নিয়মিত দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস ও অনিদ্রার ক্ষেত্রে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
খোশখবর ডেস্কঃ দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে দইয়ের কোনও জবাব নেই।পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে অনেক ক্ষেত্রে দুধের চেয়ে দইয়ে উপকার বেশী পাওয়া যায়।যাদের দুধ সহ্য হয় তাঁরা সহজেই দই খেতে পারেনন। বাংলাতো বটেই এমনকি ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেও মেলে দই।তবে অঞ্চলভেদে দই আলাদা রকম হয়।এই বাংলাতেও বিভিন্ন প্রান্তের দইয়ে পুষ্টিগুণে তারতম্য রয়েছে।তবে তারতম্য থাকলেও স্বাস্থ্যকর খাবারের নিরিখে দইয়ের কোনও জবাব নেই।
দই কেন ভাল?
আসলে দইতে থাকা ব্যাক্টেরিয়া হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো।যা দাঁত ও হাড় মজবুত করে।দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।দই পাততে যে সাজা ব্যবহার করা হয়, তাতেই থাকে এই উপাদান।পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে- দুধের প্রোটিন ভেঙে তৈরি হওয়া পেপটাইড এই অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস - যা দুধে থাকে না।দইয়ের মধ্যে মূলত চার রকমের গুণ রয়েছে, যেমন এটি হল অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ, অ্যান্টি -হাইপারটেনসিভ, অ্যান্টি-ডায়িবিটিক এবং ওপিয়ড অ্যাক্টিভিটি যার জন্যে ঘুম ভালো হয়। তাই নিয়মিত দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস ও অনিদ্রার ক্ষেত্রে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।তাই দুধের চেয়েও দইয়ের উপস্থিতি খাদ্যতালিকায় বেশি করে কাম্য।
আসলে দইতে থাকা ব্যাক্টেরিয়া হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো।যা দাঁত ও হাড় মজবুত করে।দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।দই পাততে যে সাজা ব্যবহার করা হয়, তাতেই থাকে এই উপাদান।পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে- দুধের প্রোটিন ভেঙে তৈরি হওয়া পেপটাইড এই অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস - যা দুধে থাকে না।দইয়ের মধ্যে মূলত চার রকমের গুণ রয়েছে, যেমন এটি হল অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ, অ্যান্টি -হাইপারটেনসিভ, অ্যান্টি-ডায়িবিটিক এবং ওপিয়ড অ্যাক্টিভিটি যার জন্যে ঘুম ভালো হয়। তাই নিয়মিত দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস ও অনিদ্রার ক্ষেত্রে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।তাই দুধের চেয়েও দইয়ের উপস্থিতি খাদ্যতালিকায় বেশি করে কাম্য।
দইয়ে আরও কী কী উপকার?
ডায়েটিশিয়ানদের মতে যাঁদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকায় দুধ সহ্য হয় না, তাঁরা সহজেই দই থেকে অনেক বেশি পুষ্টি পেতে পারেন। ১০০ গ্রাম দই তৈরি করতে অন্তত ২০০-২৫০ গ্রাম দুধ লাগে,তাই ১০০ গ্রাম দুধের চেয়ে ১০০ গ্রাম দইয়ে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।এতে সমপরিমাণ দুধের চেয়েও বেশী ফ্যাট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৫ ইত্যাদি থাকে।খাদ্যনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধেও দইয়ের ভূমিকা রয়েছে।
টক দইয়ে কী উপকার বেশি?
অনেকে স্বাদের কারণে টক দইয়ের চেয়ে মিষ্টি দই বেশী পছন্দ করে।অন্যান্য উপাদান একই থাকলেও মিষ্টি দইয়ে চিনি মেশানো হয় বলে ক্যালরি বেশি থাকে।তাই পুষ্টিবিজ্ঞানীরা মিষ্টি দইয়ের চেয়ে টক দইকেই গুরুত্ব দেন বেশি।নিয়মিত টক দই খেলে তা নানা উপকার করে। এক বারে বা সারাদিনে বারে বারে সব মিলিয়ে ১০০ থেকে ২৫০ গ্রাম টক দই খাওয়া যেতেই পারে। তবে বেশি বেশি কোনকিছুই ভালো নয়।তবে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থাকলে রাতে দই না খাওয়াই ভালো।এতে মিউকাস বৃদ্ধি হতে পারে।
টকদই নানাভাবে স্যালাড দিয়ে,বিটনুন মিশিয়ে,চিড়েতে মাখিয়ে বা ঘোল করে যেভাবেই হোক খাওয়া যেতে পারে। গুনগত মানের জন্য পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বাড়িতে বানানো দই খাওয়ার উপরই জোর দেন।তবে বাজার থেকে দই কিনলেও দুগ্ধজাত সামগ্রী হওয়ায় তা ভাল পরিচ্ছন্ন জায়গা থেকেই কেনা উচিত।
ব্যবহৃত ছবি নেওয়া হয়েছে গুগল থেকে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ