ভারতীয় সমাজে মহিলাদের লিঙ্গ পক্ষপাত কাটাতে আজীবন লড়াই করেছেন বিজ্ঞানী কমলা সোহনি
খোশখবর ডেস্কঃ আধুনিক বিজ্ঞানের জগতে প্রথম পা ফেলা ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে অন্যতম কমলা সোহনি। ভারতে উচ্চতর বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যখন মহিলাদের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে ঠিক তখনই জৈব রসায়নের ক্ষেত্রে প্রতিনিধি স্থানীয় কাজ করে সকলের নজর কাড়েন এই বায়োকেমিস্ট। কমলা ভাগবতের জন্ম মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন খুবই দৃঢ়চেতা। সেসময় উচ্চশিক্ষা থেকে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা - কোনও কিছুতেই মহিলাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হত না।মেয়েরা যে এসবের যোগ্য তা মনেই করা হত না।এর শিকার হয়েছিলেন ডঃ সোহনিও। ভারতীয় সমাজে মহিলাদের লিঙ্গ পক্ষপাত কাটাতে আজীবন লড়াই করেছেন এই বিজ্ঞানী।
তাঁর সমস্ত গবেষণাই ছিল খাদ্যদ্রব্য ও পুষ্টি বিষয়ক।সাধারণ মানুষের জন্য ভারতীয় খাদ্যদ্রব্যের ব্যবহার বিষয়ে তিনি উৎসাহী ছিলেন।নানা ভারতীয় খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ নির্ণয় করেছিলেন তিনি ও তাঁর সহযোগীরা।
তালের রস থেকে নানা গুণসম্পন্ন পুষ্টিকর পানীয় ‘নীরা’ তৈরি তাঁর অনন্য আবিস্কার বলে গন্য করা হয়।তাঁর তৈরি ‘নীরা’ ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস এবং অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সক্ষম বলে প্রমাণিত হয়। ‘নীরা’ নিয়ে তার কাজের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত হন ডঃ সোহনি।তিনি বোম্বেতে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের প্রথম মহিলা পরিচালকও হন। জন্মদিনে এই কৃতী ভারতীয়কে ডুডলের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছে গুগল।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ