একনজরে

10/recent/ticker-posts

Earth Like Planets আমরা একা নই, মিল্কি ওয়েতেই আছে ৬ বিলিয়ন পৃথিবীর মত গ্রহ! দাবি বিজ্ঞানীদের।


মহাবিশ্বে প্রাণের খোঁজে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা


খোশখবর ডেস্কঃ এই বিশ্ব ব্রম্ভান্ডের কোথাও কী পৃথিবীর মত প্রাণ থাকার সম্ভাবনা আছে – মানুষের এই চিরন্তন প্রশ্নের এখনও কোনও নিশ্চিত জবাব মেলে নি।এই নিয়ে নানা সময়ে সম্ভাবনাময় নানা তথ্য হাজির করেছেন বিজ্ঞানীরা।সেই রকমই একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে শুধুমাত্র মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতেই ৬ বিলিয়ন পৃথিবীর মতো গ্রহ থাকতে পারে। physics-astronomy.com এই তথ্য দিয়েছে।এই আবিষ্কার যদি সত্যি হয় তাহলে তা আমাদের এই মহাবিশ্বে জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে আমাদের এতদিনের ধারণাটাই বদলে যাবে।





কেন এমনটা অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা?

মহাবিশ্বে প্রাণের খোঁজে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।এজন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা উন্নত টেলিস্কোপ এবং পর্যবেক্ষণ কৌশল ব্যবহার করার পাশাপাশি চালাচ্ছেন ব্যাপক গবেষণাও।বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত বিভিন্ন গ্রহ - যেগুলো পৃথিবীর মত একই বৈশিষ্ট্যের( যেমন আকার, তাপমাত্রা এবং তাদের নিজের নিজের নক্ষত্র থেকে দূরত্বের মতো এক্সোপ্ল্যানেট ) সেগুলোর সনাক্তকরণের উপর নজর রেখেছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ট্রানজিট পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করতে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন।যখন একটি গ্রহ তার নিজের নক্ষত্রের সামনে দিয়ে যায় তখন তারার আলো কিছুটা ম্লান হয়ে যায়। এই আলোর প্যাটার্নগুলি বিশ্লেষণ করে, বিজ্ঞানীরা আমাদের ছায়াপথে পৃথিবীর মতো গ্রহগুলির ফ্রিকোয়েন্সি বুঝতে চেষ্টা করেছেন৷



পৃথিবীর মত গ্রহ বলতে কী বোঝায়?

পৃথিবীতে প্রাণ আছে,সবচেয়ে বড় কথা পৃথিবীতে মানুষের মত বুদ্ধিমান জীব আছে।সেই হিসেবে পৃথিবীর মতো গ্রহ হিসেবে যোগ্যতা অর্জনের জন্য বেশ কিছু মানদণ্ড নির্দিষ্ট করেছেন বিজ্ঞানীরা।এর প্রথমেই রয়েছে "গোল্ডিলক্স জোন" – যা হল গ্রহটিকে অবশ্যই তার নক্ষত্রের বাসযোগ্য অঞ্চলের মধ্যে থাকতে হবে।থাকতে হবে একটি নক্ষত্রের চারপাশের অঞ্চল যেখানে তরল জলের অস্তিত্বের (খুব গরম নয় এবং খুব ঠান্ডাও নয়) মত পরিস্থিতি।পাশাপাশি, পৃথিবীর মতো গ্রহগুলির একটি পাথুরে ভূভাগ থাকবে এবং পৃথিবীর অনুরূপ আকারের হতে হবে।


তাহলে কী এই মহাবিশ্বে আমরা একা নই?

এই বিশ্বে তারার হিসেব দূরে থাক ঠিক কত সংখ্যায় গ্যালাক্সি আছে তারই সঠিক হিসেব করতে পারে নি বিজ্ঞানীরা।তাঁদের অনুমান ১০০ থেকে ২০০ বিলিয়ন গ্যালাক্সি থাকতে পারে গোটা ইউনিভার্সে।তার মধ্যে আমাদের গ্যালাক্সির নাম হল মিল্কিওয়ে।শুধুমাত্র এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতেই পৃথিবীর মত ৬ বিলিয়ন গ্রহ থাকতে পারে বলে মনে করছেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা।এত বিশাল সংখ্যক পৃথিবীর মতো গ্রহের থাকার সম্ভাবনাকে এটাই বার্তা দেয় যে আমরা মহাবিশ্বে একা নই। বিজ্ঞানীরা এখন এই পৃথিবীর মতো গ্রহগুলির খোঁজে আরও মনোনিবেশ করছেন।জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের পাশাপাশি অনান্য উন্নত টেলিস্কোপগুলি এই কাজে তাঁদের সাহায্য করছে।

মানুষ ও ভবিষ্যতের বিজ্ঞান

পৃথিবীর বুকে মানুষের মত উন্নত জীব বসবাস করলেও বহির্বিশ্বে আরও উন্নত প্রাণ আছে বলে কল্পনা করেন অনেকে।এরই সঙ্গে নানা বিতর্ক জারি রয়েছে ইউফো নিয়ে।ইতিমধ্যেই মানুষ বানিয়ে ফেলেছে মহাকাশযান,পৃথিবীর চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে অসংখ্য স্যাটেলাইট।আগামী দিনে কি এক গ্রহ থেকে আর এক গ্রহে যেতে পারবে মানুষ?এই নিয়ে কল্পবিজ্ঞানের কাহিনী লেখা হলেও বাস্তবের পথে হাঁটা সম্ভব হয় নি। আমাদের ছায়াপথে পৃথিবীর মতো কোটি কোটি গ্রহের উপস্থিতির তথ্য কতটা কাজে লাগাতে পারবে মানুষ – তা সময়ই বলবে।


তথ্যঃ physics-astronomy.com


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code