ইসরো নির্ধারিত সময়ে চাঁদের বুকে নরম অবতরণ করবে বিক্রম ল্যান্ডার
বুধবার সন্ধ্যায় ইসরো নির্ধারিত সময়ে চাঁদের বুকে নরম অবতরণ করবে বিক্রম ল্যান্ডার।সেই ল্যান্ডিংয়ের সাক্ষী থাকবে গোটা দেশ।ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলা ভারতের এই মহাকাশ অভিযানে নজর রাখছে গোটা পৃথিবীর মহাকাশ বিজ্ঞানীরাও।
বিক্রম ল্যান্ডারটি ২৫ - ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে চাঁদের পৃষ্ঠের দিকে নামতে শুরু করবে। এই সময় ল্যান্ডারটি প্রতি সেকেন্ডে ১.৬৮ কিলোমিটার বেগে চাঁদের পৃষ্ঠের দিকে ছুটতে শুরু করবে যা ঘন্টায় হিসেব করলে দাঁড়ায় প্রায় ৬০৪৮ কিমি প্রতি ঘন্টা।অর্থাৎ ল্যান্ডারের গতিবেগ তখন থাকবে একটি বিমানের বেগের প্রায় দশগুণ।
এরপর গতি কমানোর ইঞ্জিনগুলো চালু করে ভেলোসিটি রিডাকশন পর্যায়ে চলে আসবে ল্যান্ডার।চাঁদের দিকে খাড়া ভাবে নামবে বিক্রম।এরপর বিক্রম ল্যান্ডার তার ইঞ্জিন বন্ধ করে গতি কমিয়ে ধীর হয়ে চাঁদের পৃষ্ঠের প্রায় অনুভূমিক পর্যায়ে চলে আসবে।একে বলা হচ্ছে রাফ ব্রেকিং ফেজ যা প্রায় ১১ মিনিট স্থায়ী হবে।
কিছু কৌশলের মাধ্যমে, বিক্রম ল্যান্ডারটি চাঁদের পৃষ্ঠে উল্লম্ব অবস্থায় আসবে।এর পর শুরু হবে ‘ফাইন ব্রেকিং ফেজ’। এই ফেজে ল্যান্ডারের ক্যামেরা ও সবকটা সেন্সর সক্রিয় হয়ে উঠবে। কোথায় নিরাপদে নামা যায় তা বিক্রমের ভেতরে থাকা কম্পিউটার সেন্সরের মাধ্যমে ঠিক করবে। এখানে মনে রাখতে হবে এর আগে চন্দ্রযান-২ এর অবতরণের সময় এই ফাইন ব্রেকিং ফেজেই বিক্রম ল্যান্ডারটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং দুর্ঘটনায় পড়ে।
আরও পড়ুনঃ মিশন চন্দ্রযান-৩, ইতিহাস তৈরির পথে ইসরো
এরপর চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে ৮০০ মিটার উপরে, অনুভূমিক এবং উল্লম্ব উভয় গতিই শূন্য করে নিতে পারবে বিক্রম ল্যান্ডার।এই পর্যায়ে বিক্রমকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করবে তার হ্যাজ্যার্ড ডিটেকশন ক্যামেরা।মাত্র দুটি ইঞ্জিনের সাহায্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে স্পর্শ করবে ল্যান্ডার।এর পায়া গুলোকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে সর্বোচ্চ 3 মিটার/সেকেন্ড বা প্রায় 10.8 কিমি প্রতি ঘন্টায় ছুটে এসে হালকাভাবেই নামতে পারবে বিক্রম।
আর একবার সেন্সরগুলি চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণ হয়ে গেছে এমনটা অনুভব করলে ইঞ্জিনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।তবে সক্রিয় হবে কম্পিউটারের পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেম।এরপর বিক্রম থেকে চাঁদের মাটিতে নেমে আসবে রোভার প্রজ্ঞান।সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠের চারপাশে চলাফেরা করে শুরু করে দেবে পরীক্ষা- নিরীক্ষার কাজ।
বিক্রম ল্যান্ডার রোভারের ছবি তুলবে এবং প্রজ্ঞান রোভার ল্যান্ডারের ছবি তুলবে।চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে তোলা সে ছবি পাবেন ভারতের বিজ্ঞানীরা।সবকিছু ঠিক থাকলে ভারত হবে চতুর্থ দেশ যারা চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করবে।তবে চাঁদের দক্ষিণমেরুতে অবতরণের ক্ষেত্রে ভারতই হবে বিশ্বের প্রথম দেশ।
এরপর চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে ৮০০ মিটার উপরে, অনুভূমিক এবং উল্লম্ব উভয় গতিই শূন্য করে নিতে পারবে বিক্রম ল্যান্ডার।এই পর্যায়ে বিক্রমকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করবে তার হ্যাজ্যার্ড ডিটেকশন ক্যামেরা।মাত্র দুটি ইঞ্জিনের সাহায্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে স্পর্শ করবে ল্যান্ডার।এর পায়া গুলোকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে সর্বোচ্চ 3 মিটার/সেকেন্ড বা প্রায় 10.8 কিমি প্রতি ঘন্টায় ছুটে এসে হালকাভাবেই নামতে পারবে বিক্রম।
আর একবার সেন্সরগুলি চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণ হয়ে গেছে এমনটা অনুভব করলে ইঞ্জিনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।তবে সক্রিয় হবে কম্পিউটারের পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেম।এরপর বিক্রম থেকে চাঁদের মাটিতে নেমে আসবে রোভার প্রজ্ঞান।সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠের চারপাশে চলাফেরা করে শুরু করে দেবে পরীক্ষা- নিরীক্ষার কাজ।
বিক্রম ল্যান্ডার রোভারের ছবি তুলবে এবং প্রজ্ঞান রোভার ল্যান্ডারের ছবি তুলবে।চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে তোলা সে ছবি পাবেন ভারতের বিজ্ঞানীরা।সবকিছু ঠিক থাকলে ভারত হবে চতুর্থ দেশ যারা চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করবে।তবে চাঁদের দক্ষিণমেরুতে অবতরণের ক্ষেত্রে ভারতই হবে বিশ্বের প্রথম দেশ।
তথ্যঃ ndtv.com
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ