বাঘেদের গর্জন ৩ কিলোমিটার বা তারও বেশি দূর থেকেও শোনা যায়
খোশখবর ডেস্কঃ বাঘ শব্দটি গ্রীক শব্দ ‘টাইগ্রিস’ থেকে এসেছে, যার উৎপত্তি একটি ফার্সি শব্দ থেকে, যার অর্থ তীর। প্রজাতিতে বাঘেরা বিড়ালদের প্রাচীনতম পূর্বপুরুষ এবং ২ মিলিয়ন বছরের পুরানো।বাঘ হল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিড়াল।
ভারত এবং বাংলাদেশের জাতীয় প্রাণী হল বাঘ।এশিয়ার প্রায় ১৩টি দেশে বাঘের দেখা মেলে।সব ধরনের বাঘ একই প্রজাতির অংশ। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে পৃথিবীতে বাঘের ন’টি উপপ্রজাতির মধ্যে তিনটি ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।তবে এখনও ছয়টি উপ-প্রজাতি বেঁচে আছে। সেগুলি হল -
- সাইবেরিয়ার বাঘ
- বাংলার বাঘ
- মালয় বাঘ।
- ইন্দো চাইনিজ বাঘ।
- দক্ষিণ চিনের বাঘ।
- সুমাত্রান বাঘ।
বাঘ এক লাফে ৩৩ ফুট পর্যন্ত চলে যেতে পারে।
অন্ধকারে বাঘের দৃষ্টি মানুষের চেয়ে ছ’গুণ ভালো।
বাঘ এক খাবারে ৪০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মাংস খেতে পারে, কিন্তু তারা সাধারণত অল্প পরিমাণে খায়।
সাদা বাঘ একটি উপ-প্রজাতি নয়।পিগমেন্ট জিনের পরিবর্তনের কারণে সাদা বাঘ হয়।অত্যন্ত বিরল স্ত্রী ও পুরুষ উভয় বাঘেরই শ্বেত সন্তান উৎপাদনের জন্য পরিবর্তিত জিন থাকতে হয়।
সমস্ত বাঘের উপ-প্রজাতি হুমকির সম্মুখীন।সবচেয়ে বিপন্ন বাঘের উপপ্রজাতি হল দক্ষিণ চিনের বাঘ।
একটা বাঘ স্বল্প সময়ের জন্য হলেও ঘন্টায় ৪৯ থেকে ৬৫ কিমি বেগে দৌড়তে পারে।
বাঘেদের গর্জন ৩ কিলোমিটার বা তারও বেশি দূর থেকেও শোনা যায়।
বাঘ একাকী থাকলেও কিন্তু-সামাজিক প্রাণী।সঙ্গমের ও সন্তান লালন-পালনের সময় ছাড়া বাঘেরা একা সময় কাটায়।
বাঘদের খাবারের জোগাড় করতে রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়।অবাক হওয়ার মত ঘটনা হল যে দক্ষ শিকারী বাঘেরাও প্রতি ২০টি চেষ্টার মধ্যে একটি প্রাণী হত্যা করতে পারে।
বাঘেরা সাঁতারু হিসেবে চমৎকার।বিড়ালরা জল অপছন্দ করলেও বাঘেরা জল পছন্দ করে।এমনকি জলের মধ্য দিয়ে শিকার ধরতে বা বহন করতেও সক্ষম বাঘেরা।
তথ্যঃ tigers-world.com
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ