একনজরে

10/recent/ticker-posts

Number 11 Solothurn ১১র ঘোরে সুইৎজারল্যান্ডের সোলোথার্ন, যে শহরে সব কিছুই হয় এগারোর নিয়মে।

সোলোথার্ন শহরেই রয়েছে সেই আশ্চর্য ঘড়ি,যাতে বারোটা বাজে না কখনও

খোশখবর ডেস্কঃ সুইৎজারল্যান্ডের সোলোথার্ন শহরকে যেন ১১য় পেয়ে বসেছে। শহরের মিউজিয়াম, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে নির্বাচিত কাউন্সিলর পর্যন্ত সব কিছুই ১১। আর এই সোলোথার্ন শহরেই রয়েছে সেই আশ্চর্য ঘড়ি, যাতে বারোটা বাজে না কখনও, যার কাঁটা থেমে যায় ১১টাতেই। আর এই অদ্ভুত ১১ নীতির কথা মাথায় রেখেই পাহাড় ও নদী দিয়ে ছবির মতো সাজানো এই শহর ঘুরতে যান অনেকে।



টুইটারে ‘খোশখবর’-এর আপডেট পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সোলোথার্নের ল্যান্ডমার্ক হল সেন্ট উরসাস ক্যাথিড্রাল।বিখ্যাত স্থপতি গেতানো মাত্তেও পিসোনি ১৭৬২ সালে এটি তৈরি করেছিলেন।বেল টাওয়ারের পরিমাপ ৬ x ১১ মিটার এবং ঘরটিতে ১১টি ঘন্টা রয়েছে।ক্যাথিড্রালের এক জায়গায় দাঁড়ালে একযোগে ১১টি স্তম্ভ দেখা যায়।স্তম্ভের বাইরের সিঁড়ি ১১টি ধাপের তিনটি সেট নিয়ে গঠিত। গ্রেট অর্গানে পাইপের সংখ্যা ১১ দ্বারা বিভাজ্য। আর আরও মজার বিষয় হল থিম অনুসারে ক্যাথিড্রালটি তৈরি করতে ১১বছর সময় লেগেছিল (১৭৬২ - ১৭৭৩)।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বের সেরা ১০ সাইকেল-বান্ধব শহর,প্রথম স্থানে ডাচ শহর ইউট্রাক্ট

সেন্ট উরসাস ক্যাথিড্রাল
আসলে সোলোথার্ন এমন একটি শহর যে ১১ নিয়ে ব্যস্ত। এই শহরে রয়েছে ১১টি গির্জা, ১১টি চ্যাপেল, ১১টি ফোয়ারা, ১১টি টাওয়ার এবং ১১টি জাদুঘর।আর শহরের কেন্দ্রে টাউন স্কোয়ারে যে বড় ঘড়িটি রয়েছে তাতে সংখ্যা রয়েছে ১১ পর্যন্ত।


টাউন স্কোয়ারে বড় ঘড়ি
১১কে সঙ্গে করে আশ্চর্যজনক স্থাপত্যের সমাহার এই সোলোথার্নের প্রত্যেকেই জানে ১১ সংখ্যার এই গল্প।কিন্তু কেন এবং কীভাবে মনোরম এই স্থান ১১র খপ্পরে পড়ল তা কেউ-ই সঠিক মনে করতে পারে না।অনেকে বলেন, এই শহরের প্রতিষ্ঠাতা ইলভ নামের এক জার্মান নাগরিক। তাঁর নামের সঙ্গে মানানসই ইলেভেন সংখ্যাটি থেকেই নাকি সোলোথার্ন সেজে ওঠে ১১ দিয়ে। নানা নিদর্শনের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে রয়েছে ১১ সংখ্যাটি। সলোথার্নের অনেক বাসিন্দাই ১১সংখ্যাকে 'পবিত্র' এবং ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বলে মনে করেন। এখানে অনেকেরই ১১বছরের জন্মদিন পালিত হয় বিশেষভাবে।

তথ্য ও ছবি/ সূত্রঃ Switzerland Tourism & BBC Travel 


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code