কৃত্রিম বুদ্ধি দিয়ে চালিত হলেও চ্যাট জিপিটির আচরণ অনেকটা আপনার জন্য কাজ করে দেওয়া একজন মানুষের মতোই।
আরও পড়ুনঃ গুগলের ‘ল্যামডা’ চ্যাটবটের কী মানুষের মত 'চেতনা' আছে?
চ্যাট জিপিটির কারনে কাজ হারাবেন মানুষ?
চ্যাট জিপিটির অ্যাপ মানুষের মতো কথা বলে তার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধি দিয়ে চালিত হলেও তার আচরণ অনেকটা আপনার জন্য কাজ করে দেওয়া একজন মানুষের মতোই। সে একাধারে একজন গবেষক, একজন শিক্ষক,একজন শিল্পী,একজন অফিস কর্মী বা সব কিছু। যে কোনও কিছু পরিমাপ থেকে শুরু করে আপনার সব প্রশ্নের অতি দ্রুত উত্তর তৈরি করে দিতে পারে চ্যাট জিপিটি। অর্থাৎ সে একাই একশো। সে থাকলে আর আরও কোনও কাজ করার দরকার নেই। আর বিশেষজ্ঞরা বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন এখানেই। অনেকেই মনে করছেন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারনে লক্ষ লক্ষ কর্মীর উপর ছাঁটাই হওয়ার কোপ পড়তে পারে। কন্টেন্ট রাইটিং এবং সফটওয়্যার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একজন কর্মীর কাজ অনায়াসে করে দিতে পারবে এই চ্যাট জিপিটি। ফলে কাজ হারাতে পারেন বহু মানুষ।
সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে শিক্ষাক্ষেত্রে?
চ্যাট জিপিটিতে আপনি যে প্রশ্নই করুন না কেন সেই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে সে বিস্তারিতভাবে দিয়ে দেয়। সবকিছুই প্রায় নিখুঁত ভাবে জানাতে পারে সে। অঙ্ক হোক বা বিজ্ঞানের প্রশ্ন বা লেটার রাইটিং বা ভাব সম্প্রসারন - সবেতেই সে ছক্কা হাকিয়ে দেয়। পাহাড় প্রমাণ হোমটাস্ক সে করে দেয় নিমেষে। পছন্দ না হলে হলে সে পুনরায় করে দেয় অন্যভাবে। এই অ্যাপের সাহায্যে শিশুদের পড়ানোও শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। স্কুল টিচারের মত তার রাগ নেই,বিরক্তি নেই। আলাদিনের দৈত্যের মত সে সব কাজ করে দেবে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে চ্যাট জিপিটি সব পেয়েছির দুনিয়া হয়ে দাড়িয়েছে। আর সেই কারণেই নিউইয়র্কের একাধিক স্কুল চ্যাট জিপিটি নিষিদ্ধ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই অ্যাপ ব্যবহার করলে শিশুদের ভাবনা-চিন্তা করার শক্তি কমে যাবে। আগামী দিনে মানুষের সমস্যা সমাধানের দক্ষতাও ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হবে।
আরও পড়ুনঃ আপনার ইচ্ছেমত মুহূর্তে রং বদলাতে পারবে যে গাড়ি
চ্যাট জিপিটি বনাম গুগল
চ্যাট জিপিটি হল একটি চ্যাটবট। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল যে আপনি এখানে যে প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করবেন সে তার উত্তরগুলো আপনাকে হাজির করে দেবে। অর্থাৎ সে সরাসরি আপনার হয়ে সব কাজ করে দেবে। তবে গুগল সার্চ ইঞ্জিন সেভাবে কাজ করে না। আপনি যখন গুগলে কিছু সার্চ করবেন তখন সে আপনাকে সেই সংক্রান্ত অনেক ওয়েবসাইট নিমেষে হাজির করে দেবে। এই সব তথ্যভাণ্ডার থেকে ঘেঁটে আপনার কাজ আপনাকে করে নিতে হবে। অর্থাৎ গুগলে আপনার মাথা খাটিয়ে কাজটা করে নিতে হবে কিন্তু চ্যাট জিপিটি আপনাকে সেই কাজটিও করতে দেবে না। সে নিজেই তথ্য ঘেঁটে আপনার চাহিদা মত কাজ হাজির করে দেবে।
কে বানাল এমন চ্যাটবট?
২০১৫ সালে স্যাম অল্টম্যান ইলন মাস্কের সঙ্গে শুরু করেছিলেন চ্যাটবট তৈরির কাজ । কিন্তু প্রায় বছর দেড়েক পর এই প্রকল্পটি ছেড়েদেন ইলন মাস্ক। এরপর এই সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ করে বিল গেটসের মাইক্রোসফ্ট কোম্পানি। চ্যাট জিপিটি চালু হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর। এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট chat.openai.com। চালু হওয়ার পর থেকেই লাফিয়ে বাড়ছে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা। নভেম্বরে বাজারে আসার পর মাত্র দু মাসের মধ্যেই মাসে ১০ কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী পেয়েছে চ্যাটজিপিটি যা পেতে ৯ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটককের। তথ্য বলছে ২০২৩ এর জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ৩০ লক্ষ ইউজার চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করেছে। তাহলেই বুঝুন কী হতে চলেছে চ্যাট জিপিটি ব্যবহারের ভবিষ্যৎ।
চ্যাট জিপিটির কারনে কাজ হারাবেন মানুষ?
চ্যাট জিপিটির অ্যাপ মানুষের মতো কথা বলে তার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধি দিয়ে চালিত হলেও তার আচরণ অনেকটা আপনার জন্য কাজ করে দেওয়া একজন মানুষের মতোই। সে একাধারে একজন গবেষক, একজন শিক্ষক,একজন শিল্পী,একজন অফিস কর্মী বা সব কিছু। যে কোনও কিছু পরিমাপ থেকে শুরু করে আপনার সব প্রশ্নের অতি দ্রুত উত্তর তৈরি করে দিতে পারে চ্যাট জিপিটি। অর্থাৎ সে একাই একশো। সে থাকলে আর আরও কোনও কাজ করার দরকার নেই। আর বিশেষজ্ঞরা বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন এখানেই। অনেকেই মনে করছেন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারনে লক্ষ লক্ষ কর্মীর উপর ছাঁটাই হওয়ার কোপ পড়তে পারে। কন্টেন্ট রাইটিং এবং সফটওয়্যার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একজন কর্মীর কাজ অনায়াসে করে দিতে পারবে এই চ্যাট জিপিটি। ফলে কাজ হারাতে পারেন বহু মানুষ।
সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে শিক্ষাক্ষেত্রে?
চ্যাট জিপিটিতে আপনি যে প্রশ্নই করুন না কেন সেই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে সে বিস্তারিতভাবে দিয়ে দেয়। সবকিছুই প্রায় নিখুঁত ভাবে জানাতে পারে সে। অঙ্ক হোক বা বিজ্ঞানের প্রশ্ন বা লেটার রাইটিং বা ভাব সম্প্রসারন - সবেতেই সে ছক্কা হাকিয়ে দেয়। পাহাড় প্রমাণ হোমটাস্ক সে করে দেয় নিমেষে। পছন্দ না হলে হলে সে পুনরায় করে দেয় অন্যভাবে। এই অ্যাপের সাহায্যে শিশুদের পড়ানোও শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। স্কুল টিচারের মত তার রাগ নেই,বিরক্তি নেই। আলাদিনের দৈত্যের মত সে সব কাজ করে দেবে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে চ্যাট জিপিটি সব পেয়েছির দুনিয়া হয়ে দাড়িয়েছে। আর সেই কারণেই নিউইয়র্কের একাধিক স্কুল চ্যাট জিপিটি নিষিদ্ধ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই অ্যাপ ব্যবহার করলে শিশুদের ভাবনা-চিন্তা করার শক্তি কমে যাবে। আগামী দিনে মানুষের সমস্যা সমাধানের দক্ষতাও ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হবে।
চ্যাট জিপিটি বনাম গুগল
চ্যাট জিপিটি হল একটি চ্যাটবট। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল যে আপনি এখানে যে প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করবেন সে তার উত্তরগুলো আপনাকে হাজির করে দেবে। অর্থাৎ সে সরাসরি আপনার হয়ে সব কাজ করে দেবে। তবে গুগল সার্চ ইঞ্জিন সেভাবে কাজ করে না। আপনি যখন গুগলে কিছু সার্চ করবেন তখন সে আপনাকে সেই সংক্রান্ত অনেক ওয়েবসাইট নিমেষে হাজির করে দেবে। এই সব তথ্যভাণ্ডার থেকে ঘেঁটে আপনার কাজ আপনাকে করে নিতে হবে। অর্থাৎ গুগলে আপনার মাথা খাটিয়ে কাজটা করে নিতে হবে কিন্তু চ্যাট জিপিটি আপনাকে সেই কাজটিও করতে দেবে না। সে নিজেই তথ্য ঘেঁটে আপনার চাহিদা মত কাজ হাজির করে দেবে।
কে বানাল এমন চ্যাটবট?
২০১৫ সালে স্যাম অল্টম্যান ইলন মাস্কের সঙ্গে শুরু করেছিলেন চ্যাটবট তৈরির কাজ । কিন্তু প্রায় বছর দেড়েক পর এই প্রকল্পটি ছেড়েদেন ইলন মাস্ক। এরপর এই সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ করে বিল গেটসের মাইক্রোসফ্ট কোম্পানি। চ্যাট জিপিটি চালু হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর। এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট chat.openai.com। চালু হওয়ার পর থেকেই লাফিয়ে বাড়ছে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা। নভেম্বরে বাজারে আসার পর মাত্র দু মাসের মধ্যেই মাসে ১০ কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী পেয়েছে চ্যাটজিপিটি যা পেতে ৯ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটককের। তথ্য বলছে ২০২৩ এর জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ৩০ লক্ষ ইউজার চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করেছে। তাহলেই বুঝুন কী হতে চলেছে চ্যাট জিপিটি ব্যবহারের ভবিষ্যৎ।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ