এবারে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম হল #BeatPlasticPollution বা প্লাস্টিক দূষণকে রুখে দেওয়া।
খোশখবর ডেস্কঃ প্লাস্টিকে ছেয়ে যাচ্ছে গোটা পৃথিবী।প্রতি বছর ৪০০ মিলিয়ন টনেরও বেশি প্লাস্টিক উৎপাদিত হয়, যার প্রায় অর্ধেকটাই ব্যবহার হয় শুধুমাত্র একবার। এর মধ্যে ১০ শতাংশেরও কম পুনর্ব্যবহারযোগ্য। এই বিপুল প্লাস্টিকের মধ্যে আনুমানিক ১৯ থেকে ২৩ মিলিয়ন টন মেশে হ্রদ, নদী এবং সমুদ্রে। আজ, প্লাস্টিক আমাদের এই গ্রহের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
শুধু তাই নয়, গবেষণায় জানা গেছে, আমরা যে খাবার খাই, আমরা যে জল পান করি এবং এমনকি আমরা যখন শ্বাস নিই তখন আমাদের শরীরে ঢুকে পড়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক। তাই এবারে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম হল #BeatPlasticPollution বা প্লাস্টিক দূষণকে রুখে দেওয়া।
আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগেই প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা শোনান পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। ১৯৬৮ সালের ২০ মে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায় সুইডেন সরকার। রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সমাধানের উপায় খুঁজতে ১৯৭২ সালের ৫ জুন থেকে ১৬ জুন, সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বসে মানব পরিবেশ সম্মেলন (United Nations Conference on the Human Environment) এটাই ছিল মানবজাতির ইতিহাসের ‘প্রথম পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন’। ১৯৭৩ সালে ৫ জুনকে ইউনাইটেড নেশনস ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিন পালিত হয়ে আসছে।
সব ছবি টুইটার থেকে নেওয়া
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ