স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই প্রতি বছর এমন একটি দিন পালন করে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’।
খোশখবর ডেস্কঃ সুস্থ না থাকলে সুন্দর জীবন পাওয়ার আশা অধরা হয়েই থেকে যাবে চিরকাল।আমরা তো সেই ছোটবেলা থেকেই শুনে আসি সুস্বাস্থ্যই সুস্থ ও সতেজ জীবনের চাবিকাঠি।কিন্তু এই সুস্থ থাকাটা সমসময় আমাদের নিজেদের উপর নির্ভর করে না। আমরা কোন দেশে আছি,কোন জায়গায় আছি,কোন পরিবেশে আছি তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে।তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে সাধারণ মানুষের ভাল সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্র, সচেতনতার অভাব।করোনা মহামারির পর স্বাস্থ্য সচেতনতা অতি জরুরি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই প্রতি বছর এমন একটি দিন পালন করে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’।
‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হল রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি সহযোগী সংস্থা বা এজেন্সি যা আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে থাকে। ১৯৪৬ সালের জুলাই মাসে নিউইয়র্কে একটি সম্মেলনে এই সংস্থার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপিত হয়। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংস্থা। এর সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত।এইচআইভি, ক্যান্সার, হৃদরোগ, বিশুদ্ধ জল, জরুরি ওষুধ, ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই সংস্থার প্রধান হিসেবে থাকেন একজন মহাপরিচালক, যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন থেকে মনোনীত হয়ে থাকেন।সেই হিসেবে এবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭৫ বছর।
কবে থেকে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয় ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল।এই দিন থেকেই এই সংগঠন আইন অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যকর হয়।এবং পরে এই দিনটিকেই ‘ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ বলে নির্ধারিত করা হয়। তবে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে।২০২৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের থিম ‘ সকলের জন্য স্বাস্থ্য’।
সচেতনতা বাড়াতে নানা উদ্যোগ
বিশ্বের প্রত্যেকটি নাগরিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিই এই দিন পালনের পিছনে অন্যতম উদ্দেশ্য। সচেতনতা প্রসারের মাধ্যমেই নানান রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু আরও সাতটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রচার মূলক কাজ করে থাকে।সেগুলি হল বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস, বিশ্ব রোগ প্রতিরোধ সপ্তাহ, বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস, বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবস, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস, বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস এবং বিশ্ব এইডস দিবস।
সুস্বাস্থ্য এমন একটি বিষয়, যার উপর একটি দেশের মানব সম্পদ অনেকাংশে নির্ভরশীল।
দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্যের অভাব হলে দেশের উৎপাদনশীলতা কমে,থমকে যায় উন্নয়নের গতি। বিশ্ব স্বস্থ্য দিবসের গুরুত্ব এখানেই।
এই দিনটিকে পৃথিবীর বহু দেশ এবং বহু বেসরকারি সংগঠন পালন করে থাকে।
মূলত জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে প্রচার ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি কাজে লাগানো হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন পত্র পত্রিকাতে এই দিন স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ছবি সৌজন্যঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ