একনজরে

10/recent/ticker-posts

World Sleep Day ঘুম না হলে ক্ষতি কতটা? কেন পালিত হয় ঘুম দিবস?


ঘুম নিয়ে উদ্বেগে ভোগে গোটা বিশ্বই। আর এ জন্যই প্রতিবছর পালিত হয় বিশ্ব ঘুম দিবস।

খোশখবর ডেস্কঃ বলা হয় মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন খাদ্য,বস্ত্র ও বাসস্থান।তবে শুধু এটাই বোধহয় সব নয়।জীবন সচল রাখতে ঘুম যে কতটা প্রয়োজন তা যাদের জীবনে ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা জানেন। ঘুম না হওয়ার নানা কারন রয়েছে। কেউ পেট ভরে খাওয়া জোটে না বলে রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারেন না আবার কারও কারও অর্থ ও সম্পদের পরিমাণ এত বেশী যে সেগুলোর চিন্তায় ঘুম আসে না।তবে এটাই সব নয়। অনেকেই ঘুম না আসার রোগে ভোগেন।আবার কেউ কেউ বেশী বেশী ঘুমের রোগে ভোগেন। যেখানে সেখানে যখন তখন ঘুমিয়ে পড়া তাঁদের রোগ।কেউ নিদ্রার কারণে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না আবার কেউ সাত তাড়াতাড়ি বিছানায় শুতে না পেলে মেজাজ খারাপ করে ফেলেন।কেউ দুপুরে ভাত খেয়েই একটু ঘুমিয়ে নেওয়ার যায়গা খোঁজেন আবার কেউ ঘুমের খোঁজে ওষুধের দোকান ছোটেন।যাই হোক যা বোঝা যাচ্ছে ঘুম নিয়ে উদ্বেগে ভোগে গোটা বিশ্বই। আর এ জন্যই প্রতিবছর ঘটা করে পালিত হয় বিশ্ব ঘুম দিবস।





কারা পালন করে বিশ্ব ঘুম দিবস?

সুনিদ্রার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে ২০০৮ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ স্লিপ মেডিসিন বিশ্ব নিদ্রা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতি বছর মার্চ মাসে মহাবিষুবের আগের শুক্রবার ( সাধারণত ২০ মার্চ পর্যন্ত মহাবিষুব বা নর্দান হেমিস্ফিয়ার স্থায়ী হয়) এ দিনটি পালন করা হয়। এ দিনটির মূল উদ্দেশ্য হল সুস্থ্যতার জন্য সুনিদ্রার প্রয়োজনীয়তা এবং নিদ্রাহীনতার চিকিৎসা, কারণ ইত্যাদি জনসমক্ষে তুলে ধরা।




কেন পালন করা হয় বিশ্ব ঘুম দিবস?

ঘুম মানুষের একটি অত্যাবশ্যকীয় শারীরিক প্রক্রিয়া।পরিমিত ঘুম আমাদের সুস্বাস্থ্যের ইঙ্গিত দেয়। সময়ে সঠিক পরিমান ঘুম আমাদের হৃদ্‌রোগ সহ নানা রোগের ঝুঁকিও কমায়। চিকিৎসকেরা বলেন প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। নির্দিষ্ট সময় ঘুম হলে প্রতিদিন সকালে আমরা সুস্থ-সতেজ হয়ে কাজ শুরু করতে পারি।এখন আধুনিক মানুষ মোবাইল নির্ভর হওয়ায় দিনের অনেকটা সময় স্ক্রিনটাইমে কেটে যাওয়ায় চোখের ও মস্তিস্কের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও।



 নিদ্রাহীনতার ফলে বিশ্বের জনসংখ্যার ৪৫% মানুষের নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে।শুধু মানুষের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয় নিদ্রাহীনতার ফলে কর্মদিবস নষ্ট হওয়ায় বিভিন্ন দেশের আর্থিক ক্ষতিও হয় প্রচুর।তাই বিশ্ব নিদ্রা দিবসের মাধ্যমে প্রতি বছর ঘুমের প্রয়োজনীয়তা এবং সমাজে এর প্রভাবের ব্যাপারে জনসচেনতা সৃষ্টি করা হয়।

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code