অ্যাপলের ‘ভিশন প্রো’ হেডসেট পরে আপনি চলে যেতে পারবেন ভার্চুয়াল দুনিয়ায়।
খোশখবর ডেস্কঃ অন্য টেক জায়ান্টদের থেকে একটু পিছিয়ে থেকেই খেলা শুরু করল অ্যাপল। সংস্থার ঝকঝকে অ্যাপল পার্ক সদর দফতরে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপারস সম্মেলনে সোমবার মিক্সড রিয়েলিটি হেডসেট উন্মোচন করেছেন সিইও টিম কুক। সেই ২০১৫ সালে হইচই করে অ্যাপল ওয়াচের উন্মোচনের পর এটাই টেক জায়ান্টের নজরকাড়া নতুন পণ্য সামনে আনা।
মিক্সড রিয়েলিটি হেডসেট ব্যাপারটা কি?
অ্যাপলের ‘ভিশন প্রো’ নামের হেডসেটটি ক্যামেরা এবং সেন্সর দিয়ে পরিপূর্ণ। এটি দেখতে স্কি গগলসের মতো।এটা পরে আপনি চলে যেতে পারবেন ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। এতে রয়েছে ১২ টি অত্যাধুনিক ক্যামেরা, যা দিয়ে ছবি তোলা সহ নানা কাজ করা যাবে। ভার্চুয়াল অ্যাপস ব্যবহার করে সিনেমা দেখা ,ডকুমেন্টস লেখা থেকে নানা ক্রিয়েটিভ কাজ সবই করা সম্ভব হবে। রয়েছে ছটা মাইক্রোফোন। চোখ ও হাত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে সেন্সর। অর্থাৎ এতে কাজ করার জন্য আপনাকে কোনও আফিস বা বাড়ির ভেতর চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে পড়তে হবে না।আপনি গাড়িতে বা রাস্তায় বা সমুদ্রের ধারে বসেও করে ফেলতে নিজের স্টুডিওর যাবতীয় কাজ।এই হেডসেটের দাম প্রায় সাড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলার।
বাজারে আগেই এসেছে এমন হেডসেট !
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট বাজারে নতুন নয়। ১০১৪ সালে ফেসবুক (এখন মেটা) স্টার্টআপ সংস্থা Oculus কে ২ বিলিয়ন ডলারে কিনে নিয়ে এমন ধরনের হেডসেট নিয়ে আসে – যা মূলত গেমারদের কথা ভেবেই তৈরি।২০১৬ সালে মাইক্রোসফ্ট আনে তার Hololens হেডসেট।এক দশকেরও বেশি আগে গুগল নিয়ে আসে গুগল গ্লাস। সব কটিই বাজারে চললেও টেকস্যাভিদের মধ্যে হইচই ফেলতে পারে নি কোনওটাই। অনান্য টেকজায়েন্টরা অনেক আগেই মাঠে নামলেও বেশ দেরিই করল অ্যাপল।তবে বলা হচ্ছে পাঁচ বছর আগে থেকেই এই প্রজেক্টের উপর কাজ করছে টিম কুকের সংস্থা। ডিভাইসের ডিজাইন ল্যাঙ্গুয়েজ চূড়ান্ত করতেই নাকি সবচেয়ে সময় লেগেছে অ্যাপলের।কোয়ালিটির বিষয়ে নাকি কোনও আপস করতে না চাওয়াতেই দেরি হয়েছে।
এর আগেও mp3 প্লেয়ার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং স্মার্টওয়াচের বাজারে আইপড, আইফোন, আইপ্যাড এবং অ্যাপল ঘড়ি এনে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল অ্যাপল।এবারও মিক্সড রিয়েলিটির হেডসেট সেরকম জায়গায় পৌঁছোতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
ছবি টুইটার থেকে নেওয়া
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ