সবদিক বিবেচনা করে ফের সাইকেলকে বন্ধু করে নেওয়ার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা।
খোশখবর ডেস্কঃ ফিরে চলো সাইকেলের যুগে – হ্যাঁ, সবদিক বিবেচনা করে ফের সাইকেলকে বন্ধু করে নেওয়ার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা।পরিবর্তিত জীবনধারার কারণে আজকাল মানুষের মধ্যে হাঁটা এবং সাইকেল চালানোর ব্যবহার অনেক কমে গেছে। অনেকেই আছেন কিছুটা হাঁটা বা একটু কায়িক পরিশ্রম করে সাইকেল চালাতে একেবারেই চান না। কাছেপিঠে গেলেও রাস্তায় নেমেই কোনও একটা যানবাহনের খোঁজ করেন। সকালে উঠে হাঁটা বা দৌড়োনো তো অনেক দূরের ব্যাপার।
কিন্তু এসব বাদ দিয়েও নিয়মিত সাইকেল চালানোর কথা ভেবে দেখেছেন কখনও? শারীরবিজ্ঞানীরা বলছেন গতে বাঁধা এক্সারসাইজের মধ্যে না পড়লেও সাইক্লিং করলে অনেক লাভ।সাইকেল চালানো সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে হাঁটা এবং সাইকেল চালানোর জন্য নিরাপদ পরিকাঠামো তৈরি বৃহত্তর স্বাস্থ্য সমতা অর্জনের একটি পথ। নিয়মিত সাইকেল চালানো মাংসপেশীকে শক্তিশালী করে, হার্টকে সুস্থ রাখে। সাইকেল চালালে ওবেসিটি,ডায়াবিটিস ইত্যাদি রোগের থাবা থেকে দূরে থাকা যায়।
সাইকেল চালানোর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় ব্যালেন্সের। নিজের ও সাইকেলের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পারলেই সাইকেল চালানো আরও সহজ হয়ে যায়। ইদানীং বহু মানুষই অবসাদের শিকার। তাই অবসাদ কাটাতেও সাইকেল চালাতে পারেন। সাইকেল চালানোর সুবিধা কী কী জেনে নেওয়া যাক।
সাইকেল চালালে কী কী লাভ?
১. দরিদ্রতম শহুরে এলাকায় যেখানে অনেকেই ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহার করতে পারেন না তাঁরা হাঁটা এবং সাইকেল চালানোর মধ্যে দিয়ে হৃদরোগ, স্ট্রোক, নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও কমিয়ে ফেলেন অনেকাংশে।
২. সাইকেল চালালে সেরোটোনিন, ডোপামিন এবং ফেনাইলথিলামাইনের মতো রাসায়নিক পদার্থ বাড়ায় যা মস্তিষ্ক থেকে বিষাদ সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থ দূর করে, যা সুখী হওয়ার পাশাপাশি মানসিক চাপ দূর করে।
৩. হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথায় সাইকেল চালানো উপকারী। একটানা সাইকেল চালানোর ফলে পায়ের সম্পূর্ণ ব্যায়াম হয় এবং আপনি হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
১. দরিদ্রতম শহুরে এলাকায় যেখানে অনেকেই ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহার করতে পারেন না তাঁরা হাঁটা এবং সাইকেল চালানোর মধ্যে দিয়ে হৃদরোগ, স্ট্রোক, নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও কমিয়ে ফেলেন অনেকাংশে।
২. সাইকেল চালালে সেরোটোনিন, ডোপামিন এবং ফেনাইলথিলামাইনের মতো রাসায়নিক পদার্থ বাড়ায় যা মস্তিষ্ক থেকে বিষাদ সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থ দূর করে, যা সুখী হওয়ার পাশাপাশি মানসিক চাপ দূর করে।
৩. হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথায় সাইকেল চালানো উপকারী। একটানা সাইকেল চালানোর ফলে পায়ের সম্পূর্ণ ব্যায়াম হয় এবং আপনি হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৪. সুগার রোগীদের জন্য সাইকেল চালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুগার রোগীদের বাকিদের তুলনায় বেশি সাইকেল চালানো উচিত। সাইকেল চালানোর আগে এবং পরে রক্তে শর্করা পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।এক ঘণ্টা সাইকেল চালালে প্রায় ৫০০ ক্যালরি কমে।
৫. সাইকেল চালালে যেমন ওবেসিটি, ডায়াবিটিস ইত্যাদি রোগের থাবা থেকে দূরে থাকা যায়, একই ভাবে হার্টও ভালো থাকে। সাইকেল চালানোর জন্য পরিশ্রম করতে হয় এবং তার জন্য আপনার শরীরে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া দ্রুত চলে। সেই জন্য নিয়মিত সাইকেল চালালে আপনার ফুসফুস ভালো থাকে ও কার্যক্ষমতা বাড়ে।
সাইকেল সচেতনায় একটা দিন
সাইকেল মানেই পরিষ্কার বাতাস এবং কম যানজট। একদিকে পরিবেশ,অন্যদিকে স্বাস্থ্য – দুইই সমানতালে বজায় রাখে সাইকেল। সাইকেল আসলে দুই শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসা একটি সহজ, সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, পরিচ্ছন্ন এবং পরিবেশগতভাবে টেকসই পরিবহনের মাধ্যম।এই কারণে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ৩ জুনকে বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস হিসেবে পালনের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে হাঁটা এবং সাইকেল চালানো হৃদরোগ, স্ট্রোক, নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।
সাইকেল মানেই পরিষ্কার বাতাস এবং কম যানজট। একদিকে পরিবেশ,অন্যদিকে স্বাস্থ্য – দুইই সমানতালে বজায় রাখে সাইকেল। সাইকেল আসলে দুই শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসা একটি সহজ, সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, পরিচ্ছন্ন এবং পরিবেশগতভাবে টেকসই পরিবহনের মাধ্যম।এই কারণে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ৩ জুনকে বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস হিসেবে পালনের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে হাঁটা এবং সাইকেল চালানো হৃদরোগ, স্ট্রোক, নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ