মনে হবে আকাশে বোধহয় বিশাল বিশাল রঙের ভান্ডার নিয়ে কেউ হোলি খেলায় মেতেছে
দেখে মনে হবে আকাশে বোধহয় বিশাল বিশাল রঙের ভান্ডার নিয়ে কেউ হোলি খেলায় মেতেছে।তবে কখনও ছড়ানো আবার কখনও প্যাঁচানো এই রংধনু মেঘের স্থায়িত্ব খুব কম সময়ের।প্রকৃতির এই মোহময়ী রূপ মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য স্থায়ী হয়।এমন দৃশ্য আকাশের বুকে খুঁজে পাওয়াও কঠিন।
A spectacular example of an Iridescent cloud
— Science girl (@gunsnrosesgirl3) August 4, 2023
pic.twitter.com/hwjXdDUdhs
আসলে মেঘে নানা উজ্জ্বল রঙের এই ধরনের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে ক্লাউড ইরিডেসেন্স বলে।মেঘের মধ্যে রঙের আবির্ভাব রংধনুর মতো সমান্তরাল ব্যান্ডের আকারে হতে পারে বা প্যাঁচের মধ্যে মিশে যেতে পারে।এটি সূর্যালোকের প্রতিফলন, প্রতিসরণ, বিচ্ছুরণের জেরে আকাশের বুকে তৈরি হওয়া একটি অপটিক্যাল ঘটনা।
পাইলিয়াস মেঘে,ছোট জলের ফোঁটা বা বরফের স্ফটিক থাকে।সেগুলোর উপর সূর্যের আলো পড়ে তা বিচ্ছুরণের ঘটনা ঘটে।বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা তাদের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাউড অ্যাটলাসে জানিয়েছে যে ক্লাউড ইরিডেসেন্স সূর্য থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে বিচ্ছুরণের কারণে ঘটে।
তবে তা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্তও ছড়িয়ে পড়তে পারে।মেঘে রংধনুর মত রঙের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে প্রাচীন কালের মানুষও।গ্রিক কাহিনীতে রংধনুর দেবী বলা হয় আইরিসকে।
তথ্য ও ছবি, সৌজন্যঃ earthsky.org ও ইন্টারনেট
ভিডিওঃ Science girl @gunsnrosesgirl3 টুইটার হ্যান্ডেল
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ