আমাদের ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করতে গেলে বাঘ সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরী
খোশখবর ডেস্কঃ একদিকে চোরাশিকার,মানুষের অত্যাচারে নিজেদের আবাসস্থল হারানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জের – সব মিলিয়ে ভাল নেই বাঘেরা।বাঘের হাড়, চামড়া এবং শরীরের অন্যান্য অংশের চাহিদার কারণে চোরাশিকার ও পাচারের ঘটনা বাড়ছে।বাড়ছে বাঘ ও মানুষের সংঘর্ষের ঘটনা।এর ফলে স্থানীয়ভাবে বাঘেদের বিলুপ্তি ঘটছে, যা বাঘের সংখ্যার পুনরুজ্জীবনকে কঠিন করে তুলেছে।এর জেরে এই পৃথিবীতে টিকে থাকার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুতর হুমকির মুখোমুখি বন্য বাঘ৷
আরও পড়ুনঃ মানুষই বিপদ, গোটা পৃথিবী জুড়েই বিপন্ন অসহায় কচ্ছপকুল
কেন আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস
আমাদের ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করতে গেলে বাঘ সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরী। বাঘ হল সর্বোচ্চ শিকারী, এবং তাদের উপস্থিতি বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। বাঘ নিজেদের বিচরণের জায়গা যেমন সংরক্ষণ করে,তেমনই অন্যান্য অসংখ্য প্রজাতি এবং তাদের বসবাসকারী বাস্তুতন্ত্রের সামগ্রিক জীববৈচিত্র্যকেও রক্ষা করে।কিন্তু মানুষের আগ্রাসী আচরণে বাসস্থানের ক্ষতি, জলবায়ু পরিবর্তন, শিকার এবং চোরাচালানের ফলে ক্রমশ কমতে থেকেছে বাঘের সংখ্যা।বিপদ বুঝে বিপন্ন বড় বিড়াল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ টাইগার সামিটে টাইগার ডে পালনের কথা ভাবা হয়।কিন্তু মানুষ যখন বাঘ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবছে(২০১০ সাল) তখন দেখা যায় যে গত শতাব্দীতে সমস্ত বন্য বাঘের ৯৭% অদৃশ্য হয়ে গেছে, তাদের মধ্যে মাত্র ৩০০০টি অবশিষ্ট রয়েছে। এগিয়ে আসে বাঘের বসবাস আছে এমন ১৩টি দেশ।শুধু একটি দিন পালন নয় ২০২২ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে বন্য বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য স্থির হয়।
আন্তর্জাতিক বাঘ দিবসের লক্ষ্য
২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ টাইগার সামিটের সূচনা হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর ২৯শে জুলাই আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস পালন করা হয়।এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হল বন্য বাঘের সংখ্যার তীব্র হ্রাসের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা,যা তাদের বিলুপ্তির পথে ঠেলে দিয়েছে।বাঘ সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসে WWF, IFAW, Smithsonian Institute-এর মত বহু সংস্থা।বাঘেদের সংরক্ষণের পাশাপাশি, তাদের আবাসস্থল রক্ষা ও প্রসারিত করাও দিবসটির লক্ষ্য।
কেন আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস
আমাদের ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করতে গেলে বাঘ সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরী। বাঘ হল সর্বোচ্চ শিকারী, এবং তাদের উপস্থিতি বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। বাঘ নিজেদের বিচরণের জায়গা যেমন সংরক্ষণ করে,তেমনই অন্যান্য অসংখ্য প্রজাতি এবং তাদের বসবাসকারী বাস্তুতন্ত্রের সামগ্রিক জীববৈচিত্র্যকেও রক্ষা করে।কিন্তু মানুষের আগ্রাসী আচরণে বাসস্থানের ক্ষতি, জলবায়ু পরিবর্তন, শিকার এবং চোরাচালানের ফলে ক্রমশ কমতে থেকেছে বাঘের সংখ্যা।বিপদ বুঝে বিপন্ন বড় বিড়াল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ টাইগার সামিটে টাইগার ডে পালনের কথা ভাবা হয়।কিন্তু মানুষ যখন বাঘ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবছে(২০১০ সাল) তখন দেখা যায় যে গত শতাব্দীতে সমস্ত বন্য বাঘের ৯৭% অদৃশ্য হয়ে গেছে, তাদের মধ্যে মাত্র ৩০০০টি অবশিষ্ট রয়েছে। এগিয়ে আসে বাঘের বসবাস আছে এমন ১৩টি দেশ।শুধু একটি দিন পালন নয় ২০২২ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে বন্য বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য স্থির হয়।
আন্তর্জাতিক বাঘ দিবসের লক্ষ্য
২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ টাইগার সামিটের সূচনা হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর ২৯শে জুলাই আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস পালন করা হয়।এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হল বন্য বাঘের সংখ্যার তীব্র হ্রাসের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা,যা তাদের বিলুপ্তির পথে ঠেলে দিয়েছে।বাঘ সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসে WWF, IFAW, Smithsonian Institute-এর মত বহু সংস্থা।বাঘেদের সংরক্ষণের পাশাপাশি, তাদের আবাসস্থল রক্ষা ও প্রসারিত করাও দিবসটির লক্ষ্য।
বাঘেদের রক্ষায় বৈশ্বিক সহযোগিতা
বাঘ সংরক্ষণ সচেতনতার জন্য ‘আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস’ একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাঘের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য তাদের রক্ষা ও সংরক্ষণের গুরুত্বের উপর জোর দেয়।যেহেতু মূলত এশিয়া জুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বাঘ বাস করে, তাই বাঘের সংখ্যা রক্ষা করার জন্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা অপরিহার্য।‘গ্লোবাল টাইগার ডে’ সংরক্ষণ রক্ষাকারী সংস্থা এবং বিভিন্ন সরকারকে বাঘের জনসংখ্যার সংখ্যা এবং সংরক্ষণ উদ্যোগের আপডেট ভাগ করে নেওয়ার অনুমতি দেয়।এই ডেটা সংরক্ষণ উদ্যোগের সাফল্যের মূল্যায়ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাঘ সংরক্ষণ সচেতনতার জন্য ‘আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস’ একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাঘের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য তাদের রক্ষা ও সংরক্ষণের গুরুত্বের উপর জোর দেয়।যেহেতু মূলত এশিয়া জুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বাঘ বাস করে, তাই বাঘের সংখ্যা রক্ষা করার জন্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা অপরিহার্য।‘গ্লোবাল টাইগার ডে’ সংরক্ষণ রক্ষাকারী সংস্থা এবং বিভিন্ন সরকারকে বাঘের জনসংখ্যার সংখ্যা এবং সংরক্ষণ উদ্যোগের আপডেট ভাগ করে নেওয়ার অনুমতি দেয়।এই ডেটা সংরক্ষণ উদ্যোগের সাফল্যের মূল্যায়ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ