রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের ‘আইকন অফ দ্য সিজ’ এতটাই বিশাল যে তা টাইটানিকের চেয়েও প্রায় ৩০০ফুট লম্বা
খোশখবর ডেস্কঃ আজ থেকে ১১১ বছর আগে সমুদ্রপথে প্রায় ১৫০০ জন যাত্রী নিয়ে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটিতে যাওয়ার সময় ডুবে গিয়েছিল 'টাইটানিক'।সেই সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সমৃদ্ধ ব্রিটিশ বিলাসবহুল প্যাসেঞ্জার লাইনার ছিল সেটি। অসংখ্য বিতর্ক, রিপোর্ট,গল্প, সিনেমার কল্যানে সেই ট্রাজিক ইতিহাস আজ প্রায় সকলেরই জানা।তারপর পৃথিবীর জলযানের ইতিহাসে পরিবর্তন এসেছে অনেক।মহাদেশ থেকে বিভিন্ন উপমহাদেশের মাটি ছুঁয়ে চলাচল করেছে অসংখ্য আধুনিক জাহাজ।কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে জলে নামার আগে এবার ফের খবরে অত্যাধুনিক ও বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজ ‘আইকন অফ দ্য সিজ’।
ইউটিউবে 'খোশখবর',এক ক্লিকে আশ্চর্য দুনিয়া
রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের ‘আইকন অফ দ্য সিজ’ এতটাই বিশাল যে তা টাইটানিকের চেয়েও প্রায় ৩০০ফুট লম্বা। ‘আইকন অফ দ্য সিজ’ –এর দৈর্ঘ্য ৩৬৫ মিটার বা ১২০০ ফুট লম্বা এবং এর ওজন হবে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৮০০ টন।পৃথিবী বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৮৮২.৫০ ফুট বা ২৬৯ মিটার।এর বহন ক্ষমতা ছিল ৪৬,৩২৮ টন।
ফিনল্যান্ডের তুর্কুতে ইউরোপের অন্যতম প্রধান জাহাজ নির্মান সংস্থা মেয়ার তুর্কু শিপইয়ার্ডে তৈরি হয়েছে এই বৃহত্তম ক্রুজ।প্রতিদিন কাজ করেছে প্রায় ২৬০০ জন শ্রমিক। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যাত্রা শুরু করলেও অক্টোবর মাসে জলে ভাসার নানা রকম পরীক্ষা সেরে ফেলেছে ‘আইকন অফ দ্য সিজ’ - পরীক্ষা করে দেখেছেন শত শত বিশেষজ্ঞ।
তবে এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজের শিরোপা রয়েছে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ফ্লিটের আরেকটি জাহাজ, ‘ওয়ান্ডার অফ দ্য সিজ’ –এর দখলে।যা গত বছরই জলে নেমেছিল।এই জাহাজের দৈর্ঘ্য ১,১৮৮ ফুটের চেয়ে সামান্য কম।এই জাহাজে ডেকের সংখ্যা ১৮।
তবে ‘ওয়ান্ডার অফ দ্য সিজ’-এর থেকেও নির্মাণ কৌশলে আরও এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে আগামী বছর জলে নামতে চলা ‘আইকন অফ দ্য সিজ’।মোট কথা সমুদ্র পথে বিনোদনের শেষ কথা হতে চলেছে অত্যাধুনিক এই জাহাজ। অতি আরামদায়ক এই যাত্রায় যাত্রী হিসেবে যেতে পারবে ৫,৬১০ জন যাত্রী।জাহাজে থাকবে ২৩৫০ জন ক্রু।
পৃথিবী জুড়ে বহু বিখ্যাতই লেফট হ্যান্ডার্স, বিশ্বে বাঁহাতি মানুষের সংখ্যা কত?
জাহাজে খাবার, পান এবং বিনোদনের ৪০ ধরণের ব্যবস্থা থাকবে।এর বেশীরভাগ ক্রুজের ভাড়ার মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।সমুদ্রের বুকে যাত্রীদের অসাধারণ সময় যাপনের জন্য থাকবে ২০টি ডেক ও আটটি মারকাটারি স্পেস। থাকা, খাওয়া, বিনোদনের পাশাপাশি অন্দর ও বহির্সজ্জায় তারকাখচিত হোটেলকেও হার মানাবে এই জাহাজ। ‘আইকন অফ দ্য সিজ’ হয়ে উঠবে সমুদ্রে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়াটারপার্ক। থাকবে ছটি রেকর্ড-ব্রেকিং ওয়াটার স্লাইড।
জাহাজে খাবার, পান এবং বিনোদনের ৪০ ধরণের ব্যবস্থা থাকবে।এর বেশীরভাগ ক্রুজের ভাড়ার মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।সমুদ্রের বুকে যাত্রীদের অসাধারণ সময় যাপনের জন্য থাকবে ২০টি ডেক ও আটটি মারকাটারি স্পেস। থাকা, খাওয়া, বিনোদনের পাশাপাশি অন্দর ও বহির্সজ্জায় তারকাখচিত হোটেলকেও হার মানাবে এই জাহাজ। ‘আইকন অফ দ্য সিজ’ হয়ে উঠবে সমুদ্রে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়াটারপার্ক। থাকবে ছটি রেকর্ড-ব্রেকিং ওয়াটার স্লাইড।
অতিথিদের আরাম ও অবসরের অন্যরকম অভিজ্ঞতা দিতে থাকবে সাতটি আধুনিক পুল এবং নটি হোয়ার্লপুলস।সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করতে পরিবার ও গ্রুপ ভ্রমণকারীদের জন্য তৈরি হয়েছে ২৮টি বিভিন্ন ধরণের থাকার জায়গা। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য থাকবে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের প্রথম ডুয়েলিং পিয়ানো বার।সিনেমা, গান-বাজনা, ইনডোর গেমের পাশাপাশি থাকবে আইস স্কেটিংয়ের ব্যবস্থাও।
সেল প্রযুক্তি দ্বারা চালিত ‘আইকন অফ দ্য সিজ’ হল সেই প্রথম জাহাজ যা চলবে এলপিজি দিয়ে।প্রধান ইঞ্জিন,তার ব্রেক সিস্টেম, স্টিয়ারিং, শব্দ এবং কম্পনের মাত্রা এমন হবে যে যাত্রীরা বুঝতেই পারবেন না যে তাঁরা সুমদ্রের বুকে আছেন। বিনোদনের স্বর্গরাজ্য মিয়ামি থেকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে নিয়মিত যাতায়াত করবে এই সমুদ্র সুন্দরী।জানুরারিতে জলে নামলেও ইতিমধ্যেই এই মায়াবী জলযাত্রা ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে ভ্রমণ পিপাসুদের, বুক হয়ে গেছে প্রথম যাত্রার অধিকাংশ আসনই।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ