টেরান ওয়ান থ্রি ডি প্রিন্টিং পদ্ধতিতে তৈরি সবচেয়ে বড় জিনিষ যা মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে
টেরান ওয়ান রকেটের ২টো পর্যায় থাকবে।প্রথম পর্যায়ে নটি এইওন ইঞ্জিন রয়েছে, এবং এর দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে একটি এইওন ভ্যাক ইঞ্জিন।রকেটটি লম্বায় হবে ১১০ ফুট আর চওড়ায় ৭.৫ ফুট। এই রকেটের ৮৫ শতাংশই তৈরি করা হয়েছে থ্রি ডি প্রিন্টিং পদ্ধতিতে। এই অভিযান সফল হলে আগামী দিনে ৯৫ শতাংশ থ্রি ডি প্রিন্টিং পদ্ধতিতে তৈরি রকেট মহাকাশে পাঠানো হবে। সেই হিসেবে টেরান ওয়ান হল থ্রি ডি প্রিন্টিং পদ্ধতিতে তৈরি সবচেয়ে বড় কোনও জিনিষ যা মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে।
একেই ভবিষ্যতের মহাকাশযান বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।‘রিলেটিভিটি স্পেস’-এর এই রকেট পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ১২৫০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজন তুলে নিয়ে যেতে পারবে।এ জন্য খরচ হচ্ছে ১২ মিলিয়ন ডলার।অন্যদিকে স্পেসএক্সের ফ্যালকন নাইন রকেট ২২,০০০ কিলোগ্রামেরও বেশি ওজন কক্ষপথে নিয়ে যেতে প্রতি ফ্লাইটে প্রায় ৬৭ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়।
পৃথিবীর বুকে অভিযান ও গবেষণা তো অনেক হল,এবার বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য মহাকাশ।টেরান ওয়ান সফল হলে এই তুলনামূলক সস্তার প্রযুক্তিতে আরও বড় ৬৬ মিটার লম্বা টেরান আর রকেট বানাবে ‘রিলেটিভিটি স্পেস’।২০২৪ সালে তা ছুটবে মহাকাশের দিকে যার লক্ষ্য হবে মঙ্গল গ্রহ। টেরান আর তৈরি হবে সম্পূর্ণরূপে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস দিয়ে-যা কক্ষপথে ২০,০০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজন নিয়ে যেতে পারবে।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ