বোয়িং ৭৪৭ রঙ করার জন্য যেখানে ৪০০কেজির বেশী রঙ লাগে সেখানে এই প্লাজমোনিক পেইন্ট লাগবে মাত্র এক কিলোগ্রাম।
খোশখবর ডেস্কঃ বিশ্বের সবচেয়ে হালকা রঙ তৈরি করে ফেলেছেন সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।বিজ্ঞানীদের দাবী শক্তিশালী এই বিশেষ রঙ ১০০ বছরেও সহজে বিবর্ণ হবে না,পাশাপাশি সহজেই পরিবর্তিত হতে পারবে অন্য রঙে। ইউসিএফ-এর ন্যানোসায়েন্স টেকনোলজি সেন্টারে বাঙালি বিজ্ঞানী অধ্যাপক দেবাশিস চন্দ এই গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন। প্রজাপতির রঙ থেকেই তার এই ভাবনা মাথায় এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাধারণ রঙ তৈরিতে যে পিগমেন্ট ব্যবহার করা হয় এতে তা থাকবে না।এই প্লাজমোনিক পেইন্টে অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড এবং অ্যালুমিনিয়ামের বর্ণহীন উপাদানের একটি ন্যানোস্কেল বিন্যাস থাকবে।গবেষকরা দাবি করেছেন যে বোয়িং ৭৪৭ রঙ করার জন্য যেখানে ৪০০কেজির বেশী রঙ লাগে সেখানে এই প্লাজমোনিক পেইন্ট লাগবে মাত্র এক কিলোগ্রাম।
অধ্যাপক দেবাশিস চন্দ |
অধ্যাপক দেবাশিস চন্দর ব্যাখ্যায় প্রজাতির মধ্যে সাধারণত দুটি বর্ণহীন পদার্থের জ্যামিতিক বিন্যাস সমস্ত রঙ তৈরি করে। অন্যদিকে, মানুষের তৈরি রঙে প্রতিটি রঙের জন্য নতুন অণুর প্রয়োজন হয়।
মানুষের তৈরি রঙে পিগমেন্ট গুলো ফোটন শোষণ করার ক্ষমতা হারায় ফলে রঙ বিবর্ণ হয়ে যায়।কিন্তু নতুন রঙে তা হয় না,ফলে একবার এই রঙ দিয়ে কিছু আঁকলে তা শতাব্দী ধরে চলবে বলেই দাবী বিজ্ঞানীদের। এই গবেষণার ফলাফল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্স’-এ প্রথম প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যঃ sciencealert.com / wionews.com
তথ্যঃ sciencealert.com / wionews.com
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ