একনজরে

10/recent/ticker-posts

Google Doodle of Kitty O'Neil ‘বিশ্বের দ্রুততম মহিলা’ কিটি ও'নিলকে ডুডলের মাধ্যমে স্মরণ গুগলের


নানা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এসে হাজির হলেও কিছুই কিটি ও'নিলের এগিয়ে যাওয়াকে দমাতে পারে নি।

খোশখবর ডেস্কঃ জীবনে কোনও প্রতিবন্ধকতাই তাঁকে থামাতে পারে নি।বধিরতা থেকে শুরু করে নানা অসুস্থতা, কোনও কিছুই তাঁকে দমাতে পারে নি, তিনি কিটি লিন ও'নিল। যিনি ছিলেন ‘বিশ্বের দ্রুততম মহিলা’ হিসাবে পরিচিতি পাওয়া একজন আমেরিকান স্টান্টওম্যান এবং রেসার। 

আরও পড়ুনঃ গান গেয়েই কোটি কোটিপতি,দুনিয়ার সবচেয়ে বড়লোক সঙ্গীতশিল্পী কারা?

১৯৪৬ সালের ২৪ মার্চ টেক্সাসের কর্পাস ক্রিস্টিতে জন্ম কিটি ও'নিলের। বাবা ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি এয়ার ফোর্সে্র একজন অফিসার, যিনি একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। তার মা প্যাটসি কম্পটন ছিলেন স্থানীয় সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্থ। মাত্র পাঁচ মাস বয়সে, ও'নিল শিশুরোগে আক্রান্ত হয়ে তার শ্রবণশক্তি হারান। দু বছর বয়সেই জানা যায় তিনি বধির।তবে এখানেই শেষ নয়, ১৯৬৪ সালে অলিম্পিকের জন্য ট্রায়ালের আগে,তাঁর কব্জি ভেঙে যায় এবং মেরুদণ্ডের মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হন, হাঁটার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলতে বসেন।বয়স ২০ ছোঁয়ার আগেই ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে হয় তাঁকে।



তবে এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ১৯৬৫র গ্রীষ্মকালীন ডেফলিম্পিকে ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক এবং ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে তিনি নজর কাড়েন।তবে মেনিনজাইটিস থেকে সেরে ওঠার পর, তিনি ডাইভিং এর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।প্রবল গতি,লড়াই তখন তাঁকে টানত। শুরু করেন রেসিং। ১৯৭০এর সময় কালে তিনি আমেরিকার বিভিন্ন রেসিং প্রতিযোগিতায় প্রথম সারিতে উঠে আসেন।এরপর স্টান্টম্যান হ্যাল নিডহাম এবং রন হ্যাম্বলটনের কাজ দেখে স্টান্ট-এর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।তিনি স্টান্টস আনলিমিটেড নামে বিখ্যাত স্টান্ট সংস্থার সঙ্গে পারফর্ম করা প্রথম মহিলা।একজন স্টান্টওম্যান হিসাবে তাঁকে দ্য বায়োনিক ওমেন, এয়ারপোর্ট 'সেভেন্টি সেভেন, দ্য ব্লুজ ব্রাদার্স, স্মোকি অ্যান্ড দ্য ব্যান্ডিট সহ বিভিন্ন টেলিভিশন এবং সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেছে।




ছোটবেলা থেকেই নানা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এসে হাজির হলেও কিছুই কিটি ও'নিলের এগিয়ে যাওয়াকে দমাতে পারে নি। সাঁতার হোক, রেস বা স্টান্ট সবেতেই নানা রেকর্ড গড়ে গেছেন তিনি। জন্মদিনে এমন সব বাধা সরিয়ে এগিয়ে যাওয়া মহিলাকেই ডুডলের মাধ্যমে স্মরণ করল গুগল।


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code