক্ষী থাকার সুযোগ জীবনে আর হয়ত দ্বিতীয়বার আসবে না। কাজেই এসুযোগ হারতে দেবেন না।এই বিস্ময়কর ঘটনার সাক্ষী হতে প্রায় সব প্রস্তুতই সেরে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। সঠিক দিনক্ষণ না বলা গেলেও জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ঘটবে এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। বিজ্ঞানীরা সঠিক সময় ঘোষণা করলেই তা জানিয়ে দেওয়া হবে খোশখবরের ভিডিওতে।আপনি তৈরি তো?
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ