বিজ্ঞানীরা হিসেব কষে জানাচ্ছেন আজকে ২৪ঘন্টায় একদিন হলেও ভবিষ্যতে আর তা থাকবে না
খোশখবর ডেস্কঃ আমরা সেভাবে খেয়াল না করলেও এই মহাবিশ্ব চলে নানা নিয়ম মেনে।সৌরজগতের নানা গ্রহ, উপগ্রহের আকার, ভর, আয়তন, অভিকর্ষ বল ইত্যাদির উপর নির্ভর করে তাদের চলাফেরার গতি, ঘুরে চলা ইত্যাদি।
পৃথিবীতে প্রতি ২৪ ঘন্টায় যে একদিন হয়,তার কারণ নির্ভর করে পৃথিবীর নিজের অক্ষের উপর দাঁড়িয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ঘোরার কারনেই।একে বলে আহ্নিক গতি।এই গতির কারণেই হয় দিন এবং রাত। আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তন হয়। স্কুলের ভুগোল বইতেই লেখা আছে এসব কথা।তবে বিজ্ঞানীরা হিসেব কষে জানাচ্ছেন আজকে ২৪ঘন্টায় একদিন হলেও ভবিষ্যতে আর তা থাকবে না।যেমন অনেক কাল আগে একদিন হয়ে যেত ২৪ ঘন্টার অনেক কম সময়েই।
অদ্ভুত গোলক,বিশ্বে সর্ববৃহৎ,লাস ভেগাসের ‘দি স্ফিয়ার’
সে ব্যাপারটা কিভাবে সম্ভব হত? আসলে পৃথিবীর দিনের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে চাঁদের সম্পর্ক।মূলত চাঁদের আকর্ষণেই সমুদ্রের জল ফুলে ওঠে ও জোয়ার হয়। চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে গেলে জল আবার নেমে যায়। একে ভাটা বলে। বিজ্ঞানীদের হিসেব জোয়ারের টান চাঁদের ঘূর্ণন ধীর হচ্ছে আর এই উপগ্রহ নিজের কক্ষপথের একটু উঁচুতে উঠে যাচ্ছে,ফলে একটু একটু করে দূরত্ব বাড়ছে পৃথিবী ও চাঁদের।ভয়ঙ্কর জলবায়ু পরিবর্তনও প্রভাব ফেলছে এই ঘূর্ণনে।অ্যাপোলো মিশনের তথ্য বলছে প্রতি বছর চাঁদ পৃথিবী থেকে ১ দশমিক ৪৯ ইঞ্চি বা ৩.৮ সেমি হারে দূরে সরছে। ফলে পৃথিবীর কৌণিক গতিবেগ কমছে।বর্তমানে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩,৮৪,৪০০( ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০) কিলোমিটার। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রায় ৩.২ বিলিয়ন বছর আগে এই দূরত্ব ছিল মাত্র ২৭০,০০০( ২ লক্ষ ৭০ হাজার) কিলোমিটার।
সে ব্যাপারটা কিভাবে সম্ভব হত? আসলে পৃথিবীর দিনের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে চাঁদের সম্পর্ক।মূলত চাঁদের আকর্ষণেই সমুদ্রের জল ফুলে ওঠে ও জোয়ার হয়। চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে গেলে জল আবার নেমে যায়। একে ভাটা বলে। বিজ্ঞানীদের হিসেব জোয়ারের টান চাঁদের ঘূর্ণন ধীর হচ্ছে আর এই উপগ্রহ নিজের কক্ষপথের একটু উঁচুতে উঠে যাচ্ছে,ফলে একটু একটু করে দূরত্ব বাড়ছে পৃথিবী ও চাঁদের।ভয়ঙ্কর জলবায়ু পরিবর্তনও প্রভাব ফেলছে এই ঘূর্ণনে।অ্যাপোলো মিশনের তথ্য বলছে প্রতি বছর চাঁদ পৃথিবী থেকে ১ দশমিক ৪৯ ইঞ্চি বা ৩.৮ সেমি হারে দূরে সরছে। ফলে পৃথিবীর কৌণিক গতিবেগ কমছে।বর্তমানে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩,৮৪,৪০০( ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০) কিলোমিটার। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রায় ৩.২ বিলিয়ন বছর আগে এই দূরত্ব ছিল মাত্র ২৭০,০০০( ২ লক্ষ ৭০ হাজার) কিলোমিটার।
আর চাঁদ ক্রমশ দূরে সরে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণন ধীর হয়ে যাচ্ছে।বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবী অনেক দ্রুত ঘুরত। যার ফলে পৃথিবীর দিনের দৈর্ঘ্য ছিল ছোট। প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে তৈরি হয়েছিল পৃথিবী।এই সময় দিনের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ১০ ঘন্টা। ১৪০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর এক দিনের দৈর্ঘ্য ছিল ১৮ ঘণ্টা ৪১ মিনিট।
ইউটিউবে 'খোশখবর',এক ক্লিকে আশ্চর্য দুনিয়া
আর যখন ডাইনোসরেরা ঘুরে বেড়াত পৃথিবীর বুকে, আজ থেকে সাড়ে ৬ কোটি বছরেরও বেশী আগে,তখন ২৩ ঘণ্টায় পৃথিবীতে এক দিন হত।অর্থাৎ যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে এক দিনের সময়কাল।তাই বিজ্ঞানীদের হিসেব মত এক সময় পৃথিবীর দিন হবে ২৪ঘন্টার বদলে ২৫ ঘন্টায়।কিন্তু তা হবে কবে?
আর যখন ডাইনোসরেরা ঘুরে বেড়াত পৃথিবীর বুকে, আজ থেকে সাড়ে ৬ কোটি বছরেরও বেশী আগে,তখন ২৩ ঘণ্টায় পৃথিবীতে এক দিন হত।অর্থাৎ যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে এক দিনের সময়কাল।তাই বিজ্ঞানীদের হিসেব মত এক সময় পৃথিবীর দিন হবে ২৪ঘন্টার বদলে ২৫ ঘন্টায়।কিন্তু তা হবে কবে?
এখানেও বিজ্ঞানীরা একটা হিসেব দিয়েছেন।প্রতি ১০০ বছরে মাত্র ১ দশমিক ৭ মিলিসেকেন্ড করে বাড়ে দিনের দৈর্ঘ্য।আর হিসেব মত প্রতি সেকেন্ডের ১ হাজার ভাগের এক ভাগ হল মিলিসেকেন্ড।সেই হিসাব করেই বলা হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি বছর পর পৃথিবীতে ২৫ ঘণ্টায় হতে পারে এক দিন।তবে দূষণ জর্জরিত পৃথিবী সেদিন কী রূপে থাকবে তার সহজ উত্তর নেই বিজ্ঞানীদের কাছে।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ