একনজরে

10/recent/ticker-posts

Rio carnival গোটা বিশ্বের নজরে থাকে ব্রাজিলের রিও কার্নিভাল, জেনে নিন কেন


রিও কার্নিভাল প্রথম অনুষ্ঠিত হয় প্রায় দু’শ বছর আগে। সেসময় শহরের অভিজাতরা মুখোশ এবং দামি পোশাক পরে প্যারেডে অংশগ্রহণ করতেন।

খোশখবর ডেস্কঃ ফি বছর ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বের বৃহত্তম কার্নিভাল।এবছরও তার ব্যতিক্রম হয় নি।১৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় এই কার্নিভাল।আর সকলেই জানে রিও কানির্ভাল মানেই রং, সুর আর জীবনের উৎসব।এই উৎসবের সূচনা হয়েছে খ্রিস্টানদের ‘লেন্ট’ থেকে। এই কার্নিভালের সময়কাল ইস্টার পর্যন্ত স্থায়ী হয়।‘লেন্ট’ সাধারণত ৪০ দিনের জন্য পালন করা হয়।



এই কার্নিভাল ঐতিহাসিক, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অত্যন্ত জনপ্রিয় মিলনমেলা ও উতসব হিসেবে পরিচিত। সেই ১৮৯২ সাল থেকে ব্রাজিলে ধারাবাহিকভাবে পাঁচদিন ধরে রিও উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।




তথ্য বলছে ১৭২৩ সালে সর্বপ্রথম রিও ডি জেনিরোতে এ উৎসব পালিত হয়েছিল। এই উৎসবে প্রতিদিন ২০ লক্ষেরও বেশী মানুষ রাস্তায় নামেন।এবছর এই উৎসবে প্রায় ৪ কোটি মানুষের অংশগ্রহন করার কথা জানিয়েছে রিও প্রশাসন।ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রিও ডি কার্নিভাল শুরু হয়। চলে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।



কার্নিভালের রাজধানী হিসেবে পরিচিত রিও ডি জেনেরিওর সড়কগুলোতে এসময় ঢল নামে পর্যটক ও দর্শণার্থীদের। ব্রাজিলিয়ানদের ঐতিহ্যবাহী গান আর সাম্বা নাচের তালে তালে মেতে থাকেন তারা।



 
ব্রাজিলের রিও কার্নিভালের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে আলদাভাবে কার্নিভাল হলেও রিও কার্নিভালই পর্যটকদের কাছে বেশি আকর্ষণীয়। প্রতিদিন কার্নিভালে অংশ নেয় প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ।

রিও কার্নিভাল প্রথম অনুষ্ঠিত হয় প্রায় দু’শ বছর আগে। সেসময় শহরের অভিজাতরা মুখোশ এবং দামি পোশাক পরে প্যারেডে অংশগ্রহণ করতেন। সময় যত এগিয়েছে তত এই আয়োজন আন্তর্জাতিক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।রিও ট্যুরিজম কোম্পানির (রিওটুর) প্রেসিডেন্ট রনি আগুয়ার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে এবছর শুধুমাত্র কার্নিভালের সময়কার অর্থনীতি পাঁচ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছে। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য দু বছরের বিরতির পর,এ বছর বিদেশ থেকে রিও পৌঁছেছে প্রায় ৮০,০০০ পর্যটক। 

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code