একনজরে

10/recent/ticker-posts

Colour changing car আপনার ইচ্ছেমত মুহূর্তে রং বদলাতে পারবে যে গাড়ি


i Vision Dee চাকা সহ পুরো গাড়ির শরীর জুড়ে থাকা ২৪০টি আলাদা ‘ই ইঙ্ক’ প্যানেলের মাধ্যমে গাড়ির ভিতরে এবং বাইরে ৩২টি নানা রঙ এনে ফেলতে পারে।

খোশখবর ডেস্কঃ এ যেন ছিল সাদা কালো শুঁয়োপোকা, হয়ে গেল রঙিন প্রজাপতি। চাহিদা মত মুহূর্তে গায়ের রঙ বদলে ফেলে রামধনু হয়ে উঠতে পারবে, এমনই গাড়ি তৈরি করল বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা বিএমডব্লু। কিছুদিন আগেই মার্কিন দেশে ২০২৩-এর কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শো-তে এই গাড়ি প্রদর্শনীর জন্য এনেছিল বি এম ডব্লু। বলা হচ্ছে এটি সেই নতুন আই ভিশন ডি কনসেপ্ট কার - যা রঙ পরিবর্তন করতে পারে, এমনকি মানুষের আবেগের প্রতিও সাড়া দিতে পারে।



কোম্পানির মতে এই গাড়ি আসলে ‘আবেগগতভাবে বুদ্ধিমান’। ‘ই ইঙ্ক’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই গাড়ি ৩২টি রঙের বদল ঘটিয়ে ফেলতে পারে। অর্থাৎ গাড়ির মালিক নির্দেশ দিলে বা তাঁর রঙিন মনের ইচ্ছে অনুসারে রামধনু রঙে সেজে উঠতে পারে এই গাড়ি।

২০২২ সালে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শো-তে সর্বপ্রথম রঙ বদল করা গাড়ি হাজির করেছিল বি এম ডব্লু। যদিও সে সব মডেল শুধুমাত্র শেড বদল করতে পারত। যেমন কালো থেকে ধূসর বা অন্যকিছু।


 কিন্তু এবারের i Vision Dee চাকা সহ পুরো গাড়ির শরীর জুড়ে থাকা ২৪০টি আলাদা ‘ই ইঙ্ক’ প্যানেলের মাধ্যমে গাড়ির ভিতরে এবং বাইরে ৩২টি নানা রঙ এনে ফেলতে পারে। পাশাপাশি এই গাড়ি তার পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে সেন্সর ব্যবহার করে। যেমন গাড়ির কাছে কেউ গেলে এবং অনুমতি থাকলে এই গাড়ি নিজে থেকেই তাঁর জন্যে দরজা খুলে দেবে। 

'ই-ইঙ্ক' প্রযুক্তি ব্যাপারটা কী

১৯৯৭ সালে এমআইটিতে এই প্রযুক্তির সূচনা হয়। ই-ইঙ্ক হল ই-রিডারের মতো ই-পেপার ডিভাইসের পিছনে থাকা এক প্রযুক্তি। একটি ই-ইঙ্ক ডিসপ্লেতে লক্ষ লক্ষ মাইক্রো ক্যাপসুল রয়েছে যা রঙিন কণায় ভরা - এগুলো বৈদ্যুতিক চার্জ বহন করে। 


২০২২ সালে রঙ পরিবর্তনকারী গাড়ি তৈরি করতে ই-ইঙ্ক জার্মান অটোমেকার BMW-এর সঙ্গে যোগ দেয়। ই-ইঙ্ককে কেবলমাত্র সেই বিন্দুর বৈদ্যুতিক চার্জ পরিবর্তন করে বিভিন্ন রং বদল করা যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ডিজিটাল মাধ্যমে একটি সাদা পাতায় কালো পাঠ্য পাওয়া যায়। এর মাধ্যমেই গাড়ির উপরিভাগে তাৎক্ষনিক ভাবে গাড়ির রঙ বা এর নির্দিষ্ট অংশ পরিবর্তন করতে পারা যায়।

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে  পিক্সাবে,আনস্প্ল্যাস,ফ্রিপিক,উইকিমিডিয়া কমন্স,গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]  

[জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বইলাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান,অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে  জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code