সোয়াবিন পুষ্টিগুনে মাছ, মাংস, দুধ, ডালের সঙ্গে পাল্লা দেয়। সেজন্য সোয়াবিনকে বলা হয় গরীবের ফসল
মাংসের গুলির পাশাপাশি সোয়াবিন সব্জি হিসেবে, দুধ তৈরি করে, ছাতু বানিয়ে, তেল করে খাওয়া যায়। এর সাহায্যে রুটি, কেক, বিস্কুট, পোলাও, পায়েস সব কিছুই বানানো যায়।
সোয়াবিন থেকে যে দুধ পাওয়া যায় তা তুল্যমূল্য বিচারে গরুর দুধ ও মানুষের দুধের চেয়েও পুষ্টিকর (প্রোটিন ২.৪০%, ফ্যাট ৩.১৫%. কার্বোহাইড্রেটস ৬.৯০% এবং খনিজ ০.৫২%)। অন্যদিকে ছোলা, মুসুর ডাল, মাছ, মাংসের তুলনাতেও সোয়াবিনে শতকরা হারে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটস ও ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। যে যে ক্ষেত্রে সোয়াবিন দারুণ কাজ দেয় –
- রক্তাল্পতায় নিয়মিত দুবেলা সোয়াবিনের দুধ ভাল কাজ দেয়।
- অপুষ্টির মত পরিস্থিতিতে সোয়াবিনের দুধ খুব কার্যকরী।
- কোষ্ঠ পরিষ্কার না হলে সোয়াবিনের আটা বা আটার মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
- মিষ্টি না থাকায় ডায়াবেটিস রোগের দারুণ খাবার সোয়াবিন।
- সোয়াবিন ৩০% কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগ ও রক্ত সংবহন তন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ করে।
- সোয়াবিনের দুধ স্তন ও অন্ত্রের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ