পুজোর সময় নাড়ু আর পিঠেপুলির সময় শহরাঞ্চলে গুড়ের খোঁজ পড়ে।
খোশখবর ডেস্কঃ আজকের দিনে বিশেষত শহরাঞ্চলের মানুষ অনেকেই গুড় খেতে চান না।নানা শারীরিক কারণে চিনির পাশাপাশি গুড়কেও এড়িয়ে চলেন অনেকে।অথচ গুড়ের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা। গুড় আমাদের শরীর সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পুজোর সময় নাড়ু আর পিঠেপুলির সময় শহরাঞ্চলে গুড়ের খোঁজ পড়ে।আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে শীতকালে গুড় শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।গুড়ের আছে আরও একাধিক উপকারিতা। আমাদের দেশে প্রধানত তিন ধরনের গুড় পাওয়া যায়।সব গুড়ের মধ্যেই আছে নানা উপকারিতা।
আরও পড়ুনঃ বেগুনের যে যে ‘গুণ’ জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
আখের গুড়
আখ থেকে হয় বলে এই গুড় সারাবছরই পাওয়া যায়।আখের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি ও শর্করা থাকে। ডায়রিয়ার রোগীদের আখের গুড়ের স্যালাইন দেওয়া হয়। কারণ শর্করা শরীরে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে। ক্যালরি বেশি থাকার কারণে আখের গুড় দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।ওবেসিটি থাকলে আখের গুড় না খাওয়াই ভালো।
তালের পাটালি |
তালের গুড়
তালের রস থেকে তৈরি হয় এই গুড়। বলা হয় তালের গুড় শরীর থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং আমাদের যকৃত(লিভার)কে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।ঠান্ডা লাগার উপসর্গ থাকলে তা কমাতে সাহায্য করে।
খেজুরের গুড়
শীতকাল মানেই খেজুরের গুড়ের গন্ধে ম ম চারিদিক।এই গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। হাড় ও বাতের ব্যথা কমাতে খেজুরের গুড় খুবই উপকারী।আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বল আছে খেজুরের গুড় চুল ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই গুড়ে থাকে নানা ধরনের খনিজ পদার্থ,প্রোটিন আর ভিটামিন।এই গুড় খেলে শীতকালে কাজের শক্তি বাড়ে। কমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও।তবে ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে এ গুড় খাওয়া যাবে না।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ