বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির সংখ্যাগরিষ্ঠ, শিল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ে জি২০ গঠিত
জি২০ বা গ্রুপ অফ টোয়েন্টি কী?
জি২০ বা গ্রুপ অফ টোয়েন্টি হল একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্য ১৯টি দেশ নিয়ে গঠিত। বিশ্বের ২০টি দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সমন্বয়ে গঠিত একটি জোট বা গ্রুপ।এই সংস্থা আন্তর্জাতিক আর্থিক স্থিতিশীলতা, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা এবং দীর্ঘস্থায়ী বা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী নানা অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা করার চেষ্টা করে।
সোজা কথায় বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির সংখ্যাগরিষ্ঠ, শিল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ে জি২০ গঠিত।ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি এতে আছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক আর্থিক স্থিতিশীলতা উন্নয়ন সম্পর্কিত নীতি আলোচনার লক্ষ্য নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কানাডার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পল মার্টিন প্রথম জি২০ গঠনের প্রস্তাব করেন। এটি মূলত বিভিন্ন রাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরদের একটি সভা ছিল। বিশ্বের প্রধান ও উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি সম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ইত্যাদি ছিল জি২০ গঠনের উদ্দেশ্য। ২০০৯ এর ২৫ সেপ্টেম্বরে জি২০ এর নেতারা ঘোষণা করেন যে জি২০ অদূর ভবিষ্যতে জি-এইট এর বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে।জি২০র সদর দপ্তর মেক্সিকোর কানকুনে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ভারত জি-২০ গোষ্ঠীর সদস্য।
২০২৩-এ জি২০ সম্মেলন ভারতে
২০২৩-এ আঠারো বারের জন্য বৈঠকে বসছে গ্রুপ অফ টোয়েন্টি।২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর, বালি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তির সময় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডোর কাছ থেকে জি২০ প্রেসিডেন্সির বা সভাপতিত্বের দ্বায়িত্ব হাতে তুলে নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করবে।এই সময়কালে এই ফোরামের ২০০টি সভার আয়োজন করা হচ্ছে।
দিল্লিতে জি২০ বৈঠকের কেন্দ্র |
‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ বা ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত’ হল ভারতে আয়োজিত জি২০র থিম। ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে থাকছে ন্যায়সঙ্গত এবং স্থিতিশীল বৃদ্ধি, মহিলাদের ক্ষমতায়ন, প্রযুক্তি-সক্ষম উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় অর্থের জোগান, আন্তর্জাতিক খাদ্য এবং শক্তি সুরক্ষা।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ