বসন্তকালে নিয়মিত স্নান করা দরকার। কারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে অ্যালার্জি, ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ কম হয়।
খোশখবর ডেস্কঃ শীতের পরেই হাজির হয় পাতাঝরার সময়, বসন্ত আসে।প্রকৃতি পা রাখে বসন্তের ঘরে।ঋতু পরিবর্তনের এই সময় রোগ-জীবাণু সংক্রমনের প্রকোপ বাড়ে।ছড়িয়ে পড়ে জলবসন্ত বা চিকেন পক্সের মত রোগ। তাই আগে থেকে সাবধান হয়ে বসন্তে কিভাবে ভালো থাকা যায় তা জেনে নেওয়া জরুরী।
বসন্তে ভালো থাকার উপায়
সুস্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা দরকার। বসন্ত কালে ফুলের ভিতর রেণু ও ধুলাবালি থাকে যা শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয়। তাইআগে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া উচিত।
বসন্ত মানেই জলবসন্ত বা চিকেন পক্সের সময়।এই ছোঁয়াচে রোগ থেকে দূরে থাকাটা জরুরি।এখন পক্স বলতে মূলত চিকেনপক্স বা জলবসন্তকে বাঝানো হয়। গায়ের চামড়ার উপর জলফোস্কার মতো র্যাশ বরোয়।এ রাগের কারণ ভ্যারিসেলা ভাইরাস।
আরও পড়ুনঃ আমলকি কেন অমৃত ফল? জেনে নিন এর হাজারো উপকার
দু’ধরনের বসন্তের মধ্যে একটি হলো গুটিবসন্ত, অন্যটি জলবসন্ত।গুটিবসন্ত ভ্যারিওলা ভাইরাস থেকে সংক্রমিত হতো এবং এটি ছিল অত্যন্ত মারাত্মক ব্যাধি।গুটিবসন্তের সংক্রমণ থেকে এখন গোটা বিশ্ব এখন মুক্তি পেয়েছে।এই বসন্ত ভারত থেকে ১৯৭৫ সালে এবং গোটা বিশ্ব থেকে ১৯৭৭ সালে নির্মূল হয়েছে।গুটিবসন্ত হয়েছিল এমন মানুষের মুখে এখনও দাগ দেখতে পাওয়া যায়।
দু’ধরনের বসন্তের মধ্যে একটি হলো গুটিবসন্ত, অন্যটি জলবসন্ত।গুটিবসন্ত ভ্যারিওলা ভাইরাস থেকে সংক্রমিত হতো এবং এটি ছিল অত্যন্ত মারাত্মক ব্যাধি।গুটিবসন্তের সংক্রমণ থেকে এখন গোটা বিশ্ব এখন মুক্তি পেয়েছে।এই বসন্ত ভারত থেকে ১৯৭৫ সালে এবং গোটা বিশ্ব থেকে ১৯৭৭ সালে নির্মূল হয়েছে।গুটিবসন্ত হয়েছিল এমন মানুষের মুখে এখনও দাগ দেখতে পাওয়া যায়।
চিকেনপক্স বা জলবসন্ত মারাত্মক ছোঁয়াচে। র্যাশ ওঠা বা খোসা পড়ার সময় পর্যন্ত রোগটা ছোঁয়াচে। এই সময়ে বাতাসের মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু অসুখটা ছোঁয়াচে তাই সেটা যাতে না ছড়ায় সেজন্য আইসোলেশনে থাকা দরকার।ঘরবন্দি থাকার পাশাপাশি বিশ্রাম নেওয়া দরকার।উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করা দরকার।তবে কুসংস্কারে কান না দেওয়াই ভাল।
আরও পড়ুনঃ দিনের শেষে সময় মত ঘুমের দেশে যাচ্ছেন তো!
ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ে।এই সময় খাবার নিয়ে নানা বিধিনিষেধের কথা শোনা যায়।আর পাঁচটা ভাইরাল অসুখের মতো বসন্তে শরীর দুর্বল করে দেয়।এই সময় শরীরের বেশি করে প্রোটিন ডায়েট দরকার। নিরামিষ খেতে চাইলে দুধ, ছানা, সয়াবিন ও মুসুর ডাল এইসব খাওয়া দরকার।তবে চিকিৎসকেরা নিরামিষের পাশাপাশি ফল, মাছ-মাংস-ডিম খেতে বলেন। তবে গুরুপাক খাবার না খাওয়া ভাল।
ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ে।এই সময় খাবার নিয়ে নানা বিধিনিষেধের কথা শোনা যায়।আর পাঁচটা ভাইরাল অসুখের মতো বসন্তে শরীর দুর্বল করে দেয়।এই সময় শরীরের বেশি করে প্রোটিন ডায়েট দরকার। নিরামিষ খেতে চাইলে দুধ, ছানা, সয়াবিন ও মুসুর ডাল এইসব খাওয়া দরকার।তবে চিকিৎসকেরা নিরামিষের পাশাপাশি ফল, মাছ-মাংস-ডিম খেতে বলেন। তবে গুরুপাক খাবার না খাওয়া ভাল।
বসন্তের সময় অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। এর কারণ হল এই সময় বাতাস শুকনো হওয়ায় প্রচুর ধুলোবালি ওড়ে।একারনে হাঁচি,কাশির পাশাপাশি অনেকের চোখ লাল হয়।কারও কারও নাক দিয়ে জল পড়ে। অনেকের হাঁচি-কাশি হয়।এসব থেকে রক্ষার ভাল উপায় হল মুখে মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করা।
বসন্তকালে নিয়মিত স্নান করা দরকার।কারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে অ্যালার্জি, ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ কম হয়। আর এই সময় প্রায় ঠান্ডা থাকে না, তাই নিয়ম করে হাত,মুখ ধোওয়া বা স্নান করা নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বসন্তকালে ঠাণ্ডা না থাকলেও শীতের প্রভাব একে বারেই চলে যায় এমনটা ভাবা ভুল।তাই খুব ভোরে বা সকাল সন্ধ্যা হালকা শীতের পোশাক ব্যবহার করা ভাল।খুব জোরে ফ্যান বা এসি এড়িয়ে চলাই ভাল।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ