মারিও মোলিনা হলেন সেই বিজ্ঞানী যিনি পৃথিবীর ওজোন স্তরকে বাঁচাতে সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে রাজি করানোর পথপ্রদর্শক
তিনি তাঁর সহযোগী গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে ওজোন, সিএফসি ও বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থার কম্পিউটার মডেলিংয়ের সাহায্যে ওজোন স্তর ছিদ্র হওয়ার যে যোগ সেই তত্ত্বের ব্যাখ্যা দেন। প্রথমে মারিও মোলিনার বের করার চেষ্টা করেন যে কীভাবে সিএফসিকে নষ্ট করা যায়। বায়ুমণ্ডলের নিম্নভাগে সিএফসি নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মত আচরণ করে কিন্তু উপরে তা ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে। বিজ্ঞানী মোলিনা বুঝতে পারলেন যে, বায়ুমণ্ডলে নির্গত হওয়া সিএফসিকে কোনোভাবে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। বরং তাদের নির্গমন বৃদ্ধি পেলে ওজন স্তরের ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।
তিনি এবং তাঁর সহযোগী গবেষকরা এই নিয়ে নেচার জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেন-তাঁরা সিএফসি গ্যাস নিষিদ্ধের দাবি জানান।তাদের এই কাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানী মহলকে নাড়িয়ে দেয়।যুগান্তকারী এই গবেষণা মন্ট্রিল প্রোটোকলের ভিত্তি হয়ে ওঠে - যেখানে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে ওজোন-ক্ষয়কারী ১০০টি রাসায়নিক পদার্থের উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়।বিজ্ঞানী মারিও মোলিনা হলেন সেই বিজ্ঞানী যিনি পৃথিবীর ওজোন স্তরকে বাঁচাতে সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে রাজি করানোর পথপ্রদর্শক। ১৯৯৫ সালে তিনি যৌথভাবে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান।পাশাপাশি মেক্সিকোতে জন্ম নেওয়া প্রথম ব্যক্তি হিসেবেও রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর, মেক্সিকোতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৭ বছর বয়সে মারা যান এই নোবেলজয়ী।তবে মেক্সিকোতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান মারিও মোলিনা সেন্টার দূষণ মুক্ত টেকসই বিশ্ব তৈরির জন্য এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ