[আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগে কী ভাবে তৈরি হয়েছিল এত বড় বড় পিরামিড। বিশাল বিশাল পাথর দিয়ে কিভাবেই বা পিরামিডগুলো বানানো হয়েছিল? এক গবেষণাপত্রে নীল নদের একটি মৃত শাখা আবিষ্কারের দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। জানা যাচ্ছে প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই শাখা বহুকাল আগেই শুকিয়ে সাহারার বালিতে চাপা পড়ে গিয়েছিল। জেনে নিন বিস্তারিত।]
মূল রহস্যটি হল আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগে কী ভাবে তৈরি হয়েছিল এত বড় বড় পিরামিড। বিশাল বিশাল পাথর দিয়ে কিভাবেই বা পিরামিডগুলো বানানো হয়েছিল? জ্যামিতিক নকশা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে ওভাবে পাথর কাটা বা ভাঙা সম্ভব নয়।এ যুগের মতো প্রাচীন মিশরীয়দের হাতে তো কোনও যন্ত্রই ছিল না। তবুও কী করে এমন অতিকায় সৌধ তৈরি করেছিলেন তাঁরা? শুধু তাই নয় এত পাথর আনাই বা হয়েছিল কী ভাবে?
প্রত্নতত্ত্ববিদ, বিজ্ঞানী, গবেষকরা যখন এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন ঠিক তখনই এর সঙ্গে আরও গল্প মিশিয়ে বাজারে পরিবেশন করে শুরু হয়ে যায় অর্থ রোজগারের জবরদস্ত বন্দোবস্ত।৬০-৭০-৮০-র দশকে গোটা পৃথিবী জুড়েই পিরামিড রহস্য ছিল হটকেক আইটেম। তৈরি হয় ডকুমেন্টরি,সিনেমা। বাজারে নেমে পড়েন প্রচুর লেখক। মুড়ি-মুরকির মত বিক্রি হয়ে বেস্টসেলারের তালিকায় নাম লেখায় সে সব বই।বাইরে থেকে গ্রহান্তরের মানুষ এসে পিরামিড বানিয়ে দিয়ে গেছে বলেও দাবি করেন কেউ কেউ।পিরামিডের ভেতর বা পিরামিডের ওই বিশেষ মাপের মধ্যে রহস্য লুকিয়ে আছে বলে প্রচার হয়ে যায়।বিপুল বিক্রি হতে থাকে কাঠের,কাচের,মেটালের পিরামিডের রেপ্লিকা। তবে সময়ের সঙ্গেই মানুষ বোঝে আসলে এসব রহস্যই নয় – রহস্য বিক্রি করে ফায়দা তোলার উপায় মাত্র।
সে থেকেই সাধারণ মানুষের স্মৃতি ও চর্চা থেকে পিরামিড সরে গেলেও তা নিয়ে নিজেদের কাজ চালিয়েই যাচ্ছিলেন বিজ্ঞানী, গবেষকরা।তারাই তুলে এনেছেন এক সম্ভাবনার কথা।নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।পুরোনো ওই নদীর খাত খুঁজে পাওয়ার জন্য রেডার স্যাটেলাইট ইমেজারি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলাফলগুলি গবেষণা জার্নালে কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টে প্রকাশিত রিপোটের কথা তুলে ধরে এ তথ্য দিয়েছে এনডিটিভি ডট কম।
পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটনের আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্সেসের অধ্যাপক ইমান ঘোনিম সংবাদ সংস্থাকে জানান যে রাডার স্যাটেলাইট চিত্র থেকে তাঁরা এবিষয়ে সঠিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছেন। গবেষণাপত্রে নীল নদের একটি মৃত শাখা আবিষ্কারের দাবি করেছে বিজ্ঞানীরা। জানা যাচ্ছে প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই শাখা বহুকাল আগেই শুকিয়ে সাহারার বালিতে চাপা পড়ে গিয়েছিল।
ইউটিউবে 'খোশখবর',এক ক্লিকে আশ্চর্য দুনিয়া
গবেষকরা জানাচ্ছেন এই নদী পথেই বড় বড় পাথর বয়ে এনে ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ বছর আগে পিরামিডগুলো তৈরি করা হয়েছিল। অঙ্ক, জ্যামিতি, আকার,পরিবহন সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রাচীন মিশরের মানুষই যে সেগুলো তৈরি করেছিলেন তাতে কোনও সন্দেহই নেই গবেষকদের।তাঁরা শুধু খুঁজছিলেন মিসিং লিঙ্কটা। এবার সেটাই সম্ভবত পেয়ে গেলেন তাঁরা।[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ